বিসর্জনের পরে গঙ্গায় ভাসানো কাঠামো দ্রুত জল থেকে তোলার জন্য এ বার বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবে কলকাতা পুরসভা। গঙ্গাকে দুষণমুক্ত রাখতে কাঠামোগুলি সুষ্ঠু ভাবে তুলতে বন্দর কর্তৃপক্ষের বার্জের উপরে বড় ক্রেন রাখার কথা ভাবা হচ্ছে। আজ, বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীর সকালে গঙ্গার ঘাটের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন পুর ও বন্দর কর্তারা। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার এ কথা জানিয়েছেন। প্রথম দিন বাগবাজার বা সিমলা ব্যায়াম সমিতির মতো কিছু সাবেক রীতির পুজো এবং বেশির ভাগ পারিবারিক পুজোর ভাসান হওয়ার সম্ভাবনা। শনিবার, দ্বাদশীর মধ্যে শহরের সব বারোয়ারি পুজোর ঠাকুর ভাসানের জন্য নির্দেশ জারি করেছে পুলিশ।
দশমীর বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রতিমা ভাসান চলার সময়ে ফুল-বেলপাতা যাতে জলের বদলে সুশৃঙ্খল ভাবে জঞ্জালের ভ্যাটে ফেলা হয়, পুরকর্মীরা তার তদারকি করবেন। আর একাদশীর দিন ভোর চারটেয় ভাসান সাঙ্গ হতেই শুরু হবে কাঠামো তোলার কাজ। দেবাশিসবাবু বলেন, “এ বার কাঠামো তোলার জন্য একটি আলাদা দল গড়া হয়েছে।”
পুলিশের এক কর্তা বলেন, “দশমীর সকালেও অনেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাকুর দেখবেন। এটা মাথায় রেখে উত্তর-দক্ষিণের বড় পুজো লাগোয়া কয়েকটি এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বহাল থাকছে। সন্ধ্যা থেকে গঙ্গার ঘাটমুখী ভাসানের পথ মসৃণ রাখাটাই দায়িত্ব।” নিমতলার ঘাট, গ্বালিয়র ঘাট, বাবুঘাট, বাজে কদমতলা ঘাটের মতো বিসর্জনের জায়গাগুলি ছাড়াও সংযুক্ত এলাকার পুজোর ভাসানের জন্য আরও দু’টি ঘাটের পথে এ বার পুলিশি নজরদারি থাকবে। সেই ঘাটগুলি হল, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নাদিয়াল থানা এলাকায় মৎস্যজীবী ঘাট ও বিবেকানন্দ শিশু উৎসব ঘাট। কোনও অঘটন ঘটাতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডুবুরিরাও তৈরি থাকবেন।
|
সর্পদষ্ট এক বধূর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গল বিকালে ফাঁসিদেওয়ার জালাসের ভেল্কুজোতে ঘটনাটি ঘটে। মৃতার নাম সুনীতি রায় (২৩)। বাড়িতে সাফসুতরো কাজ করার সময় একটি সাপ পায়ে ছোবল মারে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যা নাগাদ সেখানেই তার মৃত্যু হয়। |