চুরির ফন্দি আঁটছে, স্রেফ এই সন্দেহের বশেই পিটিয়ে মারা হল দু’জনকে। গুরুতর জখম আরও এক চিকিৎসাধীন। গণপিটুনিতে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। ঘটনাটি উলুবেড়িয়ার সোমরুক আমতলার। স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশিস মালের (৩০) বাড়িতে দিন কয়েক ধরে আশ্রয় নিয়েছিলেন জাঙ্গিপাড়ার যুবক মিঠুন কোলে। গ্রামের লোকের সন্দেহ হয়, কোনও চুরির ছক কষছে তারা। দেবাশিসের নামে সমাজবিরোধী কাজকর্মের একাধিক অভিযোগ আছে পুলিশের খাতায়। গ্রামে ইদানীং চুরি-ছিনতাই বাড়ায় উত্তেজনাও ছিল। মঙ্গলবার দেবাশিসের কাছে গ্রামের কিছু লোক জানতে চায়, কেন তার বাড়িতে বাইরের লোক আশ্রয় নিয়েছে। দু’তরফে কথা কাটাকাটি বাধে। দেবাশিসের পক্ষ নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন নিত্যানন্দ পোড়েল (৩৫) নামে স্থানীয় আরও এক যুবক। তাঁর বিরুদ্ধেও পুলিশের কাছে নানা অভিযোগ আছে। ধর্ষণের দায়ে সাত বছর জেলও খেটেছেন নিত্যানন্দ। জনতা ধরে নেয়, তিন জনে মিলে বড়সড় কোনও অপরাধ ঘটাতে পারে। কয়েকশো লোক জমে গিয়ে শুরু হয় মারধর। পুলিশ গিয়ে পরে তিন জনকে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। দুপুরেই মারা যান নিত্যানন্দ। দেবাশিসকে পাঠানো হয়েছিল আন্দুলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। বুধবার সকালে মারা যান তিনিও। মিঠুনের চিকিৎসা চলছে উলুবেড়িয়ায়। এ দিন দেবাশিসের বাড়ির লোক পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, চোর অপবাদ দিয়ে গ্রামের কিছু লোক পিটিয়ে মেরেছে তাঁকে। পুলিশ তদন্তে নেমে খোকন বাছাড় এবং সনৎ কয়াল নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে। হাওড়ার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “বাকিদের খুঁজছে পুলিশ।”
|
বিদ্যুৎস্তম্ভে ধাক্কা মেরে এক মোটর বাইক আরোহীর মৃত্যু হল। গুরুতর জখম হয়েছেন বাইকে সওয়ার তাঁর এক আত্মীয়া। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার, অষ্টমীর রাতে হুগলির পার ডানকুনির কাছে নৈটি রোডে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম শৌভিক রায় (২২)। বাড়ি কোন্নগরের সুভাষনগরে। জখম তরুণীর নাম অপর্ণা পোদ্দার। তিনি কলকাতার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ অপর্ণাদেবীকে নিয়ে বাইকে চেপে ডানকুনির দিকে যাচ্ছিলেন শৌভিক। পার ডানকুনির কাছে প্রচণ্ড গতিতে রাস্তার ধারের একটি বিদ্যুৎস্তম্ভে ধাক্কা মারে বাইকটি। দু’জনেই ছিটকে পড়েন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশ। সেখানকার চিকিৎসকেরা শৌভিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
|
নবমীর সন্ধ্যায় মা-দাদার সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল রিষড়ার ধন্নু কুমার। গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে আট বছরের ওই বালকের। পুলিশ জানায়, বুধবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ শ্রীরামপুরের বটতলার কাছে জিটি রোডের ধারে দুই ছেলে ধন্ন্যু এবং ঋতিশকে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মা লীলাবতীদেবী। সে সময়ে উত্তরপাড়ামুখী একটি গাড়ি বেপরোয়া গতিতে তাঁদের ধাক্কা মেরে পালায়। তিন জনকে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা ধন্নুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জখম দু’জন ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।
|
সম্প্রতি বাগনানের আষাড়িয়া ঈশ্বরীপুর হাইস্কুলে আয়োজিত হল বাৎসরিক অনুষ্ঠান। মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কার দেওয়া হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা যোগ দেয়। এ ছাড়াও আয়োজন করা হয়েছিল বিজ্ঞান প্রদর্শনী। |