টুকরো খবর |
অধিগৃহীত জমি ব্যবহার শুধু জনস্বার্থে, রায় সুপ্রিম কোর্টের
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
জনস্বার্থে জমি অধিগ্রহণ করে তা অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না বলে ফের রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগেও এই বেশ কয়েকটি মামলায় এই মন্তব্য করেছে দেশের বিভিন্ন আদালত। বেঙ্গালুরুতে একটি গল্ফ ও হোটেল রিসর্ট গড়তে ৩৭ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগম। কিন্তু, পরে আবাসন প্রকল্প গড়ার জন্য ওই জমি একটি বেসরকারি নির্মাণ সংস্থা ও আরও কয়েকটি কর্পোরেট সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কর্নাটক হাইকোর্টে আবেদন জানান জমি মালিকরা। হাইকোর্টের রায়ে অধিগ্রহণ বাতিল হয়ে যায়। জমি মালিকদের ক্ষতিপূরণ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে কর্পোরেট সংস্থাগুলি। শীর্ষ আদালতে বিচারপতি জি স সিঙ্ঘভি ও বিচারপতি সুধাংশুজ্যোতি মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চ বলেছে, সরকার জনস্বার্থে বাধ্যতামূলক ভাবে জমি অধিগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু, কোনও বেআইনি কাজ বা জুয়াচুরিকে স্বীকৃতি দিতে সরকারের এই অধিকারকে ব্যবহার করা যায় না। বার বার এ কথা বলেছে দেশের বিভিন্ন আদালত। এ ক্ষেত্রে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করে পর্যটন নিগম। কিন্তু নিগমের বৈঠকের নথি থেকে জানা গিয়েছে ওই প্রকল্প গড়ার টাকা তাদের ছিল না। কিছু জমির বিনিময়ে ওই টাকা জোগানোর প্রতিশ্রুতি দেন ব্যবসায়ী দয়ানন্দ পাই। তাই দয়ানন্দ ও অন্য কর্পোরেট সংস্থাকে জমি দেওয়া হয়। কিন্তু ওই জমি কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে দেওয়ার অধিকার নিগমের নেই।
|
কর্নাটক জুড়ে তল্লাশি চালাল সিবিআই
সংবাদসংস্থা • বেঙ্গালুরু |
অবৈধ খননের তদন্তে সম্প্রতি বেঙ্গালুরু, বল্লারি-সহ কর্নাটকের পাঁচটি শহরে তল্লাশি চালাল সিবিআই। এ ছাড়া, ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী, বিজেপির জি জনার্দন রেড্ডির স্ত্রীর খনন সংস্থার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। তল্লাশি হয়েছে জনার্দন রেড্ডির ঘনিষ্ঠ বিধায়ক বি নগেন্দ্রর অফিসেও। ইতিমধ্যেই এই সূত্রে কর্নাটকের রেড্ডি ভাইদের গ্রেফতারও করেছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সজ্জন জিন্দলের সংস্থা জেএসডব্লিউ স্টিলের দফতরেও তল্লাশি হয়েছে। কারণ, তাদের কথায় বিতর্কিত সংস্থাগুলির তোলা লৌহ আকরিক কেনে জেএসডব্লিউ স্টিলও। পরে জেএসডব্লিউ স্টিলের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তাদের দফতরে তল্লাশি হয়নি, সিবিআইয়ের অফিসাররা তাদের অফিসে গিয়ে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। জেএসডব্লিউ সব তথ্য দিয়েই সাহায্য করবে। পাশাপাশি সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ইস্পাত উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকেই লৌহ আকরিক কেনে তারা। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই তা বিধি মেনে কেনা হয় এবং তার হিসেবও রাখা আছে। বিতর্কিত সংস্থাগুলো অবৈধ ভাবে খনন করে যে আকরিক লোহা তোলে, তা অন্ধ্র দিয়ে কী ভাবে পাচার হয়, তা তদন্তের জন্য সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
|
অভিযুক্ত মন্ত্রীদের সরিয়ে দিলেন মায়া
সংবাদসংস্থা • লখনউ |
লোকায়ুক্তের দুর্নীতি-বিরোধী তদন্তের জেরে কর্নাটকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। এ বার লোকায়ুক্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে উত্তরপ্রদেশে মন্ত্রীদের সরানোর সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী। লোকায়ুক্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে আগেই পশুপালন দফতরের মন্ত্রী অভদপাল সিংহ যাদব ও ধর্মীয় দান সংক্রান্ত দফতরের মন্ত্রী রাজেশ ত্রিপাঠীকে সরিয়ে দিয়েছেন মায়াবতী। এ বার উচ্চশিক্ষামন্ত্রী রঙ্গনাথ মিশ্র ও শ্রমমন্ত্রী বাদশা সিংহের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন লোকায়ুক্ত এন কে মেরহোত্র। ফলে সরতে হয়েছে ওই দুই মন্ত্রীকেও। বহুজন সমাজ পার্টির (বসপা) রাজ্য সভাপতি স্বামীপ্রসাদ মৌর্য একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মায়াবতী রঙ্গনাথ মিশ্র ও বাদশা সিংহের বিরুদ্ধে ভিজিল্যান্স তদন্তের আদেশ দিয়েছেন। বিচারে নির্দোষ প্রমাণিত হলে তাঁদের মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে নেওয়া হবে। মৌর্যের দাবি, একমাত্র বসপা-ই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। বিরোধী দলগুলি সংকীর্ণ রাজনীতি করে। তারা যে সব রাজ্যে সরকারের শরিক, সেই রাজ্যগুলিতে লোকায়ুক্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয় না।
|
পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চিনা সেনা: সেনাধ্যক্ষ
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে এখন প্রায় ৪ হাজার চিনা রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই সে দেশের সেনাবাহিনীর কর্মী। আজ এ কথা জানিয়েছেন সেনাপ্রধান বিজয় কুমার সিংহ। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে চিনা সেনার উপস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন ভারত। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের অংশ বলেই মনে করে নয়াদিল্লি। তা ছাড়া কৌশলগত দিক থেকেও এই ভূখণ্ডের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। তাই সেখানে চিনা সেনার উপস্থিতি ভারতের পক্ষে উদ্বেগের বিষয় বলে আগেই মন্তব্য করেছেন বায়ুসেনা প্রধান এন এ কে ব্রাউন। জেনারেল সিংহের মতে, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে চিনারা নির্মাণকার্যে যুক্ত রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য কিছু রক্ষীও আছে। নির্মাণকার্যে যুক্ত চিনারা অনেকেই চিনা সেনাবাহিনীর কর্মী। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, চিনারা পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ও উত্তর কাশ্মীরে সীমান্তের খুব কাছে সড়ক ও বাঁধ তৈরি করছে। গত বছরে উত্তর কাশ্মীরের গিলগিট-বালটিস্তানে প্রায় ১১ হাজার চিনা সেনার উপস্থিতির খবর পাওয়া গিয়েছিল। এই বিষয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা চিনকে জানিয়েছে ভারত। তবে বেজিংয়ের দাবি, কোনও খারাপ অভিসন্ধি নিয়ে চিনা সেনা ওই অঞ্চলে যায়নি।
|
সুপ্রিম কোর্টের রায়, নথিবদ্ধ তথ্যই আরটিআই-এর আওতায়
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
অধিকার আইনের প্রয়োগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই বিতর্ক এড়াতে ‘তথ্য’ বলতে ঠিক কী বোঝায়, তা নির্দিষ্ট করে বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মিবর্গের দফতর (ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং)। সরকারি নথিপত্রে যা যা রয়েছে, চুক্তি বা দলিল বা অন্য কোনও আকারে, একমাত্র তাকেই তথ্য হিসেবে গণ্য করা হবে বলে জানিয়েছে ওই দফতর। তথ্য সংরক্ষণ ও প্রকাশের দায়িত্বে যে সরকারি কর্মী থাকবেন, তাঁর ব্যক্তিগত মতামত বা সরকারের অবস্থান ইত্যাদি বিষয় তথ্যের আওতায় পড়বে না। কোনও সরকারি নথির ব্যাখ্যাও তথ্য নয় বলে জানিয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তি। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন আগেই তথ্য বলতে কী বোঝায় এবং কোন কোন বিষয় তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় পড়বে তা জানিয়ে দিয়েছিল। কর্মিবর্গের দফতরের ১৬ সেপ্টেম্বর জারি করা এই বিজ্ঞপ্তিতে তাকেই আরও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে।
|
৭ জনকে পিষে মারল বাসচালক
সংবাদসংস্থা • জয়পুর |
ভাড়া নিয়ে সামান্য কথা কাটাকাটি। তা থেকে মারধর। আর সেই রাগ থেকেই ১৭ জনকে চাপা দিল এক বাসচালক। এই ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। চার মহিলা-সহ জখম হয়েছেন ১০ জন। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের কারুলি জেলার কলেজ রোডে। বুধবার সকালে কিছু যাত্রী বেসরকারি বাসে করে কেলাদেবী মন্দিরে যাচ্ছিলেন। তখনই বাসচালকের সঙ্গে তাঁদের ভাড়া নিয়ে বচসা বাধে। অভিযোগ, উত্তেজিত যাত্রীরা চালককে মারধর করেন। নেমে এসে বাসে পাথর ছোড়েন। এর পর তাঁরা হেঁটে মন্দিরের দিকে যাচ্ছিলেন। তখনই ক্রুদ্ধ চালক বাস নিয়ে তাঁদের পিছন থেকে ১৭ জনকে চাপা দেয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, হতাহতরা প্রত্যেকেই আগরার বাসিন্দা। বাসের চালক পলাতক। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা শুরু করেছে পুলিশ।
|
ভট্টের জামিনের শুনানি ৭ অক্টোবর
সংবাদসংস্থা • আমদাবাদ |
ধৃত গুজরাতের আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভট্টের জামিনের পরবর্তী শুনানি হবে ৭ অক্টোবর। বুধবার এই নির্দেশ দেয় আদালত। তাঁর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেছিল গুজরাত সরকার। কিন্তু রাজ্য সরকারের বক্তব্য খারিজ করে দিয়ে ভট্টের জামিন নিয়ে আজ শুনানি শুরু হয়। তার পর এই নির্দেশ দেন বিচারক ভি কে ব্যাস। ভট্টকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর জন্যও অন্য একটি আদালতে আর্জি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই মামলাটি এখনও ঝুলে রয়েছে। এই যুক্তি দেখিয়েই গত কাল রাজ্য সরকার ভট্টের জামিনের শুনানির বিরোধিতা করেছিল।
|
সওয়াল করতে চান রাজা
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
টুজি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করার জন্য পাটিয়ালা হাউস কোর্টের দ্বারস্থ হলেন প্রাক্তন টেলিকমমন্ত্রী এ রাজা। বুধবার পাটিয়ালা হাউস কোর্টে এক আবেদনে রাজা সুপ্রিম কোর্টে সওয়ালের অনুমতি চান। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে টুজি কাণ্ডের যে তদন্ত চলছে, সে বিষয়েই আগামী সোমবার সওয়াল করতে চান তিনি। রাজার এই আর্জি নিয়ে শুনানি হবে শুক্রবার। টুজি কাণ্ডে অভিযুক্ত রাজা এখন রয়েছেন তিহাড় জেলে। |
|