রাতভর ঢল সল্টলেকে
নিজস্ব সংবাদদাতা |
ঘড়ির কাঁটায় রাত সাড়ে বারোটা। সল্টলেকের এফ ডি পার্কে বাঁশের ব্যারিকেডের ভিতর দিয়ে জনপ্লাবন সর্পিল আকারে এগিয়ে চলেছে বাহান্ন ফুটের ফাইবারের দুর্গার দিকে। এ বার সল্টলেকের পুজোগুলির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি চর্চা হয়েছে এই পুজোটি নিয়েই। রাত দেড়টা। লাবণি আবাসনেও প্রায় একই ছবি। দেবী দুর্গাকে আটপৌরে গৃহিণী।
রাত দু’টো। ফার্স্ট অ্যাভিনিউয়ে যানজট। রাস্তার দু’দিকে এ ই (পার্ট-১) এবং বি ই (পূর্ব)। এ ই (পার্ট-১) এ পাঁচশো মই দিয়ে মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। |
সল্টলেকের একটি প্রতিমা। ছবিটি তুলেছেন অর্কপ্রভ ঘোষ। |
আবার বি ই(পূর্ব)-র মণ্ডপ বালিঘড়ি এবং যন্তরমন্তর এর ঘড়ির আদলে। দু’ জায়গাতেই দর্শকদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বেড়েছে বিভিন্ন মণ্ডপে। সমান তালে টক্কর দিয়েছে এফ ডি, এ জি, লাবণি, সি জে ব্লকের মতো পুজোগুলি। ঠাকুর দেখার মানচিত্রে এ ভাবেই নিজের ঠিকানা খুঁজে নিয়েছে সল্টলেক।
|
বেনিয়াপুকুরে বস্তিতে আগুন
|
নবমীর দুপুরে আগুন লাগল বেনিয়াপুকুরের এক বস্তিতে। দমকল জানায়, বুধবার বেলা একটা নাগাদ গোরাচাঁদ রোডের ওই বস্তিতে আগুন লাগে। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গোরাচাঁদ রোডে যান দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান ও দমকলের ডিজি দুর্গাপ্রসাদ তারানিয়াও। আগুন লাগার কারণ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি দমকলকর্তারা। দমকল সূত্রের খবর, ওই বস্তিটির ভিতরে একটি টায়ার মেরামতির কারখানায় প্রথমে আগুন লাগে। এর পর তা ছড়িয়ে পড়ে বস্তির অন্য ঘরগুলিতেও। বার করে আনা হয় ওই বস্তির বাসিন্দাদেরও। দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান বলেন, স্থানীয় যুবকেরা আগুন নেভাতে অত্যন্ত সহায়তা করেছেন। তা করতে গিয়ে এ দিন এক স্থানীয় যুবক জখম হন। তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দমকলের এক অফিসার জানান, ওই বস্তির একটি ঘরে প্রচুর টায়ার-সহ দাহ্য পদার্থ থাকার ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বস্তির টালির ছাদে উঠে আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন দমকলকর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দমকল অনেক দেরিতে পৌঁছয়। কিন্তু এই অভিযোগ মানতে চায়নি দমকল। জাভেদকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখানো হয়। মন্ত্রী অবশ্য বাসিন্দাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
|
ফাঁকা বাড়িতে চুরি হল বাগুইআটি থানার কেষ্টপুরের রবীন্দ্রপল্লিতে। পুলিশ জানায়, অষ্টমীর রাতে সপরিবার ঠাকুর দেখতে বেরোন রবীন্দ্রপল্লির সৌমেন পাল। রাত দুটো নাগাদ ফিরে দেখেন শোয়ার ঘরের জানলার গ্রিল ভাঙা, আলমারি খোলা। সৌমেনবাবুর অভিযোগ, লক্ষাধিক টাকার গয়না ও নগদ ১৭ হাজার টাকা উধাও। এখনও কেউ ধরা পড়েনি। |