ছোট শিল্পোদ্যোগীরা ব্যবসার প্রয়োজনে যাতে চটজলদি টাকা তুলতে পারেন, সেই জন্য কিষান ক্রেডিট কার্ডের মতোই ‘লঘু উদ্যোগী ক্রেডিট কার্ড’ চালু করতে চায় রাজ্য সরকার। বিষয়টি চূড়ান্ত করতে আগামী মাসেই রাজ্য-ভিত্তিক ব্যাঙ্কার্স কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। সম্প্রতি মহাকরণে তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ছোট শিল্পোদ্যোগীদের জন্য এই ধরনের একটি ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প চালু করেছে বলে খবর পেয়েছি। আমরা চাই সব ব্যাঙ্ক এই প্রকল্প চালু করুক।” মানসবাবু জানান, চালু, রুগ্ণ অথবা বন্ধ ছোট কারখানাগুলির প্রকৃত অবস্থা খতিয়ে দেখতে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের সাহায্য নেওয়ার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা চলছে। তাদের দিয়ে একটি সমীক্ষা রিপোর্ট তৈরি করানোর কথা ভাবা হয়েছে সমীক্ষার উদ্দেশ্য, কোনও রুগ্ণ কারখানাকে বাঁচানো যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা। কী কারণে মালিক কারখানা চালাতে পারছেন না, তার কারণ জানা। জমি নিয়ে বছরের পর বছর ফেলে রাখা হয়েছে, নাকি কারখানার বদলে অন্য কাজে তা ব্যবহার করা হয়েছে, তা-ও যাচাই করা হবে সমীক্ষায়। রিপোর্ট পেলে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান ক্ষুদ্রশিল্পমন্ত্রী।
|
স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাদের রাইট্স ইস্যুর প্রস্তাব দ্রুত বিবেচনার আর্জি জানালেন কেন্দ্রের কাছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা মুডিজ দেশের বৃহত্তম এই ব্যাঙ্কের রেটিং কমিয়েছে। যার অন্যতম কারণ মূলধন সংক্রান্ত সমস্যা। কেন্দ্র রাইট্স ইস্যুর প্রস্তাবে সায় দিলেই মূলধনের ওই সমস্যা মিটবে বলে মনে করছে ব্যাঙ্কটি। চেয়ারম্যান প্রতীপ চৌধুরীর আশা, কেন্দ্রের সায় পেয়ে যাবেন। এবং আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বা বড় জোর মার্চের মধ্যেই রাইট্স ইস্যু ছাড়া যাবে বাজারে। এ দিকে, রেটিং কমার জেরে বুধবারও ৪% পড়ে স্টেট ব্যাঙ্কের শেয়ার দর দাঁড়ায় ১,৭১৫.৩০ টাকায়। যা গত ২৬ মাসে সর্বনিম্ন। এই দিন সেনসেক্সও ৭২.৪৫ পড়ে থামে ১৫,৭৯২.৪১ অঙ্কে। প্রতীপবাবু ক’দিন আগেই জানান, তাঁদের ব্যবসা বাড়ার সঙ্গে তাল রেখে মূলধন বৃদ্ধি বা ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসির হার ঠিক রাখতে পদক্ষেপ করা জরুরি। এই লক্ষ্যে রাইট্স ইস্যুই উপযুক্ত বলে মতও দেন কর্তৃপক্ষ। তাই ২০ হাজার কোটি টাকার রাইট্স ইস্যুর প্রস্তাব জমা দেওয়া হয় কেন্দ্রের কাছে। কিন্তু কেন্দ্র এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। সায় দিতে এত ঢিলেমি কেন কেন্দ্রের? বস্তুত, স্টেট ব্যাঙ্কে সরকারের মালিকানা ৫৯%। রাইট্স ইস্যু হলে তারও ৫৯% কেন্দ্রকে কিনতে হবে। সে ক্ষেত্রে তাদের ঘর থেকেই যাবে ২০ হাজার কোটি টাকার ৫৯%। কিন্তু আর্থিক অবস্থা মন্দ কেন্দ্রের। বাজার শ্লথ হওয়ায় বিলগ্নিকরণ প্রক্রিয়া থমকে। ওই খাতে টাকা আসছে না। এই অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে আগাম কর আদায়েও কমেছে। এই অবস্থায় এই রাইট্স ইস্যু নিয়ে কেন্দ্র কী করে, সেই দিকেই তাকিয়ে সকলে। |