অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজের দক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য। রাজারহাটে জমিহারাদের কর্মসংস্থানে সাহায্য করতেও শীঘ্রই এই ধরনের একটি কেন্দ্র খুলতে চায় তারা। সম্প্রতি চুঁচুড়ায় এমনই এক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধনে এসে এ কথা জানালেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্নেন্দু বসু।
পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, “বেসরকারি উদ্যোগে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি খুলতে চাই। এ জন্য চুক্তি করব বিভিন্ন উদ্যোগপতিদের সঙ্গে। কেন্দ্রগুলি হবে রাজ্য সরকার স্বীকৃত। প্রয়োজনে তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথাও ভাবা হবে।” |
পাশাপাশি, সরাসরি যাঁরা রাজ্য সরকারের কাছে চাকরির আবেদন করছেন, তাঁদের জন্য শ্রম দফতর একটি ‘এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক’-ও তৈরি করতে চলেছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, “প্রথমে আমরা ওই চাকরি প্রার্থীদের নাম তালিকাভুক্ত করব। তার পর বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। তালিকায় অষ্টম শ্রেণি পাশ থেকে শুরু করে স্নাতক, স্নাতোকত্তর এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রার্থীরাও থাকবেন।”
প্রসঙ্গত, চুঁচুড়ায় জেনাইটিসের উদ্যোগে ‘সোনার বাংলা’ নামের ওই কেন্দ্রে পরিচারিকার প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে কম্পিউটার মেরামতের মতো বিষয়ও রয়েছে। জেনাইটিস গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান শান্তনু ঘোষ বলেন, “এই উদ্যোগটি আমাদের সংস্থার সামাজিক দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত কাজ -এরই অঙ্গ। বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ মেলে। কাজের ব্যবস্থাও আমরাই করি। সমস্ত খরচও আমাদের।” এমনকী যে সব সংস্থার সঙ্গে কথা বলে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়, তাদের থেকেও ফি বাবদ বা অন্য খাতে তাঁরা অর্থ নেন না বলে দাবি তাঁর।
প্রায় ৪০ ধরনের কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, জানান জেনাইটিসের সিইও সুরজিৎ সান্যাল। তিনি বলেন, “নিরক্ষর, সাক্ষর বা অন্য কিছু শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন সকলের জন্যই উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই প্রশিক্ষণ নেওয়া যায়।” |