|
|
|
|
টুকরো খবর |
বিসর্জনের পরে ঠিক হয় নবান্নের দিন
নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি |
দুর্গাপুজোর মাধ্যমে প্রকৃতির আরাধনা ও ফসলের সমৃদ্ধি কামনা করার রীতি রয়েছে নলহাটি থানার মেহেগ্রামে। বিসর্জনের রাতে ঠিক হয় গ্রামে নতুন ধানের উৎসব ‘নবান্ন’ কবে হবে। গ্রামের সভাপণ্ডিত ঠিক করে দেন নবান্ন উৎসবের দিন। সেই মতো ওই দিনই গ্রামের সব সম্প্রদায় এই উৎসব পালন করবেন। আগে গ্রামে চারটি পারিবারিক পুজো হতো। বর্তমানে একটি বারোয়ারি পুজোও হয়। বারোয়ারি পুজোর জন্য পাকা দালানের চণ্ডীমণ্ডপ তৈরি হয়েছে। গ্রামের বাসিন্দা অজয়কুমার সিংহ জানান, ৪টি পারিবারিক ও ১টি বারোয়ারি পুজো মিলিয়ে ৫টি পুজোর উদ্যোক্তারা এক সঙ্গে কালীতলায় মিলিত হন। সপ্তমীর চর্তুদোলা গ্রামের উত্তর দিকে একটি কাঁদর থেকে যেমন নিয়ে আসে তেমনি ওই কাঁদরে এক সঙ্গে বিসর্জন করা হয়। গ্রামের প্রাচীন পুজো রায়জীদের বাড়ির পুজো। মাড়গ্রাম থানার বেলুন গ্রামের বাসিন্দা সুদর্শন মিত্রর মিত্রভূম এলাকার মধ্যে মেহেগ্রাম পড়ে। ওই গ্রামে সুদর্শন মিত্রের বংশধররা পুজোর প্রচলন করেন। পরবর্তীতে এক সময় পুজোর নৈবেদ্য ঠাকুরদালানে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছতে দেরি হয়। সেই জন্য রায়জীদের পুজো ভাগ হয়ে সিংহবাড়িতে পুজোর প্রচলন শুরু হয়। দু’টি বাড়িতে একচালিতে ১১ খানা মূর্তি তৈরি হয়। এই দু’টি পারিবারিক পুজোয় গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতী ছাড়া জয়া, বিজয়া ও দু’দিকে দু’টি মকড় থাকে। সন্ধি পুজোর সময়ে চামুণ্ডা রূপে দেবীর ধ্যান করা হয়। এখানে দেবী মূর্তির উপরে কোনও চাঁদুয়া বা কাপড় টাঙানোর রীতি নেই। এই দু’টি বাড়ি ছাড়া, মেহেগ্রামে বাবুবাড়ি ও মিত্র বাড়িতে পুজো হয়। দশমীর রাতে চারটি পারিবারিক পুজোর পাশাপাশি একটি সর্বজনীন পুজো বিসর্জনের পরে গ্রামের মেচণ্ডীতলায় সকলে মিলিত হন। সেখানে গ্রামের সভাপণ্ডিত ‘নবান্ন’ উৎসবের দিন ঘোষণা করে দেন। গ্রামের বাসিন্দা রাখহরি চক্রবর্তী জানান, এটাই গ্রামের সাবেকী রীতি বা ঐতিহ্য।
|
সিউড়িতে প্রকাশিত হল ‘মথ’
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
অষ্টমীর সকালে গান ও কবিতার বৈঠকী আড্ডায় প্রকাশিত হল লিটল ম্যাগাজিন ‘মথ’। ওই পত্রিকা গোষ্ঠীর অধিকাংশই তরুণ। কবিতা বিষয়ক ওই পত্রিকার সদস্যদের দাবি, “একটু অন্য ধরনের ভাবনার কবিতা ও কবিতা বিষয়ক গদ্য ছাপা হচ্ছে গত ন’বছর ধরে। তবে, এই প্রথম পুজোয় প্রকাশ করলাম।”পুজো বা শারদ উৎসবের অনুসঙ্গ হিসেবে লিটল ম্যাগাজিনের প্রকাশ নিয়ে বীরভূমে সাতের দশকের মাঝামাঝি থেকে আটের দশকের শেষ পর্যন্ত খুব মাতামাতি ছিল। জেলার নানা এলাকা থেকে প্রচুর লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি তা নিয়ে প্রতিযোগিতাও হত। এখন সে সব বন্ধ বলে আক্ষেপ অনেকেরই। |
|
|
|
|
|