আর কয়েক ঘণ্টা। তার পরেই বিসর্জন শুরু।
দুর্গাপুরের প্রতিমা বিসর্জনের জন্য ডিভিসি ব্যারাজ সংলগ্ন দামোদরের একটি ঘাট নির্দিষ্ট করা হয়েছে। জঞ্জাল জমে যাতে দূষণ না ছড়ায় তার জন্য নেওয়া হচ্ছে বেশ কিছু ব্যবস্থাও। স্থানীয় ৪ নম্বর বোরো কমিটির চেয়ারম্যান শিবশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় জানান, মূলত দশমী থেকে দ্বাদশী পর্যন্ত বিসর্জন পর্ব চলবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর শহর ও সংলগ্ন গ্রামাঞ্চলে বহু পুজো হয়। তবে মূলত সর্বজনীন পুজো কমিটিগুলিই দামোদরে প্রতিমা বিসর্জন করে। সে কারণে নির্দিষ্ট ঘাটটিতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়। থাকে পানীয় জলের ট্যাঙ্কারও। এ বার ঘাটের পাশে একটি অংশ জাল দিয়ে ঘেরা থাকছে। সেখানে পুজোর ফুল, বেলপাতা প্রভৃতি ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরসভা কয়েক জন কর্মীকে সেখানে রাখবে। তাঁরা যেমন প্রতিমা বিসর্জনের পর কাঠামো তুলবেন, তেমনই জালে জমা পুজোর উপাচারও তুলে ফেলবেন।
বোরো কমিটির চেয়ারম্যান শিবশঙ্করবাবু বলেন, “দশমীর রাত থেকেই ওই কর্মীরা কাজে নেমে পড়বেন।” তিনি জানান, আগে প্রতিমা বিসর্জনের পরে দামোদরের দূষণ নিয়ে বহু অভিযোগ উঠত। পরিবেশের স্বার্থে গত কয়েক বছর ধরে দশমী থেকে দ্বাদশী পর্যন্ত ঘাট পরিষ্কারের ব্যবস্থা করেছে।
তবে দামোদর ছাড়াও অনেকে প্রতিমা বিসর্জন করেন বিভিন্ন পুকুরে। মূলত পারিবারিক এই সমস্ত পুজোর উদ্যোক্তাদের পুরসভার পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে, যাতে তাঁরা একাধিক পুকুরে প্রতিমা নিরঞ্জন না করে নির্দিষ্ট কয়েকটি পুকুর ব্যবহার করেন। পুরসভার ডেপুটি মেয়র শেখ সুলতান জানান, সে ক্ষেত্রে পুরসভার কর্মীদের কাজ করতে সুবিধা হয়। দ্রুত পুকুরগুলি পরিষ্কার করা সম্ভব হবে। লোকবল সীমিত হওয়ায় বহু পুকুর এক সঙ্গে পরিষ্কার করা সম্ভব নয়।
দুর্গাপুর পুরসভা জানিয়েছে, বিসর্জনের পরে দামোদরের ঘাট ও পুকুর পরিষ্কার করার জন্য ইতিমধ্যে পরিকল্পনা হয়ে গিয়েছে। যদিও নির্দিষ্ট ঘাট ছাড়াও কেউ কেউ অন্যত্র প্রতিমা বিসর্জন করেন। আবার পুজো শেষ হওয়ার সপ্তাহখানেক পরেও টাউনশিপ বা পুর এলাকার বিভিন্ন পুকুর পরিষ্কার না করার অভিযোগ ওঠে প্রতি বারই। ডেপুটি মেয়রের বক্তব্য, পুরসভার নজরে এলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে খবর দেরিতে আসে। তিনি বলেন, “পুজোর উদ্যোক্তারা যদি সহযোগিতা করেন, আমাদের সুবিধা হয়।”
|
মণ্ডপের ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে বচসার জেরে এক সিআইএসএফ জওয়ানকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর বাজার সর্বজনীন মণ্ডপ চত্বরে। গুরুতর জখম অবস্থায় দেবাশিস দত্ত নামে ওই জওয়ানকে বিধানগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাতে দেবাশিসবাবু সপরিবার ওই পুজো মণ্ডপে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, মোবাইলে মণ্ডপের ছবি তোলার সময় কয়েক জন যুবক তাঁকে বাধা দেন। বচসা শুরু হয়। হঠাৎ ওই যুবকেরা দেবাশিসবাবুর উপরে চড়াও হয়। তাঁকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ডিসিপি শুভঙ্কর সিংহ সরকার জানান, বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুজো কমিটির পক্ষে অশোক চট্টোপাধ্যায় জানান, আমরা চাই দোষীদের ধরে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিক। |