টুকরো খবর

সালুয়ায় লুঠ খাস ইএফআর সমবায়ে
আরক্ষাবলয়েই কি না এত বড় ছিদ্র! খড়্গপুরের সালুয়ায় ইএফআরের সদর দফতরের ভিতরে সমবায়-কার্যালয় থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা লুঠের অভিযোগ উঠেছে। আর তার সঙ্গেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও উঠে পড়েছে বড়সড় প্রশ্ন। বুধবার লুঠের অভিযোগ জমা পড়ার পরে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীরেজ খালেদ জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সালুয়ায় ইএফআরের ১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কো-অপারেটিভ সোসাইটিতে মঙ্গলবার রাতে লুঠের ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তালা ভেঙে সোসাইটির কার্যালয়ে ঢোকে। তার পর একটি বাক্স ভেঙে নগদ প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা লুঠ করে চম্পট দেয়। বুধবার সকালে দেখা যায়, সোসাইটি-কার্যালয়ের তালা ভাঙা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশও। সালুয়ায় সর্বক্ষণই কড়া নজরদারি থাকে। তা সত্ত্বেও কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তদন্তে তা-ও দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কথায়, “ওখানে সেন্ট্রি থাকে। তা-ও কী ভাবে লুঠের ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

পুজো পান দস্যু আস্তানার সেই মূর্তি
নিজস্ব চিত্র।
জলদস্যুর আস্তানা থেকে পাওয়া ধাতব দুর্গার সঙ্গে মাটির দুর্গাও পুজো পেয়ে আসছেন দাঁতনের জেনকাপুর রায়গড়ে। দাঁতন শহরের দশ কিলোমিটার পূর্বে জেনকাপুর গড়। কলিঙ্গরাজ গঙ্গদেব মেদিনীপুর-সহ রাঢ় অঞ্চল তাঁর শাসনসীমায় আনেন। এলাকাগুলি সমুদ্র ও নদী-উপকূলবর্তী হওয়ায় জলদস্যুদের আক্রমণে জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছিল। কলিঙ্গরাজের নির্দেশে জলদস্যু-দমনে গঞ্জাম থেকে এসে দুঃসাহসিক অভিযান চালান কালীয়গঞ্জন। সে সময়ে দস্যুদের আস্তানা থেকে উদ্ধার হয় চতুর্ভুজা ধাতব দুর্গামূর্তি ও খড়্গ। দমন-অভিযানে সফল হয়ে কালীয়গঞ্জনপারিতোষিক হিসাবে পান ‘রাজা’ উপাধি ও ওই অঞ্চলের কিছু তালুক। পরে দিল্লির মোগল বাদশা বা ব্রিটিশ সরকারও এই পরিবারের ‘রাজ’ উপাধি ও জমিদারি বহাল রাখে। বিভিন্ন সময়ে এঁরা চৌধুরী, রায়, সিংহ, ভুঁইয়া ইত্যাদি উপাধিও পান। ষোড়শ শতকের শেষ ভাগে জেনকাপুরে গড় স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে চতুর্ভুজা ওই দুর্গাদেবীকে প্রতিষ্ঠা করা হয় কুলদেবী রূপে। শুরু হয় পুজো। এক ফুট লম্বা ও দশ ফুট চওড়া ধাতব মূর্তিটি একচালার। এই পুজো পারিবারিক হলেও প্রথম থেকেই তা আঞ্চলিক উৎসবের রূপ নেয়। বর্তমানে পুজো পরিচালনা করে শ্রীদুর্গা ট্রাস্ট কমিটি। কমিটির সম্পাদক বিশ্বব্রত রায় বলেন, “পুজোর ক’দিন আয়োজন করা হয় যাত্রাগান-সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।” রায় বাড়ির আর এক সদস্য চিকিৎসক অনাদিকৃষ্ণ পুজোর ক’দিন এলাকার মানুষের চিকিৎসাতেই পান অপার আনন্দ।

আনন্দে সামিল ওঁরা
কেউ অন্যের বাড়িতে রান্না করেন। কেউ বাসন মাজেন বা কাপড় কাচেন। পুজো দেখার ফুরসৎ কই তাদের! কিন্তু পুজো তো সর্বজনীন। আনন্দে সবারই অধিকার। নবমীর দিন এই মানুষগুলোকে পুজো দেখানোর আয়োজন করল মেদিনীপুর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কংগ্রেস কমিটি। বিপিএল তালিকা ধরে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও শিশুদের গাড়িতে করে প্রতিমা দর্শন করাল তারা। মাঝপথে ছিল টিফিনেরও ব্যবস্থা। শেষে মধ্যাহ্নভোজ। এই আয়োজনে বেজায় খুশি টুনি দোলই, সবিতা দাস, সোমবারি হাঁসদারা। বয়স ষাট পেরিয়েছে। চোখেও কম দেখেন। অর্থবলও নেই। এহেন টুনি দোলই বলেন, “অনেক বছর ঠাকুর দেখা হয়নি। এ বার সাধ পূরণ হল। খুব ভাল লাগছে।” পারুল মুর্মু, কাঞ্চন দোলইরা বলেন, “আগে কত পুজো দেখেছি। পুজোয় সেই সব কথা খুব মনে পড়ত। ইচ্ছেও করত বেরিয়ে পড়ি। বয়স হয়েছে। হেঁটে-হেঁটে সারা শহর ঘোরার ক্ষমতা নেই। গাড়ি ভাড়া করে বা রিকশাতেও পুজো দেখার সামর্থ্য নেই। তাই অনেক দিন পুজো দেখা হয়নি। এ বার সেই সুযোগ পেয়ে খুব আনন্দ হচ্ছে।” ওয়ার্ড কংগ্রেস কমিটির নেতা চন্দন রায় বলেন, “পুজোর সময় সবারই তো আনন্দ করতে ইচ্ছে করে। তাই এই উদ্যোগ।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.