টুকরো খবর |
দর্শনার্থীর ঢল সপ্তমীর সন্ধ্যায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
সন্ধি পুজোর পর দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সদর বালুরঘাট এবং মহকুমা শহর গঙ্গারামপুরের মধ্যে নিমেষে দূরত্ব কমে গেল। বাস, ট্রেকার, অটো ভাড়া করে মানুষের দুই শহরের প্রতিমা দর্শনে প্রতিযোগিতা বেড়েই চললো। রাতভর গাড়ি নিয়ে প্রতিমা দেখার উৎসাহ অষ্টমীতেও সমানভাবে ছিল হিলি সীমান্তের বিগ বাজেটের বিপ্লবী, যজ্ঞতলা ও সীমান্ত শাখা ক্লাবের মণ্ডপে। গঙ্গারামপুরের ইয়ুথ ক্লাব, চিত্তরঞ্জন, কালীতলা, চৈতালি, ফুটবল ক্লাব, দুর্গাবাড়ির মতো ঐতিহ্যপূর্ণ পুজো মণ্ডপে দুপুর থেকে গ্রামের মানুষের ঢল নামে। বালুরঘাটের গৌড় লিঙ্ক প্যাসেঞ্জার ট্রেনে চেপে দলে দলে দূরের গ্রাম থেকে দর্শনার্থীরা বেলা ১১ টায় শহরের মণ্ডপে ভিড় জমান। বিপ্লবী সঙ্ঘের কাচের তৈরি মণ্ডপ ও শ্বেত পাথরের আদলে প্রতিমা দেখে অবাক তপনের মালঞ্চা এলাকার দিলীপ সরকার বলেন, “নানা রঙের ডায়মন্ড কাচের কারুকার্য দেখার মতো। শুনেছি গঙ্গারামপুরের ইয়থ ক্লাব ও শিখ মহলের ধাঁচে কাচের মণ্ডপ তৈরি করেছে। গাড়ি নিয়ে সবাই যাচ্ছি।” শহরের বেলতলা পার্ক এলাকার রাজা মণ্ডল তো পুরো ছক করে। পরিবার নিয়ে বেরিয়েছেন। তার বক্তব্য, “টাক্সি ভাড়া ঠিক হয়ে গিয়েছে। রাত ১২ টায় হিলির পুজো দেখার পালা। তার আগে গঙ্গারামপুরের পুজো দেখতে তার মতো অভিষেক, বিবেক পালদের ভরসা বিকেলের বালুরঘাট থেকে মালদহগামী গৌড় লিঙ্ক ট্রেন। তবে বালুরঘাটের সেই পরিচিত আদিবাসীদের চলমান লোক নৃত্যের দলের শোভাযাত্রা তেমন দেখা গেল না। জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী বলেন, “বেশি রাতে বালুরঘাটের পুজো দেখতে বের হব।” ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি এনসিসি এবং সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের হিমসিম খেতে হয়।”
|
পুজোয় অভিযান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
পুজোয় বিদ্যুৎ চুরি রুখতে অভিযান চালাচ্ছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির কর্মী, অফিসারদের। ষষ্ঠী এবং সপ্তমী, দুই দিন অভিযান চালিয়ে জেলার ৬১ পুজো কমিটিকে জরিমানা করে প্রায় ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের পরেও বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ না হওয়ায় উদ্বিগ্ন দফতরের কর্তারা। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার দীপক মণ্ডল বলেন, “পুজোয় বিদ্যুৎ চুরি রুখতে এবং ক্লাবগুলির উপর নজরদারি রুখতে জেলা ১৭টি টিম তৈরি করা হয়। ৬১টি পুজো কমিটিকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান, নজরদারি চলছে।” সংস্থা সূত্রের খবর, এবার জেলার ৫৭৫টি পুজো কমিটি ৭৩২১ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য আবেদন করে প্রায় ৯ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জমা দিয়েছে। এরমধ্যে যারা কম টাকা দিয়ে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে, তাঁদের জরিমানা করা হচ্ছে। এই মরশুমে সাধারণ প্রতিদিন মালদহে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় ৭০ থেকে ৭২ মেগাওয়াট। পুজোয় তার চাহিদা ৬ থেকে ৭ মেগাওয়াট বেড়ে যায়। সেখানে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহের টাকা জমা পড়েছে তার থেকে অনেক বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে।
|
পুজোয় মারপিট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইসলামপুর |
দুই পুজো কমিটির বচসাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। সোমবার রাতে ইসলামপুর থানা কলোনি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ পৌঁছলে তাদের লক্ষ্যকরে ঢিল ছুড়তে থাকেন পুজো কমিটির লোকজন। ঢিলের আঘাতে জখম হন ৩ পুলিশ কর্মী। তাঁদের এক জনকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে অবশ্য তাঁকে হাসপাতা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাতে ইসলামপুর থানা কলোনি এলাকায় দুই পুজো কমিটির সদস্যের মধ্যে গোলমাল বাঁধে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে মদ্যপ অবস্থায় দুই পুজো কমিটির সদস্যরা গোলমালে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ গেলে তাদের লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়া হতে থাকে। কী কারণে গোলমাল হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
|
পুজোর জলসা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মাথাভাঙা |
পুজো মানে মণ্ডপসজ্জা, নজরকাড়া প্রতিমা নয়। পুজো মানে গোটা চত্বরের বাসিন্দাদের এক পরিবারের সদস্য হয়ে ওঠা। পুজো মানে আড্ডা, সংস্কৃতি পত্রিকা, জলসার আনন্দ উপভোগ। মাথাভাঙার হাসপাতাল পাড়ার পুজো ঘিরে এমন সব বিষয় দেখা যায়। ফি বছরের মতো এ বারও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। পুজো কমিটির তরফে নবমীর দিন হাসপাতালপাড়ার প্রায় দেড়শ পরিবারের দুপুরের খাওয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাসপাতালপাড়া পুজো কমিটির কর্মকর্তা সৃজন সরকার বলেন, “আমাদের পুজোর বাজেটে পাড়ার বাসিন্দাদের খাওয়ানোর খরচও ধরা থাকে। পুজোয় এক দিন সকলে মিলে ভূরিভোজে মেতে উঠতে পারে।” কর্মসূত্রে বাইরে থাকা বাসিন্দারাও ছুটে আসেন। মন্ডপ চত্বরে জমে ওঠে আড্ডা। সন্ধ্যায় জলসার আয়োজন করা হয়। অষ্টমীতে ছিল আধুনিক বাংলা গানের আসর। প্রকাশ করা হয়েছে সাহিত্য প্রত্রিকা ‘স্বপ্নিল’।
|
যান নিষিদ্ধ শহরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিবাড়ি |
দর্শনার্থীদের পুজো মণ্ডপে ঘোরার সুবিধার জন্য সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শহরে মধ্যে যান চলাচল নিষিদ্ধ করল হলদিবাড়ি পুরসভা। অষ্টমী থেকে দশমী সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত শহরের মধ্য দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে। মঙ্গলবার হলদিবাড়ি পুরসভার তরফে মাইকিং করে তা জানানো হয়েছে। ওই সময় শহরের প্রধান রাস্তাগুলিতে গাড়ি, মোটর বাইক চলাচলও নিষিদ্ধ। রিকশা, ভ্যান রিকশা চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহর লাগোয়া বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা যাঁরা রাতে প্রতিমা দর্শন সেরে বাড়ি ফিরতে চান তাঁরা বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকা থেকে রিকশা, ভ্যানরিকশা পাবেন। হলদিবাড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরাঙ্গ নাগ বলেন, “বাসিন্দারা যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিমা দর্শন করতে পারেন সে কথা মাথায় রেখেই শহরে যান চলাচলে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।”
|
জন্মসার্ধশতবর্ষ পালন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের জন্ম সার্ধশতবর্ষ উদযাপন করল জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার মহাস্টমীর সকালে শহরে সাগরদিঘীর পাড়ে ওই অনূুষ্ঠান হয়ছে। মহারাজার মূর্তিতে মাল্যদান করেন জেলাশাসক মোহন গাঁধী, পুলিশ সুপার প্রণব দাস। এনবিএসটিসি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, কোচবিহার হেরিটেজ সোসাইটি কর্মকর্তা অরূপজ্যোতি মজুমদার, বার অ্যাসোসিয়শনের সদস্য শিবেন রায়, কোচবিহার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান আমিনা আহমেদ নিজের সংস্থা ও দফতরের তরফে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। জেলা শাসক বলেন, “স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রীদের যুক্ত করে বর্ষব্যাপী উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।”
|
চাঁদার জুলুম, নালিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
গাড়ি থামিয়ে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহারের সাহেবেরহাট এলাকায়। মঙ্গলবার ই ঘটনার জেরে কোচবিহার-সাহেবের হাট রুটে এক ঘণ্টা বাস চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। সাহেবের হাটের পাকুড়তলা এলাকার একটি পুজো কমিটির বিরুদ্ধে গাড়ি থামিয়ে চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে বচসার জেরে উত্তেজনা ছড়ায়।
|
শিল্পীর পাশে বিবৃতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
সাইটোল শিল্পী ফুলতি গিদালীর পাশে দাঁড়াল মাথাভাঙ্গার ‘বিবৃতি’ পত্রিকা গোষ্ঠী। মঙ্গলবার পত্রিকার কর্মকর্তারা দিনহাটায় ওই প্রবীণ শিল্পীর বাড়িতে গিয়ে শাড়ি, নতুন পাখা প্রভৃতি উপহার সামগ্রী তুলে দেন। উদ্যোক্তাদের পক্ষে দেবাশিস দাস বলেন, “এদিনই ওই শিল্পীর বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়।”
|
পুজোয় স্মারক সম্মান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
ব্যবসায়ী সংগঠনের বিচারে কোচবিহারের বেলতলা ইউনিট শ্রেষ্ঠ স্মারক সম্মান পেল। এ ছাড়াও দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে লীলাস্মৃতি ভবানি মন্দির ও বিশ্বসিংহ রোড সর্বজনীন পুজো কমিটিকে। প্রতিমায় সেরা পুরস্কার পাচ্ছেন সংহতি ক্লাব, মণ্ডপে কিশোর সংঘ। বিশেষ পুরস্কার পাচ্ছে এসিডিসি ইউনিট।
|
পুরস্কার |
সেরা পুজো কমিটিকে পুরস্কৃত করবে মালবাজার মহকুমা প্রশাসন। এই ব্যাপারে চার সদস্যের বিচারক দল তৈরি করা হয়েছে।
|
জামা বিলি |
পথশিশু ও দুঃস্থদের ২৫ জনকে নতুন জামা প্যান্ট তুলে দিয়ে মহাষ্টমীতে পংক্তিভোজের আয়োজন করে উৎসবে মাতলেন বালুরঘাটের চকভৃগুর প্রগতি সঙ্ঘ।
|
বস্তিতে বনমন্ত্রী |
বনবস্তির পুজোয় হাজির থেকে অঞ্জলি দিলেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। লাটাগুড়িতে বিচাভাঙা বনবস্তিতে ইকো ডেভলপমেন্ট কমিটির উদ্যোগে ওই পুজোয় হাজির ছিলেন বনমন্ত্রী। তার আগে লাটাগুড়ি প্রকৃতি বীক্ষণে চিকিৎসা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। জলপাইগুড়ির বন্য প্রাণ ডিএফও সুমিতা ঘটক জানান, আড়াই লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। |
|