|
|
|
|
তারে ঠেকে থমকে গেল দোতলা ট্রেন |
অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় • কলকাতা |
ট্রেনটি ঘসা খাওয়ায় প্ল্যাটফর্ম কেটে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু সোমবার ২৫ হাজার ভোল্টের ওভারহেড তারে ট্রেনের মাথা ছুঁয়ে যাওয়ায় বিকট শব্দ আর আলোর ঝলকানি তুলে দাঁড়িয়ে গেল ৫০ কোটি টাকার দোতলা ট্রেন। এর জেরে হাওড়া কারশেডের কাছে ওভারহেডে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরপর দাঁড়িয়ে যায় লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন। প্রায় ৫০ মিনিট পরে ডিজেল ইঞ্জিন লাগিয়ে ট্রেনটিকে আনা হয় প্ল্যাটফর্মে। যাত্রীদের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আতঙ্ক ছড়ায়।
ট্রেনটি তৃতীয় লাইন দিয়েই আসছিল। টিকিয়াপাড়া কারশেডের কাছে একটি উড়ালপুল পার হওয়ার সময়ে একটি কামরার মাথায় ওভারহেড তার ঠেকে যায়। প্রচণ্ড আওয়াজ করে বিদ্যুতের ঝলকানি দিয়ে ট্রেনটি থেমে যায়। আশপাশের সমস্ত লাইনেও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দাঁড়িয়ে পড়ে সব ট্রেন।
ভিড় সামলাতে হাওড়া-ধানবাদ রুটে দোতলা ট্রেন চালানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলকর্তারা ওই ট্রেন তৈরির বরাত দেন রেলেরই সংস্থাকে। কিন্তু নকশায় ত্রুটির জন্য ট্রেনটি চওড়ায় বেড়ে যায়। পরীক্ষামূলক ভাবে চালাতে গিয়ে প্ল্যাটফর্মে ঘষা খেতে থাকে।
ট্রেনটির গতি বেশি হওয়ায় কামরার দুলুনিও বেশি। ফলে প্ল্যাটফর্ম কেটেও ঘষা লাগা থামানো যায়নি। শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা কমিশনারের ছাড়পত্র পেয়ে ১ অক্টোবর রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী হাওড়া থেকে ট্রেনটির উদ্বোধন করেন।
গতি কমিয়ে তিন দিন মোটামুটি ঠিকঠাকই চলেছে ট্রেনটি। এ দিনও ভালই এসেছে। কিন্তু কামরার মাথা ওভারহেড তারে ঠেকে যাওয়ায় ট্রেনটির নিরাপত্তা নিয়ে নতুন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যদিও রেলের কর্তারা বলেছেন, কামরার উচ্চতা সমস্যা নয়, ওভারহেড তারই ঝুলে গিয়ে থাকতে পারে।
পূর্ব রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং (বিদ্যুৎ) বিভাগের এক কর্তা বলেন, “ওভারহেডে কেন ছোঁয়া লাগল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে যেখানে ঘটনা ঘটেছে, সেই এলাকায় সম্ভবত ওভারহেড তার ঝুলে গিয়েছিল, অথবা লাইনটি উঁচু হয়ে গিয়েছিল। ঠিক কী ঘটেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” তবে ট্রেনের কামরা ওভারহেড তারে ঠেকে গেলেও যাত্রীদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বলে দাবি ওই কর্তার। তাঁর কথায়, ট্রেনের কামরা ওভারহেড তারে স্পর্শ করলেই লাইনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। গাড়ির ভিতরে তার প্রভাব পড়বে না। |
|
|
|
|
|