ফেরালেন প্রস্তাব |
শর্ত মেনে বাড়তি সময়
পদে থাকতে রাজি নন অমিতা
নিজস্ব সংবাদদাতা |
|
|
নির্দিষ্ট সময় বেঁধে কার্যকাল বাড়ানোর প্রস্তাব এলে বিবেচনা করতে পারেন। কিন্তু শর্তসাপেক্ষে মেয়াদ বৃদ্ধির সরকারি প্রস্তাবে রাজি নন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অমিতা চট্টোপাধ্যায়। সোমবার শর্ত-সহ প্রস্তাব আসার পরে লিখিত ভাবেই তা ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে অমিতাদেবীর কার্যকালের মেয়াদ আজ, বুধবার শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু প্রেসিডেন্সির পরবর্তী উপাচার্য কে হবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। কয়েক দিন আগেই আচার্য তথা রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের সঙ্গে আলোচনার পরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্সির নতুন উপাচার্য খোঁজার জন্য সার্চ বা অনুসন্ধান কমিটি গড়া হবে। এবং নতুন উপাচার্য কার্যভার গ্রহণ করা পর্যন্ত অমিতাদেবী কাজ চালিয়ে যাবেন।
সোমবার বিকেলে রাজভবন থেকে পাঠানো চিঠিতে অমিতাদেবীকে শর্তসাপেক্ষে তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধির কথা জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হল আরও দু’মাস অথবা নতুন উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ যেটি আগে হবে, সেই সময় পর্যন্ত। অর্থাৎ বাড়তি দু’মাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যদি নতুন উপাচার্য এসে যান, তা হলে তাঁর যোগদানের সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে যাবে অমিতাদেবীর মেয়াদ।
মেয়াদ বৃদ্ধির এই শর্তে তিনি রাজি নন বলে অমিতাদেবী ইতিমধ্যেই লিখিত ভাবে আচার্যকে জানিয়ে দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, কর্মজীবনের এই পর্যায়ে এসে তাঁর পক্ষে এই ধরনের শর্তে রাজি হওয়া সম্ভব নয়। এক জন শিক্ষানবিশও নিয়োগের সময় জানতে পারেন, তাঁর চাকরির মেয়াদ কত দিনের। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্সিতে তাঁর কাজের বাড়তি মেয়াদ দু’মাস হতে পারে বা তাঁর চেয়ে কম যে-কোনও সময় হতে পারে। এটাই তাঁর পক্ষে মানা সম্ভব হচ্ছে না।
অমিতাদেবী আগেই জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্সির উপাচার্যের পদে আরও কিছু দিন দায়িত্ব পালন করতে তিনি অরাজি নন। কিন্তু তা কোনও অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য নয়। মঙ্গলবারেও তিনি বলেন, “আচার্য এবং রাজ্য সরকার যদি কোনও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কার্যকাল বাড়ানোর প্রস্তাব দেন, তা হলে এখনও সেটা বিবেচনা করতে পারি।
চলতি মাসেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যকাল শেষ হওয়ার কথা। শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, সেখানে উপাচার্যের কাজের মেয়াদ আরও ছ’মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। |