বেগুনের পাইকারি দাম ১৬ টাকা কিলোগ্রাম। সেই বেগুন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।
• পুঁইশাকের পাইকারি দাম ১২ থেকে ১৫ টাকা কিলোগ্রাম। অথচ খুচরো বাজারে তা বিকোচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে।
• একটা ফুলকপির পাইকারি দর যেখানে ২০-২৫ টাকা, সেখানে বিভিন্ন বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
মঙ্গলবার কয়েকটি বাজার ঘুরে বাজারদরের এই ছবিটা দেখে এসেছেন রাজ্যের কৃষি ও বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়। অগ্নিমূল্যের আঁচে সাধারণ মানুষ ঝলসে যাচ্ছেন বেশ কিছু দিন ধরেই। তাঁদের কাছে এই খতিয়ান নতুন কিছু নয়। তবে মন্ত্রীর এ দিনের ঘোষণায় তাঁদের জন্য কিছুটা আশ্বাস আছে। মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, যে-সব ‘মিডলম্যান’ বা ‘ফড়ে’র জন্য শাকসব্জির দাম বাড়ছে, তাদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কড়া ব্যবস্থা নেবে। হাওড়ার কয়েকটি খুচরো ও পাইকারি বাজারে সরেজমিনে পরিদর্শনের পরে মন্ত্রী জানান, ‘ফড়েদের’ জন্যই উৎসবের মরসুমে শাকসব্জির দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। হাওড়ার কয়েকটি বাজারে গিয়ে মন্ত্রী এ দিন কাঁচা সব্জির দরদাম করতে শুরু করে দেন। খুচরো বাজারের সঙ্গে দামের পার্থক্য যাচাই করার জন্য তার পরেই তিনি চলে যান হাওড়ার মূল পাইকারি বাজারে। দু’ধরনের বাজার ঘুরে বেগুন-ফুলকপি থেকে পুঁইশাকের পাইকারি ও খুচরো দামের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক দেখে অবাক হয়ে যান তিনি। অরূপবাবু জানান, পুজোর আগে কয়েক দিন ধরেই শাকসব্জির দাম বাড়ছিল। আলু-পেঁয়াজ থেকে শুরু করে পুঁইশাক পর্যন্ত সব ধরনের সব্জিই দ্বিগুণ বা তারও বেশি দরে বিকোচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, “পাইকারি ও খুচরো বাজারের দামে এতটা ফারাক কেন, তার কারণ খুঁজতে বেরিয়েছিলাম। বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে বুঝতে পারলাম, দাম বাড়ার জন্য দায়ী কিছু ‘মিডলম্যান’ বা ফড়ে। তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতেই হবে।” |