মহাষ্টমীতেও শেয়ার বাজারের মুখ ভার। সোমবার ৩০২ পয়েন্টের পর মঙ্গলবারও ২৮৭ অঙ্ক পড়ল সেনসেক্স। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা সত্যি করে নেমে গেল ১৬ হাজারের নীচে। এর প্রথম কারণ এ দিন আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা মুডিজ-এর কাছে স্টেট ব্যাঙ্কের রেটিং কমে যাওয়া। আর দ্বিতীয় কারণ গ্রিসের আর্থিক সঙ্কট নিয়ে বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক। যার জেরে সার্বিক ভাবে ১৫ মাসের মধ্যে সব থেকে নীচে নেমে এসেছে সারা বিশ্বের শেয়ার বাজারই।
মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে গত দেড় বছর টানা সুদ বাড়িয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। অথচ গত কয়েক মাস ধরে ক্রমশ ঢিমে হচ্ছে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির গতি। মুডিজ মনে করছে, এই দু’য়ের জেরে বাড়তে পারে স্টেট ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ। পাশাপাশি, দেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কটির মূলধন (বিশেষত তার জোগাড়) সংক্রান্ত বিষয়েও কিছু সমস্যা রয়েছে বলে রেটিং সংস্থাটির অভিমত। তাই স্টেট ব্যাঙ্কের রেটিং ‘সি-’ থেকে এক ধাপ নামিয়ে ‘ডি+’ করে দিয়েছে তারা। যার জেরে ৪.০৮% পড়ে গিয়েছে ব্যাঙ্কের শেয়ার দর। নেমেছে গত এক বছরে সব থেকে নীচে।
স্টেট ব্যাঙ্কের রেটিং কমার পরই দ্রুত নামতে শুরু করে ভারতের শেয়ার বাজার। বিশেষজ্ঞদের মতে, লগ্নিকারীদের আস্থা এখন এতটাই তলানিতে, যে একটি ব্যাঙ্কের রেটিং কমার আতঙ্কেই বাজার পড়ে যাচ্ছে প্রায় ৩০০ পয়েন্ট। এর থেকেই স্পষ্ট যে, বাজার এই মুহূর্তে ঠিক কতটা নড়বড়ে। তাঁদের অনেকেরই মতে, স্টেট ব্যাঙ্কের এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সমস্যা হবে না। বিশেষজ্ঞ অজিত দে মনে করছেন, “দাম কমায় স্টেট ব্যাঙ্কের শেয়ার কেনার এটাই ভাল সময়।”
গ্রিসের আর্থিক সঙ্কট মেটা নিয়ে টালবাহানার জেরে বিশ্ব জুড়েই শেয়ার বাজারের মুখ ছিল নীচের দিকে। এশিয়া ও ইউরোপে অধিকাংশ বাজার পড়েছে। খোলার পর নিম্নমুখী ছিল মার্কিন শেয়ার বাজারও। তা ছাড়া, গত ৩ অক্টোবর এস অ্যান্ড পি-৫০০ সূচক ২০০৮-এর ৩ অক্টোবরের অঙ্কেই বন্ধ হওয়ায় মন্দার আতঙ্ক তাড়া করেছে ভারত-সহ বহু বাজারকে। আর এই সব কারণেই এ দিন ২৮৬.৫৯ পয়েন্ট পড়েছে সেনসেক্স। থিতু হয়েছে ১৫,৮৬৪.৮৬ অঙ্কে। ৭৭.৩৫ পয়েন্ট পড়েছে নিফটি-ও। |