বাড়ির কাছেই হাওড়া ব্রিজ। ভিক্টোরিয়া, মনুমেন্ট থেকে মহাকরণ।
দুর্গাপুর বাজার সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির ৪২তম বর্ষে এ বার থিম কলকাতা মহানগরী। বাইরে মহানগরী দেখার পরে ভিতরে গেলেই দেখা মিলবে থার্মোকলের সঙ্গে পরিত্যক্ত সিমেন্টের বস্তা, কাগজ, নাইলন দড়ি, আঠা-সহ বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে ফুটিয়ে তোলা বিভিন্ন চিত্র। মেদিনীপুর থেকে এই মণ্ডপ তৈরি করতে এসেছিলেন চয়ন সাউ। তাঁর কথায়, “অভিনবত্ব আনতেই এমন উদ্যোগ।” তবে মণ্ডপের থিম যাই হোক প্রতিমা একচালার সাবেক। মণ্ডপের মাঠে বসেছে মেলাও। দুর্গাপুর ছাড়াও বাঁকুড়া থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা। পুজো কমিটির সহ-সভাপতি সম্পদকুমার অগ্রবাল জানান, “এ বার বাজেট প্রায় ৮ লক্ষ টাকা। শিল্পাঞ্চলের দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে চন্দননগরের আলো।” |
তিন বছর ধরে সকলে মিলে টাকা জমিয়ে এ বার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে পুজো করছেন এবিএল-এর বাসিন্দারা। এবিএল সর্বজনীন পুজো কমিটির বাজেট প্রায় দশ লক্ষ টাকা। কমিটির তরফে দীপকপ্রসন্ন রায় জানান, এখানাকার পুজোয় মহিলাদের স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যোগ দেন। তাই এ বার একটি কাল্পনিক মণ্ডপ তৈরি হয়েছে বঁটি, হাতা, খুন্তির মতো সামগ্রী দিয়েই। ৫০তম বর্ষে থাকছে চোখধাঁধানো আলোকসজ্জাও। প্রতি দিনই রয়েছে পঙ্ক্তিভোজের ব্যবস্থা ও সন্ধ্যায় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এ বার বাঁশ দিয়ে মণ্ডপ তৈরি হয়েছে ক্লাব স্যান্টোসের পুজোয়। এ বার তাঁদের পুজো পা দিল ৪১ বছরে। উদ্যোক্তাদের পক্ষে হৃদয় সাঁই জানান, মণ্ডপে গিয়ে মনে হতে পারে কোনও বাঁশের কেল্লা। ক্লাবের মাঠে তৈরি মন্ডপে বাঁশের ডিজাইনের সঙ্গে রয়েছে কঞ্চি, কাপড় ও রকমারি ফ্যাব্রিকের কাজ। তবে এখানেও প্রতিমা সাবেক ডাকের সাজে। মাঠের এক দিকে মঞ্চে প্রতি দিনই রয়েছে নানা অনুষ্ঠান।
আয়োজকদের প্রচেষ্টা কতটা সফল, জানিয়ে দিচ্ছে মণ্ডপে মানুষের ঢলই। |