|
• হঠাৎ করে মন্ডপ দেখলে মনে হতে পারে কোনও আদিবাসী অনুষ্ঠান চলছে। কেননা, আদিবাসী লোকসংস্কৃতিকেই এবার তুলে ধরা হয়েছে মণ্ডপসজ্জা থেকে প্রতিমা, সব ক্ষেত্রেই। সুদৃশ্য মণ্ডপ তৈরি হয়েছে বাঁশ ও বেত দিয়ে। চাঁচলের বড় বাজেটের পুজোগুলির অন্যতম বিবেকানন্দ স্মৃতি সংসদের পুজোয়। মণ্ডপে আদিবাসীদের নানা সংস্কৃতি-সহ বিয়ের দৃশ্য থাকছে মণ্ডপসজ্জায়। ডিজিটাল আলোর ব্যবহার করে থাকছে জমকালো আলোকসজ্জাও। যুগ্ম সম্পাদক বিবেকানন্দ চক্রবর্তী জানান, পুজো ৩৬ বছরে পড়ল।
|
• মোবাইল কানে নিয়ে রেললাইন পারাপার নয়, প্রহরী বিহীন রেলগেট পার হতেও সতর্কতা জরুরি। ক্ষণিকের অসচেতনতায় ওই দুটি ক্ষেত্রেই যাতে অকালে প্রাণ না যায় সেজন্য পুজোর ৪ দিন ধরে মণ্ডপে সচেতনতা প্রচার চালাতে উদ্যোগী মালদহের সামসি স্টেশন ও সর্বজনীন দুর্গোৎসবের উদ্যোক্তারা। রেলকর্মীদের উদ্যোগে ১৯৩৪ থেকে পুজো হয়ে আসছে। স্থায়ী মন্দিরে মন্ডপসজ্জায় থাকছে পাহাড়ি দৃশ্য। পুজো কমিটির পক্ষে স্টেশন ম্যানেজার বিজয় নারায়ণ ঝা জানান, দেবীর পাশে দুই অসুর।
|
• দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে ৭৫ ফুট উঁচু ও ৬০ ফুট চওড়া মণ্ডপ। থার্মোকল, চট, পাট, ফাইবার ও জরির ফিতা দিয়ে আকর্ষণীয় মণ্ডপে থাকছে একচালায় দেবী প্রতিমা। মালদহের সামসি জুভেন্টাস ক্লাবের পুজো এ বার ওই এলাকার পুজোগুলির অন্যতম আকর্ষণ। পুজোর আলোকসজ্জাও আকর্ষণীয়। পাশাপাশি সচেতনতার প্রচারও চলবে পুজোর কদিন ধরে।
|
• মণ্ডপসজ্জায় থাকছে বড় বড় ফ্লেক্স। তাতে লেখা ‘ছোট খোকা বলে অ, আ’ থেকে ‘কুমোরপাড়ার গরুর গাড়ি, বোঝাই করা কলসি হাঁড়ি’র মতো নানা কবিতার লাইন। পুজোর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ বার এ ভাবেই কবিগুরুর সহজপাঠকে থিম করে পুজোর আয়োজন করেছেন চাঁচলের কলিগ্রাম বাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসবের উদ্যোক্তারা। দেবী প্রতিমাও আকর্ষণীয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পুজোর অন্যতম আকর্ষণ।
|
• মণ্ডপসজ্জায় থাকছে পাহাড়, পাহাড়ের নিচে মেঘের নানা স্তর। সিংহের উপর আসীন দেবী বধ করতে চলেছেন মহিষাসুরকে। অন্য দেবদেবীরা মেঘের কোল থেকে উঁকি দিচ্ছে। আলো আর দৃশ্যের মাধ্যমে মহিষাসুর বধের ওই ছবিটাই দেখা যাবে হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটা নেতাজি ক্লাবের পুজোয়। ৩০ বছর ধরে ওই পুজো এলাকার অন্যতম আকর্ষণ। ভিড় সামলাতে এ বার তাই জায়গাও পাল্টাতে হয়েছে।
|
• কালিয়াগঞ্জের তরঙ্গপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা তথা তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি অসীম ঘোষের পারিবারিক দুর্গা পুজো এ বার ৬০ বছরে পড়ল। অসীমবাবুর ঠাকুর্দা সতীশচন্দ্র গোষ এলাকার মঙ্গল কামনায় এই পুজো শুরু করেছিলেন। শনিবার পুজোর উদ্বোধন করেন রাজ্যের কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী। তৃণমূল জেলা সভাপতি জানান, সপ্তমী ও নবমীতে কয়েক হাজার বাসিন্দা প্রসাদ নেবেন।
|
• আজ, সপ্তমীর সন্ধ্যায় কোচবিহারের দেবী বাড়িতে ‘টানাটানি’ পুজো হবে। কোচবিহার রাজ পরিবারের আমলে চালু এই পুজোয় আজও ঐতিহ্য মেনে চলা হয়। এর পরেই প্রতিমার কাঠামোয় দড়ি বেঁধে টানবেন রাজ পরিবারের দ্বারবক্সী অমিয় বক্সী। প্রতিপদ থেকে সপ্তমী পর্যন্ত যে ঘরে দেবীর পুজো হয়, সেখান থেকে প্রতিমা অন্য ঘরে সরানো হয়।
|
• রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির আরোগ্য কামনা করে এ বছরও পুজো দেবেন রায়গঞ্জের বিদ্রোহী ক্লাবের সদস্যরা। ২০০৮ সালের অক্টোবর থেকে প্রিয়রঞ্জনবাবু অসুস্থ। ক্লাবের অন্যতম সদস্য তরায়গঞ্জ পুরসভার কাউন্সিলর পবিত্র চন্দ জানান, চারদিন প্রিয় দাশমুন্সির আরোগ্য কামনা করে পুজো হবে।
|
• ব্যতিক্রমী শিল্পভাবনার ছাপ ফুটে উঠবে কোচবিহার এসিডিসি ক্লাবের মণ্ডপসজ্জায়। সোনালি রঙের ওই মণ্ডপসজ্জায় রাতে আলো পড়লে আরও ঝলমলে হয়ে উঠবে। থাকছে ডাকের সাজের প্রতিমা।
|
• রথের আদলে মণ্ডপসজ্জা হচ্ছে পুণ্ডিবাড়ির মিলন সঙ্ঘে। স্থানীয় হাসপাতাল লাগোয়া এলাকায় বাঁশ, প্লাইউড দিয়ে মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। আলোকসজ্জা চন্দননগরের।
|
• ঘাস দিয়ে তৈরি প্রতিমা এ বার অন্যতম আকর্ষণ দিনহাটার সাহেবগঞ্জ রোড নাট্যসংস্থার পুজোয়। দিনহাটার বড় আটিয়াবড়ির শিল্পী উৎপল রায় ওই প্রতিমাটি গড়েছেন। |
|