মাছ ধরতে ভালবাসেন বুঝি! কেমন হয়, যদি এ বার পুজোয় ডুয়ার্সে বেড়াতে গিয়ে মাছ ধরার সুযোগ মেলে। ২-৩ কিলো ওজনের রুই, কাতলা, মৃগেল ধরতে গিয়ে বাহ্যজ্ঞান হারিয়ে ফেললেও চিন্তার কিছু নেই। পুকুর পাড়েই তো আরামদায়ক ঘরে রাত্রিবাসের ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকী, আগে থেকে বলা থাকলে ছিপ দিয়ে আপনার ধরা মাছই কেটেকুটে পরিস্কার করে দেবেন কর্মীরা। পুজোয় মৎস্য শিকারীদের এমন আশ্চর্য ঠিকানা মালবাজার মহকুমার বড়দিঘিতে আরণ্যক পর্যটক আবাসে। কয়েক মিনিট পুকুর পাড়ে বসে থাকলে নিজের চোখেই দেখতে পারবেন কেমন ঘাই মারছে আড়াই কিলো ওজনের একটি কাতলা কিংবা মৃগেল। পুকুরে ভেসে বেড়ানো রুইয়ের শরীরের রুপোলি রেখা দেখলে মাছ শিকারীদের নিজেদের সংযত করা কঠিন হবে। মৎস্য দফতরের ওই পর্যটক আবাসে দু’বিঘা আকারের দুটি পুকুর রয়েছে। তার একটি পুকুরে দীর্ঘদিন ধরেই ছিপ দিয়ে মাছ ধরেন বাসিন্দারা। সদস্যপদ চালু রয়েছে। প্রতিদিন পুকুরে ছিপ ফেলতে হলে ২০০ টাকা করে দিতে হয়। অন্যদের ক্ষেত্রে রেট ৩০০ টাকা। পর্যটকদেরও ওই ৩০০ টাকা করেই দিতে হবে। ছিপ ফেললেই যেখানে বড়শিতে মাছ গাঁথবে সেখানে ভিড় হওয়াটাই স্বাভাবিক। ছুটির দিনে ওই পুকুর পাড়ে জায়গা মেলাই কঠিন ছিল। পুজোয় মৎস্য দফতর পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে দুটি পুকুরই মাছ শিকারীদের জন্য ছেড়ে দিচ্ছেন। ৯ অক্টোবর থেকে ওই বিশেষ ব্যবস্থা চালু হবে। ওই পর্যটক আবাসের ম্যানেজার পরিমল রায় বলেন, “মূলত পর্যটকদের জন্যই দ্বিতীয় পুকুরটি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।” মৎস্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময়ে মৎস্য গবেষণাগার এই কেন্দ্রটিকে পূর্বতন মৎস্যমন্ত্রী কিরণময় নন্দ পর্যটক আবাস হিসাবে ওই পর্যটক আবাসে হিসাবে গড়ে তোলেন। সব মিলিয়ে মোট ৮টি ঘর রয়েছে। ৩৫০-৬৫০ টাকা দরে সেই ঘর মিলবে। সারা বছর মাছ শিকারীদের ভিড় লেগেই থাকে। রাজ্যের নয়া সরকার পযর্টকদের জন্য ডুয়ার্সে নানা ব্যবস্থা নিচ্ছে। এগিয়ে এসেছে মৎস্য দফতরও। আগে থেকে বুক করে এলে তো কথাই নেই, ঘুম থেকে উঠে পুকুর পাড়ে এসে বসলেই হল। পুজোর চারদিন সমস্ত ঘর বুক হয়ে গিয়েছে। তবে যাঁরা এখানে ঘর পাবেন না, সমস্যা নেই তাঁদেরও। কাছেই লাটাগুড়ি, চালসা, মালবাজার। পর্যটকেরা কয়েক ঘণ্টা এখানে কাটিয়ে মাছ ধরার শখ মিটিয়ে যেতে পারেন। |