নাটক, নাচ, শিল্প নিয়ে পড়তে ব্রিটেনে
র্টস, হেরিটেজ কনজারভেশন এবং হিউম্যানিটিজ নিয়ে যে ভারতীয়রা পড়াশোনা করেছেন, এবং ব্রিটেনে গিয়ে এই সব বিষয়ে উচ্চশিক্ষা করতে চান, তাদের জন্য বৃত্তি দিচ্ছে চালর্স ওয়ালেস ইন্ডিয়া ট্রাস্ট (সিডব্লিউআইটি)।
যে সমস্ত ক্ষেত্রে এই ধরনের বৃত্তি দেওয়া হয়, সেগুলি হল:
১) লং টার্ম অ্যাওয়ার্ডস ইন দি অ্যার্টস অ্যান্ড হেরিটেজ কনজারভেশন: আর্টস-এর যে সব বিষয়ে এই পুরস্কার পাওয়া যাবে সেগুলি হল ভিসুয়াল আর্টস, পারফরম্যান্স (ডান্স, ড্রামা, মিউজিক এবং ডিরেকশন), ফিল্ম (ডিরেকশন এবং স্ক্রিপ্ট রাইটিং সহ), ফোটোগ্রাফি এবং ডিজাইন (আর্কিটেকচার বাদে)। আর হেরিটেজ কনজারভেশন-এর ক্ষেত্রে পড়বে কনজারভেশন আর্কিটেকচার, ম্যানেজমেন্ট অব হেরিটেজ সাইটস/প্রজেক্টস, ম্যানেজমেন্ট অব মিউজিয়ামস অ্যান্ড কালেকশনস, কনজারভেশন অব ল্যান্ডস্কেপ এবং কনজারভেশন অব মেটিরিয়ালস বিষয়গুলি। যোগ্যতা: প্রার্থীকে ভারতে বসবাসকারী হতে হবে। বয়স থাকতে হবে ২৫ থেকে ৩৮ বছর। আর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফার্স্ট ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা বা প্রফেশনাল যোগ্যতা থাকতে হবে। পেশাদারি অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার পাওয়া যাবে। আবেদন জমা দিতে হবে ২৫ নভেম্বরের মধ্যে।
২) ভিজিটিং ফেলোশিপ: শিক্ষাবিদ, লেখক এবং অনুবাদক, যাঁরা ব্রিটেনের কিছু নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’তিন মাস থেকে তাঁদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আরও উচ্চতর কাজকর্ম করতে চান এই ফেলোশিপ তাঁদের জন্য। মোট দশটি ফেলোশিপ দেওয়া হয়। প্রার্থীর বয়স হতে হবে ২৫ থেকে ৪৫-এর মধ্যে। যোগ্যতার ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং/অথবা ৫-৭ বছরের পেশাদারি বা শিক্ষাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
৩) গ্রান্ট ফর রিসার্চ অর প্রফেশনাল ভিজিট: আর্টস এবং হিউম্যানিটিজ-এ বড় জোর তিন সপ্তাহের স্বল্পমেয়াদি গবেষণা বা পেশাদারি কাজের জন্য এক হাজার পাউন্ড পর্যন্ত অনুদান দেওয়া হয়। যে সব বিষয়ে এই অনুদান পাওয়া যাবে সেগুলি হল: ইতিহাস, সাহিত্য, দর্শন, হিস্ট্রি অব আর্ট এবং পারফরমিং অ্যান্ড আদার ক্রিয়েটিভ আর্টস। আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর।
৪) গ্র্যান্ট টুয়ার্ডস কমপ্লিটিং ডক্টরাল স্টাডি ইন ইউকে ইউনিভার্সিটিজ: ব্রিটেন-এর কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সব ভারতীয় ছাত্রছাত্রী ডক্টরেট কোর্স করছে এবং সেই কোর্সের শেষ বছরে পড়ছে তাদের জন্য বার্ষিক তিন থেকে চারটে অনুদান দেওয়া হবে। অনুদানের অর্থমূল্য ১০০০ পাউন্ড। এ ক্ষেত্রেও আবেদনের শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর।
বিশদ জানতে যোগাযোগ করা যাবে ব্রিটিশ কাউন্সিলে। যোগাযোগ: সঞ্জয় সরকার, ফোন: ৪০০৭৪৩০৯, ই মেল: sanjay.sarkar@in.britishcouncil.org
• নাচ, গান, নাটক, ফটোগ্রাফি, চলচ্চিত্র নির্দেশনা নিয়ে
কাজের জন্য রয়েছে চার্লস ওয়ালেস ফেলোশিপ।
• পেশাদারি অভিজ্ঞতা থাকলে ভাল
• স্বল্পমেয়াদি গবেষণার জন্য ব্রিটেন যেতে পারে সাহিত্য, দর্শন,
ইতিহাসের ছাত্ররা
• যোগাযোগ করতে হবে ব্রিটিশ কাউন্সিলে
স্নাতক স্তরে ফার্মাসি নিয়ে পড়ছি। এর পর আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা করতে চাই। কোথায় পড়ব?


আমেরিকার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ফার্মাসি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে উচ্চশিক্ষা করা যায়। যেমন, বাটলার ইউনিভার্সিটি (http://www.butler.edu/) ও ইউনিভার্সিটি অফ আরিজোনায় (http://www.arizona.edu/) ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সে মাস্টার্স ডিগ্রি ও ডক্টরেট করার সুযোগ রয়েছে। ভর্তির শর্ত: জি আর ই জেনারেল টেস্ট এবং টোয়েফল। এ ছাড়া কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ অ্যালবার্টা-তে (http://www.ualberta.ca/) এম ফার্ম, এম এসসি এবং পিএইচ ডি করা যেতে পারে। আই ই এল টি এস স্কোর থাকা প্রয়োজন। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েই স্কলারশিপ ও অনুদানের সুবিধা আছে।

বিদেশে নার্সিং ট্রেনিং নিতে চাই। কোথায় পড়া যাবে? চাকরির সুযোগ কেমন?


অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে দক্ষ নার্সের যথেষ্ট চাহিদা আছে। তাই নার্সিং ট্রেনিং-এর পর এই দুই দেশে কাজের সুযোগ বেশি। অস্ট্রেলিয়ার যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নার্সিং পড়া যায়, তার মধ্যে রয়েছে ডিকিন ইউনিভার্সিটি (http://www.deakin.edu.au/), ইউনিভার্সিটি অব সাউথ অস্ট্রেলিয়া (http://www.unisa.edu.au/), ফ্লিনডার্স ইউনিভার্সিটি (http://www.flinders.edu.au/) ইত্যাদি। নিউজিল্যান্ডের ওটাগো পলিটেকনিক (http://www.otagopolytechnic.ac.nz/), ম্যাসে বিশ্ববিদ্যালয়েও (http://www.massey.ac.nz/) নার্সিং কোর্স করা যেতে পারে। নিউজিল্যান্ডে নার্সিং-এর পেশায় প্রবেশের একমাত্র স্বীকৃত উপায় হল ব্যাচেলর অব নার্সিং কোর্সটি করা। কোর্সের সময়সীমা তিন বছর। কোর্সের পর গ্র্যাজুয়েট নার্সেরা নিউজিল্যান্ডে স্টেট ফাইনাল এগজামিনেশন-এ বসতে পারবেন এবং নার্সিং কাউন্সিল অব নিউজিল্যান্ডে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ব্যাচেলর ডিগ্রি স্তরে ভর্তির শর্ত হল উচ্চ মাধ্যমিক (বিজ্ঞান শাখায়) এবং আই ই এল টি এস স্কোর। অনেক সময় একটি ফার্স্ট-এইড সার্টিফিকেট দেখতে চাওয়া হয়। শিক্ষার্থীর কম্পিউটার চালানোর ন্যূনতম জ্ঞান থাকা চাই। ভর্তির আগে প্রার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।

পার্সোনাল স্টেটমেন্ট কাকে বলে? বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে এর প্রয়োজনীয়তা কতখানি?


বিদেশে পার্সোনাল স্টেটমেন্ট বা ‘Admission essay’ হল এমন এক রচনা, যেখানে শিক্ষার্থী তার নিজের আগ্রহ, পড়াশোনার উদ্দেশ্য, কেরিয়ারের পরিকল্পনা সম্পর্কে সংক্ষেপে জানাবে। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে এই রচনার গুরুত্ব অনেকটাই। নম্বর কাছাকাছি হওয়া সত্ত্বেও ভর্তির আবেদন নির্বাচন করতে যে বিষয়গুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, তার মধ্যে পার্সোনাল স্টেটমেন্ট অন্যতম। অনেক সময় কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় রচনার বিষয়টি নির্দিষ্ট করে দেয়। বিষয়গুলি সাধারণত এই রকম হয় এই প্রতিষ্ঠানের কেন শিক্ষার্থীর আবেদন গ্রহণ করা উচিত, অথবা কেন আবেদনকারী ওই কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়/ ওই বিষয়ে ভর্তি হতে চাইছেন, অথবা শিক্ষার্থীর কোনও সাফল্য বা অভিজ্ঞতার বিবরণ জানতে চাওয়া হয়। নির্দিষ্ট শব্দের মধ্যে গুছিয়ে লেখাই হল চ্যালেঞ্জ।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.