|
|
|
|
|
|
|
কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনের পড়াশোনা |
কোনও প্রতিবন্ধযুক্ত ব্যক্তির অকেজো প্রত্যঙ্গকে অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্যে প্রতিস্থাপন করার পদ্ধতিকে বলে ‘প্রস্থেটিক্স অ্যান্ড অর্থোটিক্স’। প্রস্থেসিস হল সেই প্রক্রিয়া যার সাহায্যে কোনও ব্যক্তির অঙ্গহানি হলে তাকে কৃত্রিম অঙ্গ প্রদান করা হয়। আর বিকৃত বা দুর্বল অঙ্গকে বিভিন্ন পদ্ধতির (ব্রেস, স্প্লিন্ট) সাহায্যে অবলম্বন দেওয়ার পদ্ধতি হল অর্থোসিস।
সাধারণত এই বিষয়ে ডিগ্রি কোর্সের মেয়াদ হয় সাড়ে তিন বছর। তবে ডিগ্রি কোর্স ছাড়াও দু’বছরের ডিপ্লোমা কোর্সও করানো হয় অনেক প্রতিষ্ঠানে। অধিকাংশ কোর্সের ক্ষেত্রেই বয়সসীমা সতেরো থেকে তেইশ বছর। ভর্তি হতে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়। এবং কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষার পর ছ’মাসের ইন্টার্নশিপ করানো হয় যাতে ছাত্রছাত্রীরা হাতে কলমে কাজটা ঠিকঠাক শিখতে পারেন।
|
|
মুম্বইয়ের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন-এ স্নাতকস্তরে প্রস্থেটিক্স এবং অর্থোটিক্স কোর্স করানো হয়।
মেয়াদ: সাড়ে তিন বছর। পাটনার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব হেলথ এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ-এ এই বিষয়ে দু’বছরের স্নাতকোত্তর ও ডিপ্লোমা কোর্স আছে। এ ছাড়া কলকাতার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর দ্য অথোপেডিক্যালি হ্যান্ডিক্যাপ্ড-এও এই বিষয়ে বিভিন্ন কোর্স করা যেতে পারে।
• উচ্চ মাধ্যমিকে যাদের বিজ্ঞান (ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, অঙ্ক এবং বায়োলজি) রয়েছে তারা স্নাতকস্তরে বিষয়টি নিয়ে পড়তে পারে।
• এই বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্সও আছে।
• এই প্রফেশনে ভাল কমিউনিকেশন স্কিলের পাশাপাশি নির্ভরশীলতা, সহশীলতার ও সেবা করার মানসিকতা থাকা খুবই জরুরি।
|
ফোকাস
সঞ্জিত দে
শিক্ষক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
|
|
ভবিষ্যতে ফিজিয়োলজি (অনার্স) পড়তে চাই। যোগ্যতা কী লাগে? এই বিষয়ে উচ্চশিক্ষার কী সুযোগ আছে?
প্রথমা পাল, বারুইপুর
স্নাতকস্তরে ফিজিয়োলজি পড়তে হলে জীবনবিজ্ঞান-সহ রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, অঙ্ক নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করতে হবে। ফিজিয়োলজি পড়ার ক্ষেত্রে জীবনবিজ্ঞান বিষয়টি অবশ্যই থাকতে হবে। আর রসায়ন থাকলে পরে বিষয়টি পড়তে বিশেষ সুবিধা হয়। স্নাতক স্তরের পরে রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে এম এসসি, বি টেক, এম টেক এবং পিএইচ ডি করতে পারো। এ ছাড়া, স্নাতকস্তরে পাশ করার পর ফিজিয়োলজি ছাড়াও বায়োফিজিক্স, বায়োকেমিস্ট্রি, মলিকিউলার বায়োলজি, বায়োটেকনলজি-র মতো বিষয় নিয়েও পড়া যায়। ভবিষ্যতে গবেষণার ক্ষেত্রে বায়োফিজিক্স বা বায়োটেকনলজি ছাড়াও আর্গোনমিক্স, ফার্মাকোলজি, এন্ডোক্রিনোলজি, রিপ্রোডাক্টিভ ফিজিয়োলজি-র মতো বিষয় বেছে নিতে পারে। আই আই এস ই আর, আই আই টি, এ আই আই এম এস, টি আই এফ আর-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলিতে এই ধরনের বিষয়ে গবেষণা করা যায়।
আগামী বছর কমার্স বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেব। গ্র্যাজুয়েশনের পর সি এ (চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি) পড়তে চাই। এর জন্য কী পরীক্ষা দিতে হয়? কত খরচ পড়বে? চাকরির সুযোগই বা কেমন?
শুভঙ্কর বসাক, হুগলি
তুমি গ্র্যাজুয়েশনের পর চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি পড়তে চাইলে প্রথমেই তোমাকে কমন প্রফিসিয়েন্সি টেস্ট বা ‘সি পি টি’ দিতে হবে। এটি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেও দেওয়া যায়। দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়া (www.icai.org)-র পূর্বাঞ্চলের শাখাটির অফিস রয়েছে কলকাতার ৭নং রাসেল স্ট্রিটে। নাম ইস্টার্ন ইন্ডিয়া রিজিয়োনাল কাউন্সিল (http://www.eircicai.org/)। ইনস্টিটিউটে রেজিস্ট্রেশনের ৬ মাসের মধ্যেই সি পি টি-তে বসতে হবে। এটি পাশ করার পরের ধাপ হল ইন্টিগ্রেটেড প্রফেশনাল কম্পিটেন্স কোর্স বা আই পি সি সি-র পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় দু’টি গ্রুপে মোট ৭টি পেপারের পরীক্ষা হয়। প্রথম গ্রুপে ৪টি এবং দ্বিতীয় গ্রুপে ৩টি পেপার থাকে। প্রথম গ্রুপে পাশ করার পর ৩ বছরের আর্টিকেলশিপ করতে হবে এবং এটি শেষ হওয়ার ৬ মাস আগে তুমি ফাইনাল পরীক্ষায় বসতে পারবে। আই পি সি সি-র রেজিস্ট্রেশনের ৯ মাস পর গ্রুপ দু’টির পরীক্ষায় বসা যায়। ফাইনাল পরীক্ষার দু’টি গ্রুপে মোট ৮টি পেপার থাকে। ফাইনাল পাশ করার পর ১৫ দিনের একটি জেনারেল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশন স্কিল-এর কোর্স করে আই সি এ আই-এর সদস্যপদের জন্য ফর্ম জমা দিতে হয়। রেজিস্ট্রেশন, টিউশন ফি মিলিয়ে কোর্সটি করতে প্রায় ৭৫,০০০ টাকার মতো খরচ পড়ে। অনেক সিনিয়র চার্র্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টই এই পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন।
চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি পাশ করে ফিনান্স, অডিট, কোম্পানি ল’ অ্যান্ড ট্যাক্স প্রভৃতি ক্ষেত্র ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রেও যথেষ্ট কাজের সুযোগ
পাওয়া যায়।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ভবিষ্যতে অ্যানিমেশন নিয়ে পড়তে চাই। কোথায় পড়া যাবে? চাকরির সুযোগ কেমন?
শুভময় সাহা, নৈহাটি
অ্যানিমেশন কোর্স করার জন্য অবশ্যই প্রয়োজন যেটা, সেটা হল ছবির বিভিন্ন কৌশলের সাহায্যে নতুন কিছু তৈরি করার প্রবণতা। এই বিষয়ে যথেষ্ট উৎসাহ থাকলে এখনকার বাজারে কাজের সুযোগও রয়েছে প্রচুর। রাজ্যের মধ্যে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে অ্যানিমেশন-এর বিভিন্ন কোর্স রয়েছে, সেগুলো হল অ্যারেনা অ্যানিমেশন (যোগাযোগ: ২২৪৯-২৩০০), মায়া অ্যাকাডেমি অব অ্যাডভান্সড সিনেম্যাটিক্স (যোগাযোগ: ২৪৬৫-৮৯৮৬), ব্রেনওয়্যার (যোগাযোগ: ৪০২০-০৮৩০), ইনস্টিটিউট অব মাস কমিউনিকেশন অ্যান্ড টেলিভিশন স্টাডিজ, সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (যোগাযোগ: ২৪৩৫-৮৩৫৫), দ্য ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ডিজিটাল আর্ট অ্যান্ড অ্যানিমেশন ইত্যাদিতে। এ ছাড়া রাজ্যের বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় এই কোর্স পড়ানো হয়। যেমন অ্যানিটুনস প্রোডাকশন, নয়াদিল্লি; ন্যাশনাল মাল্টিমিডিয়া রিসোর্স সেন্টার, টুনজ্ অ্যানিমেশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিডিট, তিরুবনন্তপুরম (ই-মেল: bill@toonzanimationindia.com) প্রভৃতি।
এই কোর্স করে অ্যানিমেশন ফিল্ম প্রোডাকশন স্টুডিয়ো, বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, টেলিভিশন প্রযোজনা সংস্থা, ওয়েব স্টুডিয়ো (ইন্টারনেট বিজ্ঞাপনে), মেডিক্যাল অ্যানিমেশন স্টুডিয়ো প্রভৃতি ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ পাওয়া যায়। |
|
দেশের ভিতরে পড়াশোনা, ট্রেনিং-এর নানান সুযোগসুবিধের
বিষয় জানানো হবে এই কলামে। এ বিষয়ে প্রশ্ন পাঠাও।
খামের উপর লেখো:
হোম পেজ, প্রস্তুতি,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
এ বি পি প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|