|
|
|
|
এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ |
ভ্যানরিকশায় লরির ধাক্কা, পিষ্ট তিন জন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ব্যারাকপুর |
বেরিয়েছিলেন ষষ্ঠীর বাজারে সব্জি জোগান দিতে। বেহাল কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে লরির চাকা কেড়ে নিল তিন সব্জি বিক্রেতার প্রাণ। আহত অন্য এক জন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষে চলেছেন। রবিবার ভোর সাড়ে ৫টার ওই দুর্ঘটনার পরে এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম রাকেশ আলি (২৭), তপন ঢালি (৪৫) ও সুকুমার ধাড়া (৫০)। লরিটিকে আটক করা হয়েছে। তার চালক ও খালাসি পলাতক। বেহাল রাস্তায় পুলিশের তোলাবাজির জেরেই এই ধরনের দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে অভিযোগ তুলে স্থানীয় বাসিন্দারা এ দিন বেশ কিছু ক্ষণ এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে রাখেন। অবরোধ তুলতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘণ্টা তিনেক অবরোধ চলার পরে টিটাগড় থানার আইসি শুভাশিস চৌধুরী এবং ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস-সহ তৃণমূল নেতারা ঘটনাস্থলে যান। তার পরে অবরোধ উঠে যায়। পুলিশি সূত্রের খবর, এ দিন ভোরে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে শ্যামনগর বাসুদেবপুর বাজারে সব্জি নিয়ে যাচ্ছিলেন আট জন। এক জন ছিলেন ভ্যানরিকশায়। বাকিরা সাইকেলে। টিটাগড় থানা এলাকার একটি মোড়ে পুলিশের জিপ দাঁড়িয়ে ছিল। ওখানে রাস্তায় গর্ত থাকায় এমনিতেই গাড়ির গতি কমাতে হয়। কিন্তু উল্টো দিক থেকে আসা পণ্য বোঝাই একটি লরি পুলিশের জিপ দেখে গতি বাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। সব্জি বিক্রেতাদের কয়েক জন নয়ানজুলিতে নেমে যান। ভ্যানরিকশার চালক তপন ঢালি এবং তাঁর দু’পাশে থাকা রাকেশ, হামিরুদ্দিন ও সুকুমারকে ধাক্কা মারে লরিটি। তার চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় রাকেশ ও তপনের। বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সুকুমার ও হামিরুদ্দিনকে। পরে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় সুকুমারের। হামিরুদ্দিনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে আর জি কর সূত্রে জানা গিয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের বেহাল দশার কথা প্রশাসনকে বারবার জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। কেএমডিএ-র এই রাস্তায় রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। কিন্তু নিয়মিত টোল ট্যাক্স আদায় চলছে। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটছে নিত্যদিন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ভাঙা রাস্তার মোড়গুলিতে গাড়ি থামিয়ে তোলা আদায় করে পুলিশ। এ দিনও মোড়ের মাথায় পুলিশের গাড়ি থেকে তোলা আদায় করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। |
|
|
|
|
|