|
|
|
|
তৃণমূলের ‘অত্যাচার’, কোর্টে সিপিএম নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাসপুর |
সিপিএমের এক শিক্ষক নেতার বাড়িতে হামলা, পরিজনদের মারধর, দোকান ভাঙচুর করা-সহ নানা অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গত এক মাস ধরে লাগাতার এই ‘অত্যাচার’ চলছে বলে অভিযোগ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার রামদাসপুরের বাসিন্দা তথা সিপিএমের দাসপুর জোনাল কমিটির সদস্য শীতল করণের। তৃণমূলের লোকজনের ‘বাধা’য় মাসখানেক হল তিনি স্কুলে যেতে পারছেন না বলেও দাবি স্থানীয় হরিরাজপুর প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক শীতলবাবুর। তাঁর ক্ষোভ, “পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও সমস্যা মেটেনি।” শনিবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এই সিপিএম নেতা।
শীতলবাবুর অভিযোগ, গত এক মাসে তাঁর বাড়িতে একাধিকবার হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের লোকজন। বাড়ির লোকজন অন্যত্র গিয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। পরিজনেরা সম্প্রতি বাড়ি ফিরলেও শীতলবাবু এখনও গ্রামছাড়া। ওই শিক্ষক নেতার দাবি, শনিবার তাঁর ভাইদের ভুষিমালের দোকান, চানাচুর তৈরির কারখানা, পোলট্রি ফার্মে ভাঙচুর চালিয়ে তা বন্ধ রাখার ‘ফতোয়া’ দেওয়া হয়।
শনিবারের ঘটনার পরেই মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে অভিযোগ জানিয়েছেন শীতলবাবু। তাঁর দাবি, “আমি রাজনীতি করলেও আমার ভাইরা বা বাড়ি অন্য কেউ কোনও দিন সক্রিয় রাজনীতি করেনি।
কিন্তু তৃণমূলের লোকজন আমার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের উপরেও অত্যাচার করছে। ভাইদের ব্যবসাও বন্ধ করে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।” সিপিএমের দাসপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক সুনীল অধিকারীরও অভিযোগ, “ধারাবাহিক ভাবে শীতলবাবুর পরিজনদের উপরে অত্যাচার করছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বাদ পড়ছেন না বাড়ির মহিলারাও। পুলিশে জানিয়েও লাভ হয়নি।” দাসপুর থানার ওসি অভিজিৎ বিশ্বাস অবশ্য দাবি করেন, প্রথম দফায় পুলিশের হস্তক্ষেপেই শীতলবাবুর পরিজনেরা বাড়ি ফিরতে পেরেছিলেন। শনিবারের ‘গোলমালের’ও যথাযথ তদন্ত হবে বলে তাঁর আশ্বাস।
যাবতীয় অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করছে তৃণমূল। দলের দাসপুর ১ ব্লক সভাপতি সুকুমার পাত্রের দাবি, “শীতলবাবু গত দশ বছর ধরে স্কুলে না গিয়ে শুধু বেতন নিয়েছেন। তাই গ্রামবাসীরা তাঁকে স্কুলে ঢুকতে বাধা দিয়েছে। ওঁর বাড়িতে হামলার ঘটনাতেও আমাদের দলের কেউ জড়িত নয়।” শীতলবাবু অবশ্য বলেন, “যদি আমি স্কুলে না গিয়ে বেতন নিয়ে থাকি, তা হলে সরকারি ভাবে তদন্ত হোক। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রশাসন যা ব্যবস্থা নেবে, আমি তা মেনে নেব।” |
|
|
|
|
|