রান্নার গ্যাসের একটা সিলিন্ডারের দাম ছুঁয়েছে দু’হাজার টাকা, নিরুপায় হয়ে কাঠ জ্বালিয়ে কাজ সারতে হচ্ছে, আর তাতেই প্রবল ভাবে মার খাচ্ছে লন্ডন অলিম্পিকের প্রস্তুতি। মণিপুরে গণ্ডগোলের ফেরে এমনই দশা হয়েছে মেরি কমের। ২০১২-র লন্ডন অলিম্পিকে মেয়েদের বক্সিংয়ে ভারতের সোনা জেতার সেরা দাবিদার যিনি।
মণিপুরে অশান্তির জেরে দিন দিন বাড়ছে রান্নার গ্যাসের দাম। হালে একটা সিলিন্ডার কিনতে গেলে বেরিয়ে যাচ্ছে আঠারোশো থেকে দু’হাজার টাকা। দুরাবস্থা এমনই চরমে পৌঁছেছে যে, মেরি কমের বক্সিং অ্যাকাডেমির শিক্ষার্থীরা সব ছেড়ে বাড়ি ফিরতে চাইছেন। আর এই পরিস্থিতিতে সরকারের উদাসীনতা দেখে ক্ষুব্ধ মেয়েদের বক্সিংয়ে পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। বলেছেন, “আমরা রান্নার গ্যাস পাচ্ছি না। কাঠ জ্বেলে রান্না করতে হচ্ছে। ভাত, ডাল, সবজি, সব কিছুর দামই আকাশছোঁয়া। পাওয়াও যাচ্ছে না অনেক সময়।” |
সঙ্গে যোগ করেছেন, “অ্যাকাডেমির ছাত্র-ছাত্রীরা সবাই বাড়ি ফিরতে চাইছে। জানি না সরকার এখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল কি না। কিন্তু ঘটনা হল, এর ফলে আমি ঠিকমতো অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিতে পারছি না।”
এক-আধ দিন নয়, জুলাইয়ের শেষ থেকে ৩৯ এবং ৫৩ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে দিয়েছেন মণিপুরের আদিবাসীরা। কারণ, তাঁদের জন্য আলাদা জেলার দাবি সরকার মানছে না বলে। আর এই অশান্তির জেরে ভুগতে হচ্ছে মেরি কমকে। বাড়ির সামনে সারি-সারি ফাঁকা গ্যাসের সিলিন্ডার পড়ে থাকছে। মেরি কমের কথায়, “জাতীয় সড়ক অবরোধ করার জন্যই এই অবস্থা। মণিপুরে কী করে বেঁচে থাকব বুঝতে পারছি না। সাধারণ জিনিসও এখানে জোগাড় করতে গেলে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে। আমার অ্যাকাডেমিতে অন্তত তিরিশ থেকে চল্লিশ জন বক্সার আছে।”
|
ভারতীয় টিটি দল দেরাদুনে বিশ্ব প্রো ট্যুরে আটি সোনা, আটটি রুপো, ন’টি ব্রোঞ্জ পেল। কোচ ছিলেন গণেশ কুণ্ডু। |