আবার ব্যাটিং বিপর্যয়, কিন্তু তা সামলে এ বার আর কান ঘেঁষে জয় এল না। উল্টে নিউ সাউথ ওয়েলসের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ওঠা কঠিন করে ফেলল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রবিবার নির্ধারিত ২০ ওভারে ১০০-৭-এর বেশি তুলতে পারল না মুম্বই। একমাত্র জেমস ফ্র্যাঙ্কলিন (৪২ ন:আ:) বাদে মুম্বইয়ের কোনও বিদেশিই ব্যাট হাতে কিছু করতে পারেননি। ব্লিজার্ড (১), পোলার্ড (৮), সাইমন্ডস (৯) কেউই দু’অঙ্কের স্কোরে পৌঁছতে পারেনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটিং-বিপর্যয় নতুন নয়। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর বিরুদ্ধে ৯৮ তুলতেই হিমসিম খেয়ে গিয়েছিলেন পোলার্ডরা। কিন্তু সে দিন জয় এলেও এ দিন উল্টো কাহিনী। নিউ সাউথ ওয়েলসের টপ অর্ডার ভেঙে পড়লেও পরে তা সামলে দেন স্মিথ (৪৫ ন:আ:)। হাতে তিন ওভার রেখে ম্যাচ ৫ উইকেটে জিতে নেয় নিউ সাউথ ওয়েলস।
মুম্বইয়ের মতো মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসেরও একই হাল হল ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর বিরুদ্ধে। সেই ব্যাটিং বিপর্যয়। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ত্রিনিদাদ ১২৩-৮ তোলার পর মাঠে হাজির চেন্নাই সমর্থকদের কেউ বোধহয় ভাবতেও পারেননি, এ ভাবে আত্মসমর্পণ করে বসবে চেন্নাই। বল থমকে ব্যাটে আসছিল। স্ট্রোক খেলা সহজ হচ্ছিল না। এবং কঠিন উইকেটে অসহায় দেখাল চেন্নাই ব্যাটসম্যানদের। হাসি (১৩), রায়না (২), ধোনি (৭)সবাই ব্যর্থ। চেন্নাইও ২০ ওভারে ১১৩-৬-এর বেশি তুলতে পারল না।
|
গতি কমে এসেছে। জাতীয় দলে সেভাবে সুযোগ পাবেন কি না তা নিয়ে জল্পনা। এ সবের মধ্যে চেলসির হয়ে ৩৫০তম ম্যাচে হ্যাটট্রিক করলেন ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড।
বোল্টনের মাঠে চেলসি ৫-১ জিতল। ল্যাম্পার্ড ছাড়া দুটি গোল করলেন ড্যানিয়েল স্টারিজ। বিরতির পর বোল্টনের হয়ে একটি গোল শোধ করেন ডেড্রিক বোয়াটা। দেড় মিনিটেই স্টারিজের গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। ২৭ মিনিটেই ল্যাম্পার্ড-স্টারিজের জোড়া গোলে ৪-০ হয়ে যায়। বিরতির পর হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন ল্যাম্পার্ড। মিত্তল গোষ্ঠীর কুইনস পার্ক রেঞ্জার্স ফুলহ্যামের কাছে ০-৬ বিধ্বস্ত হল। অ্যান্ড্রু জনসন হ্যাটট্রিক করেন। এ দিকে নাপোলি ইন্টার মিলানকে হারাল ৩-০। গোল করলেন উগো কাম্পাগনারো, ক্রিস্টিয়ান মাগ্গিও ও মারেক হামসিক। সান সিরোয় ম্যাচে উত্তেজনা ছিল চরমে। রেফারির সঙ্গে তর্ক করে লাল কার্ড দেখেন ইন্টার কোচ ক্লদিও রানিয়েরি। তাঁর দলের ওবিকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখানোর পরেই তর্ক বাঁধিয়েছিলেন রানিয়েরি।
|
একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি করে চলেছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। শোয়েব আখতার, শাহিদ আফ্রিদির পর এ বার উমর গুল। তবে বাকি দু’জনের মতো গুল কোনও ভারতীয় ক্রিকেটারকে আক্রমণ করেননি। গুলের লক্ষ্য ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন। গুলের অভিযোগ, তিনি অ্যান্ডারসনকে বল বিকৃত করতে দেখেছেন। গুলের অভিযোগ, “গত বছরই ইংল্যান্ড সফরে অ্যান্ডারসনকে বল বিকৃত করতে দেখেছি। তা ছাড়া অ্যাসেজ সিরিজে স্টুয়ার্ট ব্রডও তো জুতো দিয়ে ঘষে বলের পালিশ তুলেছে। পুরনো বলে রিভার্স সুইং পাওয়ার জন্য এ সব হামেশাই করে বোলাররা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেশির ভাগ বোলারই কোনও না কোনও ভাবে বল বিকৃত করে থাকে।” গুলের এই অভিযোগের পর যে আবার একটা বিতর্ক মাথা চাড়া দেবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। শোয়েব আখতার তাঁর বইয়ে লিখেছেন, তিনি নিজে বল বিকৃত করেছেন, পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে বল বিকৃতির ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। এই নিয়ে গুলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “শোয়েব যখন বলেছে ও বল বিকৃত করত, তখন নিশ্চয়ই করত। আমি এ নিয়ে কিছু বলতে পারব না। কিন্তু এটা জানি যে প্রচুর বোলার বল বিকৃত করে। যখন আপনি আঙুলের নখ দিয়ে বলে আঁচড় কাটেন, তখন সেটা বেআইনি। কিন্তু ফিল্ডাররা যখন শুকনো মাটিতে বল ছুড়ে মারে বা স্পনসরদের বিজ্ঞাপনী বোর্ডে লেগে বলের পালিশ উঠে যায়, তখন সেটা বেআইনি নয়।”
|
ইরানি ট্রফির দ্বিতীয় দিনেই প্রবল চাপে রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন রাজস্থান। প্রথম ইনিংসে অবশিষ্ট ভারতের তোলা ৬৬৩ রানের জবাবে তিন উইকেট হারিয়ে রাজস্থান তুলেছে ৫৩। প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন তাদের দুই সেরা ব্যাটসম্যান, ঋষিকেশ কানিতকর (১৪) এবং আকাশ চোপড়া (২০)। পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তাতে রাজস্থানের জন্য এখন ফলো অন বাঁচানোই অসম্ভব কঠিন কাজ। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়ে নিয়েছেন পার্থিব পটেলরা। অন্য দিকে, অবশিষ্ট ভারতের হয়ে এ দিন ধারাবাহিক ভাবে ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করে গেলেন উমেশ যাদব। তাঁর বলের বাউন্স বুঝতে না পেরে উইকেটের পিছনে অধিনায়ক পার্থিব পটেলের হাতে ক্যাচ তুলে প্রথম ফিরে যান রাজস্থানের ওপেনার বিনীত সাক্সেনা (১১)। কানিতরকেও ফেরান তিনি। তবে ৭১ বলে ২০ করার পর প্রজ্ঞান ওঝার বলে হঠাৎ ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আকাশ চোপড়া। সকালে গতকালের ৪০০-৩ থেকে শুরু করে অবশিষ্ট ভারত শেষ করে ৬৬৩ রানে। অজিঙ্ক রাহানে আজ আউট হন ১৫২ করে। তবে এ দিনের প্রথম উইকেট পার্থিব পটেল (৫৫)। মনদীপ সিংহ (৬০),বিনয় কুমার (৪৩), বরুণ অ্যারন (৪১) রান পেলেও শেষের দিকে দু’টি বাউন্ডারি ও পাঁচটি ওভার বাউন্ডারি-সহ ৩৮ বলে ৫২ রানের ঝকেঝকে ইনিংসে নজর কেড়ে যান সদ্য ভারতের এক দিনের দলে ডাক পাওয়া রাহুল শর্মা। রাজস্থানের বোলাররা এ দিন গতকালের তুলনায় ভাল বল করলেন। ১২৫ রানে চার উইকেট নিয়ে সব থেকে সফল নবাগত পেসার অনিকেত চৌধুরী। |