মেদিনীপুর-খড়্গপুর দুই শহরের মধ্যে সেরা পুজো হিসাবে ‘পার্লে-আনন্দবাজার শারদ অর্ঘ্য’ সম্মান পেল মেদিনীপুর শহরের কোতয়ালি বাজার সর্বজনীন দুর্গাপুজো। মণ্ডপের স্বল্প পরিসরে আস্ত একটি গ্রামকে তুলে ধরেছেন উদ্যোক্তারা। তুলসী তলায় সান্ধ্যদীপ, ঢেঁকিতে চাল ছাঁটা, হুঁকো খাওয়া, পুকুরে কাপড় কাচা, নলকূপ থেকে জল তোলা গ্রামজীবনের সব দৃশ্যই দেখা যাবে এখানে। মানানসই প্রতিমাতেও গ্রাম্য বধূর বেশ। দেবী দুর্গার কোলে গণেশ, বাকি তিন ছেলে-মেয়ে পাশে দাঁড়িয়ে। নেই সিংহ ও মহিষাসুর। সব মিলিয়ে পুজোর পরিবেশ মন কেড়েছে দুই বিচারক মলয় মণ্ডল ও কস্তুরী পালের। দুই শহরের বহু মণ্ডপে ঘুরেছে বিচারকেরা। দেখেছেন খড়্গপুরের অভিযাত্রী ক্লাবের মণ্ডপে বিড়লা মন্দিরের আদল, মেদিনীপুরের পাটনাবাজারে পাখি বাঁচানোর আহ্বান। প্রত্যেকেরই আয়োজন নজরকাড়া। বিচারকদের কথায়, “এত সুন্দর মণ্ডপ-প্রতিমার মধ্যে থেকে একজনকে বাছা সত্যিই কঠিন। তবু প্রথম তো একজনকে করতেই হবে। খুবই সামান্য ব্যবধানে সেরার শিরোপা জিতে নিয়েছে কোতয়ালি বাজার।”
|
মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর জন্মদিন পালিত হল মেদিনীপুরে। রবিবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গাঁধী মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়। উপস্থিত ছিলেন সৌমেন খান, কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। প্রতি বছরই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এই দিনটি পালিত হত। কিন্তু এই বছর তা পালন করা হয়নি। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। বিষয়টি জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্তকেও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়। কংগ্রেস নেতা সৌমেন খান বলেন, “জাতির জনক মহত্মা গাঁধীর জন্মজয়ন্তী পালন না করার অর্থ সারা জাতিকেই অবমাননা করা। সরকারিভাবে কেন এই দিনটি পালন করা হল না জেলাশাসকের কাছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছি।” জেলাশাসক বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই মেদিনীপুর শহরের শিশু উদ্যানের কাছে থাকা গাঁধী মূতির্তে সরকারি ভাবেই অনুষ্ঠান করা হয়। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর এই অনুষ্ঠান করে। হঠাৎ এই বছরই প্রথম এই অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ায় সকলেই বিস্মিত।
|
মহাত্মা গাঁধীর জন্ম জয়ন্তীতে খড়্গপুরের গ্রামীণ থানার বলরামপুরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। রবীন্দ্রনাথ ও মহাত্মা গাঁধীর পল্লিভাবনা বিষয়ক আলোচনায় বক্তব্য রাখেন মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান শিক্ষক স্বামী সুনিষ্ঠানন্দজি মহারাজ, হিজলি কলেজের অধ্যাপক সুবিকাশ জানা-সহ বিশিষ্টেরা। |
নবরাত্রি উপলক্ষে খড়্গপুরের খড়দা মেতিভবনে বসেছে ডান্ডিয়ার আসর। ‘অখিল ভারতীয় মাড়োয়ারি মহিলা সমিতি’র খড়্গপুর শাখা গত আট বছর ধরে নবরাত্রি পালন করছে। অনুষ্ঠানে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। |
পঞ্চমীর সন্ধ্যায় খড়্গপুরের সাউথ ডেভলপমেন্টে অভিযাত্রী ক্লাবের মণ্ডপ প্রাঙ্গণে আয়োজিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সঙ্গীত পরিবেশন করেন হিরণ ও ঐন্দ্রিলা। |