নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শুধু মণ্ডপসজ্জা বা প্রতিমায় অভিনবত্ব নয়, পুজোর উদ্বোধনে চমক রাখাটাও শারদোৎসবের অঙ্গ। কোনও পুজো কমিটি এ ক্ষেত্রে রুপোলি পর্দার শিল্পীদের গুরুত্ব দেন, কেউ বা নিয়ে আসেন নেতা-মন্ত্রীদের। এই দৌড়ে এ বার কয়েক কদম এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। দুই মেদিনীপুরের প্রায় ৩০টি পুজোর উদ্বোধন করেছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি!
আমন্ত্রণ অবশ্য এসেছিল শতাধিক পুজো কমিটির কাছ থেকে। ঝাড়গ্রামের পাশাপাশি, মেদিনীপুর শহরের বেশ কয়েকটি পুজো কমিটিও উদ্বোধনের জন্য তৃণমূল সাংসদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। কিন্তু সময়াভাবে সব আমন্ত্রণ গ্রহণ করতে পারেননি শুভেন্দু। তবে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন আমন্ত্রণকারী সকলকেই। শনিবার ঝাড়গ্রাম থেকে মেদিনীপুরে ফিরে ৩টি পুজোর উদ্বোধন করেন তিনি। শরৎপল্লি, অরবিন্দনগর ও বার্জটাউন সর্বজনীনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন। বার্জটাউন পুজো কমিটির এক সদস্যের কথায়, “সকলেই শুভেন্দুবাবুকে কাছে পেতে চায়। উনি নন্দীগ্রামে যে ভাবে আন্দোলন সংগঠিত করেছেন, তা ভোলার নয়।” একই মত অরবিন্দনগরের উদ্যোক্তাদের। পুজো কমিটির এক সদস্য বলেন, “উনি মেদিনীপুরের ছেলে। তাই ওঁর প্রতি জেলার মানুষের আলাদা একটা টান আছে।”
এ ক্ষেত্রে বিতর্কও পিছু ছাড়েনি শুভেন্দুর। ঝাড়গ্রামে একটি পুজোর উদ্বোধন ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বেধেছে। কারণ, এই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা তৃণমূলের দুই বহিষ্কৃত নেতা গৌরাঙ্গ প্রধান ও রমেশ সরকার। শনিবার অরণ্য শহর ঝাড়গ্রামে এসে গৌরাঙ্গবাবুদের ‘দুরন্ত’ ক্লাবের পুজোর উদ্বোধন করেন শুভেন্দু। সম্প্রতি গৌরাঙ্গবাবুদের সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদার সম্পর্কের অবনতি হয়। ঝাড়গ্রামে বন দফতরের এক অনুষ্ঠানে বনমন্ত্রী হিতেন বর্মনের সামনেই সুকুমারবাবুর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন রমেশ সরকাররা। এর পরই
দুই নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূলের দলীয় সূত্রে খবর, শুধু মেদিনীপুর বা ঝাড়গ্রাম নয়, কেশপুর, গড়বেতার মতো জেলার একদা লালদুর্গ থেকেও শুভেন্দুবাবুর কাছে পুজো উদ্বোধনের আমন্ত্রণ এসেছিল। রবিবার নন্দীগ্রাম, খেজুরি, হলদিয়াতেও একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে জোয়ারভরা স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো উদ্বোধনের পরে তিনি যান খেজুরিতে। কামারদা হাইস্কুল প্রাঙ্গণে হিন্দু মিলন সঙ্ঘের পুজোর উদ্বোধন করেন। শুভেন্দুর কথায়, “মানুষের এই ভালবাসা ভোলার নয়।”
|