|
|
|
|
সিপিএম কর্মীদের বাড়িতে হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল, ধৃত ১ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক তৃণমূল কর্মীকে। শুক্রবার রাতে ওই হামলার ঘটনা ঘটে আরামবাগের পূর্ব হরিপুর তফসিলি পাড়ায়। শনিবার বিকেলে ৪০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয় পুলিশের কাছে। রাতেই ধরা পড়েন শেখ আব্বাসউদ্দিন নামে এক তৃণমূল কর্মী। আরামবাগের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণপদ সাঁতরা বলেন, “পরিকল্পিত ভাবে তৃণমূলকে জড়ানো হয়েছে। বহিরাগত দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে না পেরে আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পূর্ব হরিপুর গ্রামে অশান্তির সূত্রপাত শুক্রবার দুপুরে। তপন বাগ এবং নিরাপদ মালিক নামে ঘরছাড়া দুই সিপিএম কর্মী ওই দিন গ্রামে ফেরেন। তপনবাবু বলেন, “তৃণমূলের লোকজনকে ফোন করে আগাম খবর দিয়েই ফিরেছিলাম। তা সত্ত্বেও দুপুরে যখন স্নান করতে যাচ্ছি, তৃণমূলের ৬ জন এসে অকারণে মারধর শুরু করল। আমাদের চিৎকারে পাড়া-প্রতিবেশী ছুটে এলে ওরা পালায়।” তাদের ফেলে যাওয়া একটি বাইকে জনতা ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি তখনকার মতো মিটে গিয়েছিল। কোনও পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। কিন্তু রাত ১০টা নাগাদ তৃণমূলের বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক ওই পাড়ায় বোমা ফাটাতে ফাটাতে ঢোকে বলে অভিযোগ। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা ভাঙচুর, মারধর, লুঠপাট চালায়। মোট ২৬টি ঘরে ভাঙচুর চলে। হামলাকারীদের বেশির ভাগ আরামবাগ-সংলগ্ন বর্ধমানের মাধবডিহি এলাকা থেকে এসেছিল বলেও গ্রামের মানুষ জানিয়েছেন।
মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গোপীকান্ত ঘোষ বলেন, “দুষ্কৃতীদের হামলার দায় আমাদের উপরে চাপানো হচ্ছে।” যদিও আরামবাগের সাংসদ শক্তিমোহন মালিকের কথায়, “গরিব দিনমজুরদের উপরে হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের লোকজন। প্রায় তিরিশটি পরিবারকে সর্বস্বান্ত করে ছেড়েছে।” শক্তিমোহনবাবুর হুঁশিয়ারি, “অচিরেই এর চরম মূল্য দিতে হবে।”
অন্য দিকে, শনিবার রাতে গোঘাটের খাটুল গ্রামে এক ফরওয়ার্ড ব্লক কর্মীকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নির্মল চোঙদার নামে ওই ব্যক্তি বাড়িতে ত্রাণের জামাকাপড় লুকিয়ে রেখেছেন বলে দাবি তৃণমূলের। সেই অভিযোগ তদন্ত করছে পুলিশ। যদিও বিধায়ক কোটার টাকায় কেনা ওই পোশাক নিয়ে কোনও দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি নির্মলবাবুর। |
|
|
|
|
|