টানা দু’মাসের ধাক্কা সামলানোর পর অবশেষে আশার আলো দেখছে দেশের গাড়ি শিল্প। কারণ গত জুলাই ও অগস্টের নিম্নগতির পর সেপ্টেম্বরে ফের বেড়েছে যাত্রী-গাড়ির বিক্রি। ফলে তারা আশাবাদী যে, উৎসবের মরসুমে গাড়ি কেনার আগ্রহ আরও বাড়বে।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ও সুদের হার বৃদ্ধির জেরে গাড়ি কেনায় কিছুটা ভাটা পড়েছিল। কমছিল গাড়ির ‘ওয়েটিং পিরিয়ড’-ও। যা গাড়ি শিল্পের পক্ষে মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
তবে গাড়ি শিল্পের দেওয়া হিসেব মাফিক, এই অবস্থা সামলে সেপ্টেম্বরে মাত্র দু’একটি সংস্থা বাদ দিলে সামগ্রিক ভাবে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কর্মী-বিক্ষোভের জেরে মানেসরের কারখানা বন্ধ থাকায় অবশ্য এ বারও বিক্রি কমেছে মারুতি-র। ২০১০-এর তুলনায় গত মাসে তাদের বিক্রি কমেছে প্রায় ১৭%। ফোর্ড ইন্ডিয়ার-ও বিক্রি কমেছে প্রায় ৭%।
তবে হুন্ডাই মোটরস, জেনারেল মোটরস ও টাটা মোটরস-এর বিক্রি বেড়েছে যথাক্রমে ৩৫%, ১৭% ও ১০%। এই দলে রয়েছে টয়োটা কির্লোস্কার মোটরস এবং নিসান-ও।
গাড়ির জগতে হঠাৎ এই পরিবর্তন কী করে এল? না, এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ নেই। ক্রেতাদের আস্থা পেতে একাধিক নয়া কৌশল নিয়েছে সংস্থাগুলি। যেমন আগে গাড়ির দামের উপর এককালীন ছাড় পেলেও প্রথমে ‘ডাউন পেমেন্ট’ বাবদ ভাল রকম গাঁটের কড়ি গুণতে হত ক্রেতাদের। আর এ বার তো সুদের হার চড়া বলে ঋণ শোধের মাসিক কিস্তিও (ইএমআই) অনেক বেশি। ক্রেতা টানতে তাই নয়া কৌশল নেয় অনেক সংস্থাই। যেমন টাটা মোটরস, জেনারেল মোটরস ‘ডাউন পেমেন্ট’ কমিয়ে দেয়। নিসান ও ফোক্সভাগেনের মতো সংস্থা সুদ কমিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। মহিন্দ্রা স্কর্পিও গাড়িটির একটি মডেলের ক্ষেত্রে বিশেষ মাসিক কিস্তির প্রকল্প নিয়ে আসে।
ঠিক উৎসবের মুখে নতুন গাড়ি বাজারে আনে টয়োটা, টাটা মোটরস, জেনারেল মোটরস-এর মতো সংস্থা। মারুতির বিক্রি না বাড়লেও চাহিদা কিন্তু ক্রমশ চড়ছে তাদের নতুন সুইফট গাড়িকে ঘিরেও। আপাতত ক্রেতাদের আর্থিক চাপ কমানো এবং নতুন গাড়ি, এই দুইয়ের উপর ভর করেই ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে গাড়ি শিল্প মহল। |