প্রতিবাদ! গোটা পশ্চিম এশিয়া আর আরব দুনিয়াকে ভাসিয়ে এ বার কি সেই ঢেউ গিয়ে পৌঁছল নিউ ইয়র্কের ‘ইস্ট রিভার’-এর পাড়ে?
প্রশ্নটা কিন্তু তুলে দিয়েছেন ব্রুকলিন সেতু থেকে গ্রেফতার হওয়া প্রায় সাতশো জন বিক্ষোভকারী। ওঁদের প্রতিবাদ দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। কী রকম? রবার্ট ক্যামিসো নামে এক বিক্ষোভকারী বললেন, “আমেরিকার ৫০% সম্পদ এই মুহূর্তে দেশের ১% মানুষের হাতে রয়েছে। বাকি
৯৯ শতাংশের স্বার্থ রক্ষা করতেই আমাদের এই প্রতিবাদ।” তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এই বিক্ষোভকারীরা বেছে নিয়েছেন মার্কিন অর্থনীতির কেন্দ্রস্থল ওয়াল স্ট্রিটকেই। |
ব্রুকলিন সেতুতে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীরা। ছবি: এপি |
যার খুব কাছেই জুকোটি পার্কে জড়ো হয়েছিলেন বেশ কিছু বিক্ষোভকারী। পরিকল্পনা ছিল, ব্রুকলিন সেতু পেরিয়ে ওয়াল স্ট্রিটে পৌঁছে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেবেন বাকিরা। অভিযানের স্লোগান, “ওয়াল স্ট্রিট চলো!” তবে ব্রুকলিন সেতু পেরিয়ে ম্যানহাটনের দিকে পৌঁছনোর আগেই সেতুর উপরে বিক্ষোভকারীদের আটকায় পুলিশ। গ্রেফতার হন প্রায় সাতশো জন।
নিউ ইয়র্ক পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, বিক্ষোভকারীদের বহু বার ফুটপাথ ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁরা তা অমান্য করলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনার জেরে দীর্ঘ ক্ষণ বন্ধ ছিল ম্যানহাটন থেকে ব্রুকলিনের দিকের রাস্তা।
টুইটারে ‘অকুপাই ওয়ালস্ট্রিট’ নামে একটি ‘লিঙ্ক’ও চালু করেছেন বিক্ষোভকারীরা। দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা সেখানে তুলে ধরেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকার ‘বিপ্লব’ই তাঁদের প্রতিবাদের অণুপ্রেরণা। |