সম্পাদকের সই মেলেনি, বেতন পেলেন না শিক্ষিকারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
প্রধান শিক্ষিকা নিযোগ নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল পরিচালন সমিতির সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার মধ্যে। তার জেরে বেতনের চেকে সই করলেন না স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক। ফলে পুজোর আগে বেতন পেলেন না আসানসোল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৩৭ জন শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। পরিচালন সমিতির সম্পাদক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানান, এ ভাবে সমস্যা তৈরি করা হলে ভবিষ্যতেও তিনি বেতনের চেকে সই করবেন না। জেলা স্কুল পরিদর্শক আব্দুল হাই জানান, ১০ অক্টোবর দফতর খুললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসানসোল মণিমালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার পদটিকে কেন্দ্র করে বহু দিন ধরেই বিতর্ক চলছে। দেবাশিসবাবুর অভিযোগ, “স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক জন শিক্ষিকা নিয়োগ হলেও তাঁকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছেন না বর্তমান ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা কল্যাণী রায়।” যদিও কল্যাণীদেবী ও শিক্ষিকাদের একাংশের পাল্টা অভিযোগ, “নতুন প্রধান শিক্ষিকার নিয়োগ অবৈধ। এ নিয়ে তাঁরা আদালতে মামলাও করেছেন। বিষয়টি এখনও আদালতে রয়েছে।” প্রশ্ন উঠেছে, আদালতে বিচারাধীন বিষয়ের সঙ্গে জড়িত ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা বেতনের চেকে কী ভাবে সই করবেন। বর্ধমান জেলার স্কুল পরিদর্শক আব্দুল হাই জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা, পরিচালন সমিতির সম্পাদক ও পরিচালন সমিতির অর্থ সাব কমিটির সদস্য তথা শিক্ষিকা প্রতিনিধির মধ্যে যে কোনও দু’জন বেতনের চেকে সই করলেই বেতন মিলবে। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষিকার পদ নিয়ে তৈরি বিতর্কটি আদালত পর্যন্ত গড়ানোয় স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা চেকে সই করতে পারবেন না। তিনি বলেন, “স্কুলকে নির্দেশ দিয়েছি, যত দিন প্রধান শিক্ষিকার পদ নিয়ে বিতর্ক শেষ না হবে, স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক ও পরিচালন সমিতির অর্থ সাব কমিটির সদস্য তথা শিক্ষিকা প্রতিনিধি বেতনের চেকে সই করতে পারবেন।” অর্থ সাব কমিটির সদস্য তথা শিক্ষিকা প্রতিনিধি মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “আমি সই করেছি। সমিতির সম্পাদক সই না করায় কেউ বেতন পেলাম না।” দেবাশিসবাবু বলেন, “আগে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা সব দায়িত্ব নতুন প্রধান শিক্ষিকাকে বুঝিয়ে দিন, তার পরে সই করব।” |