দেবীর তিনটি মুখ গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী। রানিগঞ্জে উত্তরপল্লি সর্বজনীনের মণ্ডপে দেখা মিলছে এমন প্রতিমারই। বেলুড় মঠের আদলে নির্মিত মণ্ডপ। আয়োজক সংস্থার তরফে জানানো হয়, বিশ্বভারতীর বাংলা বিভাগের এক দল ছাত্রের পরামর্শেই এমন প্রতিমা। দেবীর বহু রূপের মধ্যে এটি একটি। উদ্যোক্তাদের তরফে সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান, চমক দিতেই এমন উদ্যোগ তাঁদের।
থিমের ছড়াছড়ি রানিগঞ্জের বিভিন্ন সর্বজনীন পুজো মণ্ডপেই। সিহারশোল গ্রাম সর্বজনীন এ বার তৈরি করেছে সিকিমের বুদ্ধ মন্দিরের আদলে একটি মণ্ডপ। থাকছে ডাকের সাজের একচালা সাবেক প্রতিমা। অন্যতম উদ্যোক্তা আদিত্য মুখোপাধ্যায় জানান, প্রতি বছরের মতো এ বারও থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দর্শনার্থীরা তাঁদের মণ্ডপে একটু বেশি সময় দাঁড়াতে বাধ্য হবেন, মনে করছেন রাজবাড়ি মোড় উদয় সঙ্ঘ সর্বজনীনের আয়োজকেরা। একটি কাল্পনিক দুর্গের আদলে মণ্ডপ গড়েছেন তাঁরা। খাড়শুলি সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির মণ্ডপও কাল্পনিক মন্দিরের আদলে। কাপড়ের সঙ্গে সিল্ক সুতোর কাজে ফুটে উঠেছে মণ্ডপ। মাটি ও ‘মার্বেল ডাস্ট’ দিয়ে তৈরি হয়েছে প্রতিমা। |
শিশুবাগান সর্বজনীনের পুজোয় এ বার খরচ কমেছে বলে জানালেন উদ্যোক্তারা। তবু কাপড়ের উপরে শোলার সাজ ও ডাকের সাজের প্রতিমা দর্শনার্থীদের মন কাড়বে বলে আয়োজক সংস্থার তরফে দাবি করলেন টোটন দত্ত।
অন্ডাল মোড় সর্বজনীন দুর্গাপুজোর আয়োজক অগ্রদূত। এ বার তাদের রজত জয়ন্তী বর্ষ। একচালার সাবেকি প্রতিমা। বুদ্ধ মঠের অনুকরণে মণ্ডপের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। অন্ডাল রেল শহরে পশ্চিমপল্লি সর্বজনীনের বয়স ৪০ বছর। পুজো কমিটির পক্ষে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান চন্দ্রভানু দত্ত জানান, দক্ষিণ ভারত ও কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপ এ বার দর্শকদের চমকে দেবে। টেরাকোটার আদলে দেব-দেবী। এখানেও চতুর্থীর দিন আইনমন্ত্রী প্রবেশপথ উন্মোচন করেছেন।
দক্ষিণপল্লি সর্বজনীনে এ বার অন্ধ্রপ্রদেশের সূর্য মন্দিরের অনুকরণে মণ্ডপ এবং ডাকের সাজের একচালার প্রতিমা অন্যতম আকর্ষণ। শোভন পাল, সুনেতা দাসদের দাবি, এখানে এসেই দর্শকেরা বেশি সময় কাটান। কারণ, এমন ঘরোয়া পরিবেশ কোথাও মেলে না।
সিঁদুলি কোলিয়ারি সর্বজনীনের পুজো ৩৪ বছরে পা দিল। এখানেও কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। খনি অঞ্চলে নজর কাড়া পুজোগুলির মধ্যে বরাবরই প্রথম সারিতে থাকে খাস কাজোড়া। তাদের পুজো এ বার ২৩ বছরে পড়ল। বৈষ্ণোদেবীর গুহার আদলে মণ্ডপ। পুজো কমিটির চেয়ারম্যান বিষ্ণু দেব নুনিয়ার আশা, এ বারও তাঁদের পুজো তাক লাগাবে এলাকাবাসীর। |