|
|
|
|
২৫ অভিযুক্তকে ধরতে হবে: দাবি |
ফরওয়ার্ড ব্লক সাংসদের উপরে হামলা তৃণমূল কংগ্রেসের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
আচমকাই হামলায় অভিযুক্তদের এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে পুলিশের দেওয়া ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ফিরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন কোচবিহারের ফরওয়ার্ড ব্লক সাংসদ নৃপেন রায়। শুক্রবার নিজের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে সাংসদ বলেন, “পুলিশ তৎপর থাকলে তৃণমূল সমর্থকরা হামলা চালাতে পারত না। গাড়ি ভাঙচুরের সাহসও পেত না। ইতিমধ্যে ওই ঘটনায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে সিতাই থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। এক সপ্তাহ দেখব। অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও দলের অফিস দখলমুক্ত করার কাজ না হলে পুলিশের দেওয়া দুই ব্যক্তিগত রক্ষীই ফিরিয়ে নিতে এসপি’কে চিঠি দেব।” কোচবিহারের পুলিশ সুপার প্রণব দাস বলেন, “আমি বাইরে রয়েছি। কোচবিহারে ফিরেই পুরো বিষয়টি গুরুত্ব দেখব।”
বৃহস্পতিবার কোচবিহারের সিতাই থানার জোরাম গ্রামে দলের তালাবন্ধ অফিস খুলতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন সাংসদ। ভাঙচুর হয় তার গাড়িও। ওই ঘটনায় তৃণমূল সমর্থকরা জড়িত বলে অভিযোগ তুলে দুপুর থেকেই সিতাই থানার সামনে অনশনে বসেন নৃপেন রায়। রাতে সিতাইয়ের বিডিও অনিন্দ্য সরকারের অনুরোধে অনশন প্রত্যাহার করে নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও দলীয় অফিস খোলানোর শর্ত বেঁধে দেন সাংসদ। নৃপেনবাবু বলেন, “সিতাইয়ের বিডিও প্রশাসনের তরফে অনশন তোলার অনুরোধ করেন। পুজোর মুখে অশান্তি হোক তা আমরাও চাইনি। সেজন্যই ওই সময়সীমা দিয়ে অনশন তুলে নিই।”
ফরওয়ার্ড ব্লক সাংসদের অভিযোগ, তৃণমূল সমর্থকরা জোরাম অফিস দখল করে ক্লাবের বোর্ড ঝুলিয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই অফিস কয়েকজন নেতাকে নিয়ে দখলমুক্ত করতে গিয়েছিলেন তিনি। পুলিশকে আগাম জানিয়ে যাওয়ার পরেও তাঁকে ঘিরে হামলার চেষ্টা হয়। নৃপেন রায় বলেন, “একজন সাংসদের নিরাপত্তাই যদি রাজ্য সরকার দিতে না পারে তাহলে বাম কর্মী-সমর্থকদের কী অবস্থা তা স্পষ্ট। সে জন্যই দাবি পূরণ না হলে পুলিশ রক্ষী ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “আদাবাড়ি সেতু-সহ নানা প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থতার জন্য গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে জনরোষের মুখে পড়েন নুপেনবাবু। এখন নাটক করে প্রচার পেতে চাইছেন। তা ছাড়া এখন রাজ্যে জনপ্রতিনিধিরা অবাধে ঘুরতে পারছেন। রক্ষী রাখবেন কি না সেটা ওঁর ব্যাপার।” শুক্রবার রাত পর্যন্ত পুলিশ হামলাকারীদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। |
|
|
|
|
|