টুকরো খবর
পুজোর উপহার দুই বন্ধুকে
পুজোয় নিজেদের নতুন জামা-জুতো হয়েছে। ওঁরা কেন এখনও কেনাকাটা করেনি! কয়েকদিন থেকে ভাবছিলেন জলপাগুড়ি শহরের সুনীতিবালা সদর উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির অনন্যা, শ্রেয়া, অবন্তিকা। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সহপাঠী সান্ত্বনা রায় ও দেবস্মিতা, দুজনেই অভাবের জন্য পুজোয় নতুন জামা কেনার কথা ভাবতে পারে না। এর পরেই বান্ধবীরা এক জোট হয়ে চাঁদা তুলে শুধু সান্ত্বনা ও দেবস্মিতাকে নয়। শুক্রবার ওঁদের ভাইবোনদের জন্যও জামা কিনে দিলেন। দুই সহপাঠী যে দুঃস্থ পরিবারের সেটা ক্লাসের কমবেশি প্রত্যেকে জানেন। কিন্তু এটা জানতেন না তাঁদের পরিবারে অভাব এতটাই যে বাঙালির সেরা উৎসবেও খুশির ছোঁয়া লাগে না জীবনে। শ্রেয়া, অবন্তিকারা জানান, পুজোয় নতুন জামা হয় না এটা ওঁদের কেউ মুখ ফুটে জানায়নি। এমনকী বুঝতেও দেয়নি। গল্পে গল্পে দুর্দশার ছবিটা কয়েকদিন আগে স্পষ্ট হয়। এর পরেই শ্রেয়ারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে কিছু একটা করার সিদ্ধান্ত নেয়। সমস্যা ছিল প্রধান শিক্ষিকার অনুমতি। সেটাও মিলে যায়। এর পরে দুই বিভাগের ১৪০ জন ছাত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন জানায় তাঁরা। চটজলদি উঠে আসে ১ হাজার ৭৭০ টাকা। প্রধান শিক্ষিকা, সহকারি প্রধান শিক্ষিকা এবং দু’জন শ্রেণি শিক্ষিকা ১ হাজার ১০০ টাকা দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। পুরো টাকা দিয়ে চুড়িদার, প্যান্ট, জামা কিনে সান্ত্বনা ও দেবস্মিতার হাতে তুলে দেন শ্রেয়া, অবন্তিকারা। সেই সঙ্গে পুজোর দিনে ভাল কিছু খাওয়ার জন্য ৬০০ টাকা করে দেন তাঁরা। সহপাঠীদের এমন উদ্যোগে অবাক দেবস্মিতা। ছলছল চোখে সান্ত্বনা বলেন, “ভাল লাগছে।” রানিনগরের সান্ত্বনা অসুস্থ। মা নেই। বাবা উপেন রায় চা দোকানে কাজ করে কোনও মতে সংসার চালান। এক বোন দশম শ্রেণির পড়ুয়া। বিবেকানন্দ পল্লির বাসিন্দা দেবস্মিতার বাবা নেই। মা দেবিকা দেবী হোটেলে কাজ করে সংসার চালান। পুজোয় নতুন জামা পেয়ে ওঁরা নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। বান্ধবীদের ধন্যবাদ জানানোর ভাষা খুঁজে পায়নি দু’জনের কেউ। যারা দুই বান্ধবীর পাশে দাঁড়িয়ে নতুন নজির গড়লেন তাঁরা বলছেন “এটা এমন কোনও ঘটনা নয়। আমরা যেমন নিজেদের জন্য কেনাকাটা করেছি। ঠিক সে ভাবেই বান্ধবীকে উপহার দিলাম।” স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অপর্ণা বাগচির কথায়, “এটা একটা বেনজির দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”

অভিনবত্বই মূল আকর্ষণ
কোথাও অ্যালুমিনিয়ামের শিট দিয়ে তৈরি মণ্ডপ। কোথাও মিনারেল ওয়াটারের বোতল দিয়ে মন্দির। শিলিগুড়িতে মণ্ডপ সজ্জায় অভিনবত্ব এনেছে পুজো উদ্যোক্তারা। সুভাষপল্লি সঙ্ঘশ্রীর পুজো এবারে ৪৫ বছরে পা দিয়েছে। পুজোর থিম, ‘গ্রামের চালা ঘরে শিল্পীরা সৃষ্টি করে’। বাঁশের তৈরি কুলো, চালন, হাত পাখা এবং মাটির ঘট, মাটির সরা দিয়ে মণ্ডপ সাজানো হয়েছে। প্রতিমাতেও গ্রাম্য বধূর ছাপ। পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রানা রায় বলেন, “নতুনত্ব পাবেন দর্শনার্থীরা।” জংশনের আবাহনী চক্রের পুজোয় থাকছে অ্যালুমিনিয়াম শিটের মন্দির। রাজস্থানি ঘরানার মণ্ডপ। প্রতিমাও তৈরি হচ্ছে রাজস্থানের সঙ্গে মিল রেখে। দেবীর পরনে ঘাঘরা, অসুরের মাথায় থাকবে রাজস্থানি পাগড়ি। ৪০ ফুট লম্বা এবং ৫০ ফুট চওড়ার মণ্ডপটি দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে বলে জানিয়েছেন পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শুভাশিষ চক্রবর্তী। আবাহনী চক্রের পুজো ৫০ বছরে পা দিল। শিলিগুড়ির অরবিন্দ স্পোর্টিং ক্লাব মিনারেল ওয়াটারের বোতল দিয়ে মণ্ডপ তৈরি করেছে। অরবিন্দপল্লি মেন রোডে কাঠের কাঠামোর উপর প্রায় ৪০ হাজার বোতল দিয়ে মণ্ড তৈরি হচ্ছে। প্রতিমা তৈরি হচ্ছে ফয়েল পেপার দিয়ে। ষষ্ঠীর দিন গরিবদের মধ্যে শাড়ি বিতরণ করা হবে। অরবিন্দ স্পোর্টিং ক্লাব এবারে ৫০ বছরে পা দিয়েছে। ভক্তিনগরের বিবাদী সংঘের পুজোয় এবার খড়ের কুশ দিয়ে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। কৈলাশ ধাম মন্দিরের অনুকরণে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। এবারে তাদের পুজো ২৫ বছরে পা দিল। বিবাদী সংঘের প্রতিমা হচ্ছে ধানের শিস দিয়ে। ‘আপনা ঘর’ বৃদ্ধাবাসের আবাসিকরা এবারে বিবাদী সংঘের পুজো উদ্বোধন করবেন। গরিবদের মধ্যে পুজো কমিটির পক্ষ থেকে বস্ত্র বিতরণ করা হবে।

পাট হাটে বিক্ষোভ
বহিরাগত পাট ব্যবসায়ীদের পাট কিনতে দেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয় ফড়েরাও পাট কিনছেন না। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় থেকে পাট বিক্রি করতে না পেরে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন চাষিরা। শুক্রবার ফাঁসিদেওয়ার জালাসের লিউসিপাখুরি হাটে এই ঘটনা ঘটে। ক্ষুব্ধ চাষিরা রাস্তার উপর পাট ফেলে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। আলোচনার পর পাট কেনাবেচা শুরু হয়। অভিযোগ, স্থানীয় ফড়েরা নিজেদের ইচ্ছেমতো দামে পাট বিক্রিতে বাধ্য করেন। ফাঁসিদেওয়ার বিডিও বাদশা ঘোষাল বলেন, “কৃষি দফতরের সঙ্গে কথা বলব।” গত সপ্তাহেও হাটে মণ প্রতি ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা দরে পাট বিক্রি হয়। এদিন ফড়েরা ৬০০-৭০০ টাকা দরে পাট কেনার প্রস্তাব দিলে কৃষকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। কৃষক সংগঠনের নেতা সিপিএমের সন্তোষ রায় বলেন, “নতুন রাজ্য সরকারও পাট চাষিদের নিয়ে কিছু ভাবছে না।” তৃণমূলের ফাঁসিদেওয়া ব্লক নেতা গৌরীশঙ্কর গোস্বামী ও কংগ্রেসের কৃষক সংগঠনের ফাঁসিদেওয়া ব্লক নেতা তসিরুদ্দিন মহম্মদ বলেন, “জেসিআই পাট না কেনায় সমস্যা হয়েছে।”

মুখ্যমন্ত্রীকে দাবি
জলপাইগুড়ির জন্য পৃথক উন্নয়ন পর্ষদ গড়ার দাবিতে সংগৃহীত গণসাক্ষর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠাল কংগ্রেস। সম্প্রতি রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পরে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) যে নয়া বোর্ড গঠিত হয়েছে তাতে জলপাইগুড়ির কোনও জনপ্রতিনিধি না থাকায় শহরের বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। নয়া বোর্ডে জলপাইগুড়ি শহর ও লাগোয়া এলাকা উপেক্ষিত থাকবে বলে অভিযোগ করে পৃথক উন্নয়ন পর্ষদ গড়ার দাবি জোরাল আকার ধারণ করে। গত ২২ সেপ্টেম্বর শহর ব্লক কংগ্রেসের তরফে সমাজপাড়া মোড়ে পৃথক উন্নয়ন পর্ষদ গড়ার দাবিতে গণসাক্ষর কর্মসূচিও অনুষ্ঠিত হয়। সেদিনের যাবতীয় দাবিপত্র শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে গত ২৯ সেপ্টেম্বর এসজেডিএর প্রথম বোর্ড মিটিঙের যে সব প্রকল্প গৃহীত হয়েছে তার মধ্যে জলপাইগুড়ির প্রকল্পের সংখ্যা নিতান্তই কম বলেও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুজোর পরেই পৃথক উন্নয়ন পর্ষদের দাবিতে আন্দোলন শুরু হতে চলেছে বলে হুমকি দিয়েছে ব্লক কংগ্রেস।

উঠে গেল গ্যাস ধর্মঘট
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের হস্তক্ষেপে ধর্মঘট তুলে নিল তৃণমূল প্রভাবিত রান্নার গ্যাস সরবরাহকারী ট্রাক চালক সংগঠন। শুক্রবার মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরেই ধর্মধট তুলে নেওয়া হয়। বোনাস বাড়ানোর দাবি তুলে বৃহস্পতিবার থেকে ধর্মঘট নামে ট্রাক চালকরা। ফলে রানিনগর বটলিং প্ল্যান্ট থেকে গ্যাস সিলিণ্ডার সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। শিলিগুড়ি সহ গোটা উত্তরবঙ্গে রান্নার আকাল দেখা দেয়। এদিন মালদা বটলিং প্ল্যান্ট থেকে শিলিগুড়িতে গ্যাস এনে অবস্থা সামাল দেন ইন্ডিয়ান অয়েলের কর্তারা। চালক সংগঠনের পক্ষে হারাধন সরকার বলেন, “মন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলার পরই ধর্মঘট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।” চালক সংগঠনের নেতৃত্ব জানান, ১১ শতাংশ হারে বোনাস বাড়ানোর দাবি করলেও মালিকপক্ষ তা মানতে নারাজ। তারা সাড়ে ১০ শতাংশ হারে বোনাস বাড়াতে চান। বিষয়টি নিয়ে আজ, শনিবার বিকাল ৩টায় ট্রান্সপোটার্স ও শ্রমিক নেতৃত্বকে নিয়ে আলোচনা করবেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। আইওসি’র শিলিগুড়ির এরিয়া মানেজার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় বলেন, “গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য আমরা সবরকম চেষ্টা করেছি। ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় পরিস্থিতি স্বভাবিক হবে বলে আশা করছি।”

দলিল নিয়ে গোলমাল
জমির দলিলের কপিতে দু’রকমের হাতের লেখা হয়েছে এই অভিযোগে শুক্রবার বাগডোগরায় রেজিস্ট্র অফিসে তুলকালাম কাণ্ড হয়। দফতরের আধিকারিক ধ্রুব দাশগুপ্ত ওই দলিলটি গ্রহণ করতে আপত্তি জানালে আইনজীবী সুশান্ত নিয়োগীর সঙ্গে গোলমাল শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে যেতে হয়। পরে ওই আইনজীবী এবং দফতরের পক্ষ থেকে পৃথক ভাবে বাগডোগরা থানায় দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই আইনজীবীর অভিযোগ, দলিল লেখকেরা যেভাবে নকল তৈরি করেছেন সেভাবেই তিনি জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু আধিকারিকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একটি মামলায় তিনি সাক্ষ্য দিচ্ছেন বলে অহেতুক তাঁকে হেনস্থা করা হয়। তাঁকে মারধও করা হয়বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই আইনজীবী। ওই আধিকারিক অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি আইন মেনে কাজ করার চেষ্টা করছেন। তার পরেও তাঁকে হেনস্থার চেষ্টা হচ্ছে। সম্প্রতি বাগডোগরার বাসিন্দা এক আইনজীবী অরুণ ঘোষের সঙ্গে ওই আধিকারিক ‘দুব্যর্বহার’ করেছেন বলেও অভিযোগ। তার জেরে শিলিগুড়ির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সেকেন্ড কোর্ট) সন্তোষ পাঠকের আদালতে একটি মামলাও চলছে। ওই আধিকারিক বলেন, “মামলার সঙ্গে দলিলের নকল গ্রহণের কোনও সম্পর্ক নেই।”

প্রতিযোগিতায় শহরতলিও
শারদোৎসবে এ বার শহর শিলিগুড়ির সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে শহরতলিও। শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া মাটিগাড়া এবং শিবমন্দিরেও এ বার একাধিক পুজো হচ্ছে যেখানে আয়োজন লাগিয়ে দেওয়ার মতোই। শিবমন্দির এলাকার আঠারোখাই সর্বজনীনের পুজো হচ্ছে একটি মন্দিরের আদলে। মণ্ডপের অলঙ্করণ হচ্ছে নানা ধরনের কৃত্রিম ফুল আর রুদ্রাক্ষ দিয়ে। কৃষ্ণনগরের মণ্ডপশিল্পী বিমল মজুমদারের তৈরি এই মণ্ডপে পাঁচ হাজার কৃত্রিম ফুল ব্যবহার হচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে রুদ্রাক্ষ। ১২৮ বছরের এই পুজোটি গত কয়েক দশক ধরে পরিচালনা করছে সরোজিনী সঙ্ঘ। পুজোর আয়োজনে এ বার শিলিগুড়ির অনেক ক্লাবকেও তাঁরা টেক্কা দেবেন বলে দাবি করেছেন ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মৃন্ময় দাস ও সঞ্জু দে। আঠারোখাই সর্বজনীনের মতোই পুজোর আয়োজনে চমক দেবে মাটিগাড়ার মায়াদেবী ক্লাবও। এই পুজোর এ বার ৬৬ বছর। ত্রিপুরার রাজবাড়ির আদলে মণ্ডপ ছাড়াও এখানে মুগ্ধ করবে প্রতিমা। মাটির বসন, মাটির অলঙ্কার ছাড়াও প্রতিমাও ব্যবহার করা হচ্ছে আমেরিকান ডায়মন্ড এবং কাঁচ। তার সঙ্গে রয়েছে চন্দননগরের আলো। শিবমন্দিরের বিএড কলেজের মাঠে মাত্র আট বছর ধরে পুজো হচ্ছে পঞ্চানন স্মৃতি সঙ্ঘের উদ্যোগে। কিন্তু ইতিমধ্যেই এই পুজোটি সকলের নজর কেড়েছে অনন্য বৈশিষ্ট্যের জন্য। মহকুমার একমাত্র এই পুজো চত্বরেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য আলাদা করে স্টল তৈরি করে দেওয়া হয়।

বিক্ষোভ বাগানে
চুক্তি অস্বীকার করে বাগান কর্তৃপক্ষ ১৭ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়ায় শুক্রবার ডুয়ার্সের মানাবাড়ি চা বাগানে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। শ্রমিকেরা এ দিন ওদলাবাড়িতে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে টানা দেড় ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। সিটু, আদিবাসী বিকাশ পরিষদ এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থকেরা দলীয় পতাকা নিয়ে অবরোধে সামিল হন। এ বার পুজোয় সমস্ত চা বাগানে শ্রমিকদের ২০ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, চা বাগান কর্তৃপক্ষ প্রথমে ১৫ শতাংশ হারে বোনাস দেবেন বলে ঠিক করেন। শ্রম কমিশনারের হস্তক্ষেপে ১৭ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়।

হোটেলে হানা
মধু চক্র চালানোর অভিযোগে জলপাইগুড়ির কদমতলার একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে এক যুবক যুবতীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে অভিযানে হোটেলের ম্যানেজারকেও আটক করা হয়েছে। এদিন দুপুরে কদমতলা লাগোয়া একটি লজে হঠাৎই পুলিশি অভিযান শুরু হয়। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেহভাজন এক যুবক যুবতীকে আটক করা হয়েছে। জলপাইগুড়ির ডিএসপি হরিপদ শীর নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। হরিপদবাবু বলেন, “খবর পেয়েই অভিযান হয়। ম্যানেজারকেও জেরার জন্য ডাকা হয়েছে। তদন্ত চলছে।”

সচেতনতা দিবস
রানিডাঙ্গা-কালারাম হাইস্কুলের উদ্যোগে শুক্রবার মাতৃ সচেতনতা দিবস উদযাপিত হল। এই উপলক্ষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কুতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের বসে আঁকো প্রতিযোগিতা ছাড়া রবীন্দ্র ঠাকুরের কবিতা অবলম্বনে শ্রুতি আলেখ্য ও শিশুদের প্রতি মায়েদের ভূমিকা বক্তব্য রাখেন সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা বালিকা শিক্ষা সঞ্চালক সামসুর আলম। বক্তব্য রাখেন স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন গোঁসাইপুর পঞ্চায়েত প্রধান আনন্দ ঘোষ।

অবহেলার নালিশ
শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কতৃর্পক্ষের (এসজেডিএ) প্রথম বোর্ড মিটিংয়ে জলপাইগুড়ির জন্য বিশেষ কোনও প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছে যুব কংগ্রেস। জলপাইগুড়ি শহরকে বঞ্চিত করাই এসজেডিএর লক্ষ্য বলে যুব কংগ্রেস অভিযোগ করেছে। জলপাইগুড়ি লোকসভা যুব কংগ্রেসের সভাপতি সৈকত চট্টাপাধ্যায় বলেন, “এসজেডিএর বোর্ডে জলপাইগুড়ি শহরের কোনও জনপ্রতিনিধি রাখা হয়নি। প্রথম বোর্ড মিটিংয়ে শহর জলপাইগুড়িকে অবহেলার দৃষ্টান্ত পরিষ্কার হয়েছে। এর প্রতিবাদে পুজোর পরে লাগাতার এসজেডিএর জলপাইগুড়ি দফতর ঘেরাও করা হবে।”

পুজোয় পথবাতি
পুজোর মুখে দর্শনার্থীদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে শিলিগুড়ির ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ১৫টি ভেপার ল্যাম্প বসানো হল। ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকায় মহানন্দা হাই স্কুল ময়দানেও আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কমল অগ্রবাল জানান, কাউন্সিলর উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সমস্ত রাস্তায় ভেপার আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহাকালপল্লিতে ৫ লক্ষ টাকায় একটি কমিউনিটি হলও তৈরি করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা
পূবালী সেনগুপ্ত স্মৃতি সংস্থার উদ্যোগে শুক্রবার শিলিগুড়ি বয়েজ হাই স্কুলে ‘আমার মা’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা হয়। বাংলা, হিন্দি, নেপালি, উর্দূ ও ইংরেজিতে প্রবন্ধ লেখে ৫০৭ জন প্রতিযোগী। এই প্রতিযোগিতার শুরুতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিপ্লব সেনগুপ্ত, মধুসূদন চক্রবর্তী এবং চন্দন দাস।

নতুন এক্সচেঞ্জ চালু
ভারত সঞ্চার নিগমের নতুন ১ হাজার ল্যাণ্ড লাইন এক্সচেঞ্জ চালু হল। শুক্রবার শিলিগুড়ির সিটি সেন্টারে ওই এক্সচেঞ্জের উদ্বোধন করেন নিগমের উত্তরবঙ্গ আঞ্চলিক জেনারেল ম্যানেজার রতন ঘোষ। নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রথম অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে একটি এক্সচেঞ্জ গড়ে তোলা হল। ওই লাইনে কোনও সমস্যা ছাড়া ব্রডব্যাণ্ড ইন্টারনেটে দ্রুত কাজের সুযোগ মিলবে।

ধস পরিদর্শন
ছবি তুলেছেন সন্দীপ পাল।
কার্শিয়াঙের তিনধারিয়ায় ভূমিকম্প পীড়িত এলাকা পরিদর্শনের পরে নিরাশ্রয়দের স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করার দাবি জানালেন সিপিএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। শুক্রবার তিনি এবং সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জীবেশ সরকার তিনধারিয়ায় যান। গত ১৮ সেপ্টেম্বরের ভূমিকম্পে তিনধারিয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রেলের ওয়ার্কশপ, রেল কলোনি ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ বাসিন্দারা। বেশ কয়েকটি বাড়ি শূন্যে ঝুলছে। দুর্গতদের জন্য ওই এলাকায় ৫টি আশ্রয় শিবির তৈরি করা হয়েছে। শতাধিক ব্যক্তি সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। পুরমন্ত্রী এদিন দুগর্তদের সঙ্গে কথা বলেন। নিরাশ্রয়দের শুকনো খাবারও বিলি করা হয়। গোর্খা পার্বত্য পরিষদের প্রশাসক অনিল বর্মার সঙ্গেও কথা বলেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যেভাবে ভূমিকম্পে ক্ষতক্ষতি হয়েছে তাতে দুর্গতদের আর পুরানো বাসস্থানে ফেরা সম্ভব নয়। দুর্গতদের অবিলম্বে নয়া বসতি গড়ার জন্য রাজ্য সরকার জমির ব্যবস্থা করুক।” সিকিমে ভূমিকম্পে দুর্গতদের সাহায্য করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। পুরমন্ত্রীর দাবি, “রাজ্য সরকার এবং দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের উচিত, ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অর্থ চাওয়া।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.