রাজ্যের কোথাও শিল্প গড়ার ছাড়পত্র পেতে বা কাজে নামতে অসুবিধা হলে যাতে তাঁকেই সরাসরি জানানো হয়, সে ব্যাপারে শিল্পোদ্যোগীদের অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, “কোনও অসুবিধার কথা কানে এলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রতিশ্রুতিমতো পুজোর আগেই নবদিগন্তে ৩৮ লক্ষ বর্গফুট এলাকা জুড়ে ভবন নির্মাণের ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার মহাকরণে এই সংক্রান্ত কাগজপত্র মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন নবদিগন্তের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের পুর-সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অনুষ্ঠানেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগে দমকল-পুলিশ-পরিবেশের ছাড়পত্র পেতে উদ্যোগপতিদের ৯৯টি ধাপ পার করতে হত। হয়রানি কমাতে আমরা তা সাতটি ধাপে নামিয়ে এনেছি। এক জানলা পদ্ধতিও চালু হয়েছে।”
এবং এ প্রসঙ্গেই মমতা জানিয়ে দেন, উন্নয়নের কর্মপদ্ধতিতে তিনি সরলীকরণ চান। তাঁর কথায়, “আগে টেন্ডার ডাকতেই সময় চলে যেত। কাজে সমন্বয় থাকত না। ও সব চলবে না।” তিনি বলেন, “কলকাতাকে লন্ডন বানাতে গঙ্গাপাড়ের সৌন্দর্যায়ন চলছে। রাস্তা হচ্ছে। অন্তর্দেশীয় বিমানবন্দর নতুন করে সাজানোর চেষ্টা করছি। হেলিপ্যাডও হবে। পুজোর পরেই কাজ শুরু করে মার্চের মধ্যে সব শেষ করা হবে।”
আলাপনবাবু জানান, নবদিগন্তে ভবন-প্রকল্পের ৩৮ লক্ষ বর্গফুটের ১০ লক্ষ বর্গফুটে বাড়ি তৈরি হয়ে গিয়েছে। বাকি কাজও দ্রুত শেষ হবে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে চল্লিশ হাজার কর্মসংস্থান হবে। রাজ্যে শিল্প গড়তে বণিকসভার পরামর্শ নেওয়ার কথাও এ দিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ‘ন্যাসকমের’ পূর্বাঞ্চলের রিজিওন্যাল ম্যানেজার সুপর্ণ মৈত্র বলেন, “সার্বিক উন্নতির স্বার্থে জেলাতেও শিল্প চাই।” জেলাগুলোয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প গড়ে তুলতে যাবতীয় সহযোগিতার আশ্বাসও দেন সুপর্ণবাবু। |