কোথায় কোন দফতরের কতটা কাজ হল, সেই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়েই তিনি যে সন্তুষ্ট থাকবেন না, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বারবার তা জানিয়েছেন। বলেছেন, এলাকায় গিয়ে কাজের অগ্রগতি যাচাই করবেন। পুজোর পরে কলকাতা সংলগ্ন দুই ২৪ পরগনা দিয়ে তাঁর সেই সফর শুরু হচ্ছে।
আগামী ১২ অক্টোবর উত্তর ২৪ পরগনায় উন্নয়নের কাজকর্মের জেলা-ভিত্তিক খতিয়ান নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরের দিন, ১৩ অক্টোবর তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সফরে যাবেন। ক্ষমতায় আসার পরে চার মাসে রাজ্য স্তরে বিভিন্ন দফতরের কাজকর্ম পর্যালোচনা করতে মন্ত্রী ও সচিবদের সঙ্গে একাধিক বার বৈঠক করেছেন মমতা। এ বার জেলায় গিয়ে একেবারে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক অর্থাৎ বিডিও এবং মহকুমাশাসক স্তরের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করে জেলাগুলির উন্নয়নের হালহকিকত বুঝে নিতে চান তিনি। জেলা সফরের সূচনায় দুই ২৪ পরগনায় তিনি একই ধরনের পর্যালোচনা বৈঠক করবেন বলে তাঁর কার্যালয় সূত্রের খবর।
মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য একাই জেলায় জেলায় যাবেন না। সাধারণ মানুষের উন্নয়নের কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছে, এমন প্রায় এক ডজন দফতরের জেলা-ভিত্তিক কাজের খতিয়ান বুঝে নেওয়ার জন্য সঙ্গে নিয়ে যাবেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এবং সচিবদেরও। জেলা সদরে বসবে মুখ্যমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠক। সেই সব বৈঠকে দফতর ধরে ধরে সংশ্লিষ্ট জেলায় তাদের কাজের বিশ্লেষণ করা হবে। জানতে চাওয়া হবে, জেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কোনটা কেমন চলছে? ঠিকমতো কাজ না-এগোলে তার কারণ কী, জানতে চাওয়া হবে তা-ও। বৈঠকের প্রস্তুতির জন্য উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকদের এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের জেলায় চালু সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্পের তালিকা মুখ্যসচিবের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিতে বলা হয়েছে। যে-সব দফতরের মন্ত্রী ও সচিবদের ১২ ও ১৩ তারিখের বৈঠকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে, সেগুলি হল পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন, অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ, সংখ্যালঘু উন্নয়ন, পূর্ত-সড়ক, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, বিদ্যালয় শিক্ষা, কৃষি, সেচ, ক্ষুদ্র সেচ, নারী ও শিশু বিকাশ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা। মুখ্যমন্ত্রীর অন্যান্য জেলা সফরের কর্মসূচি ক্রমান্বয়ে ঠিক করা হবে। |