রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে বাঁকুড়া শহরে |
খানাখন্দে ভরে গিয়েছে বাঁকুড়া শহরের রাস্তা। বর্ষার জল জমে ওই সব খানাখন্দ ছোট ছোট ডোবায় পরিণত হয়েছে। লালবাজার থেকে কেরানিবাঁধ, কলেজ মোড় থেকে জুনবেদিয়া মোড়, স্টেশনমোড় থেকে দ্বারকেশ্বর সেতু সর্বত্রই একই ছবি। দুধ বিক্রেতা বা সাফাই কর্মী, রিকশাওয়ালা বা মোটরবাই আরোহী-সকলেই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় তাঁদের বিরক্তি চরমে উঠেছে। দুষছেন পুরপ্রশাসনকে। অর্ধেক রাস্তা জুড়ে গর্ত। তাতে জমা জল। সাইকেলে দুধ নিয়ে যাচ্ছিলেন বিক্রেতা বরেন মণ্ডল। উল্টো দিক থেকে আসছিলেন এক বাইক আরোহী। বাইকটিকে রাস্তা ছেড়ে দিয়ে গিয়ে সাইকেল থেকে নেমে পড়তে হল বরেনবাবুকে। একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “গর্তের কারণে রাস্তা এতটাই সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়েছে না নামলে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। এই ভাবে চলাফেরা করা দায়।” বাজার করে রিকশায় ফিরছিলেন প্রণবানন্দপল্লির বাসিন্দা ছায়া নন্দী। তিনিও বলেন, “রাস্তার যা হাল, তাতে রিকশায় চড়া খুব ঝুঁকির। ঝাঁকুনি খেতে খেতে কোমর ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়।” বছর ষাটেকের ছায়াদেবীর অভিযোগ, “ভোটের আগে রাস্তা ঠিক করে দেওয়ার আশ্বাস মিলেছিল। কিন্তু আজও সে কথা রাখা হয়নি।” বাঁকুড়ার আশ্রম পাড়ার বাসিন্দা কৌশিক ঘোষ বলেন, “সারা শহরের একই অবস্থা। বৃষ্টির কারণে তো হাল আরও খারাপ হয়েছে। পুরপ্রশাসনের দ্রুত নজর দেওয়া উচিত।” একই সুরে কথা বলছেন লালবাজারের সুনীল মণ্ডল থেকে কেরানিবাঁধের গঙ্গা গরাইরা। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে বাঁকুড়া শহরে রিকশা চালাচ্ছেন চিত্ত মণ্ডল। তাঁর ক্ষোভ, “রাস্তা খারাপের কারণে রিকশা চালাতে আমাদেরও অসুবিধা হয়। বেশি সমস্যা হয় রোগী বা বৃদ্ধদের নিয়ে যেতে। একটানা ঝাঁকুনির ফলে ঘন ঘন রিকশা খারাপ হয়ে যায়। ফলে লাভের গুড় পিঁপড়ে খেয়ে যায়। হাতে কিছুই থাকে না।” পুরপ্রধান শম্পা দরিপা বলেন, “বিষয়টির দিকে আমাদের নজর আছে। সরকারের অর্থ ভাণ্ডারের অবস্থা এখন ভাল নয়। তবু পুজোর আগে কিছু অর্থ সংস্থানের আশ্বাস মিলেছে। সেই টাকা হাতে এলেই রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হবে।”
|
সিমলাপাল থানায় বিক্ষোভ তৃণমূলের |
গাছের চারা বিলি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার দুপুরে সিমলাপাল থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। ঘণ্টাখানেক পরে পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে।
এলাকার বাসিন্দা তথা বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল নেতা দিলীপ পন্ডার দাবি, “ব্লকের প্রায় ১১ হাজার গাছের চারা বেআইনি ভাবে খোলা বাজারে বিক্রি করে দিয়েছে সিপিএম পরিচালিত সিমলাপাল পঞ্চায়েত সমিতি। তৃণমূল পরিচালিত লক্ষ্মীসাগর গ্রাম পঞ্চায়েতকে একটা চারাও দেওয়া হয়নি।” তাঁর অভিযোগ, “বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ‘যোগসাজশ’ করে গাছের চারা বিক্রি করে দিয়েছেন। আমরা পুলিশের কাছে গোটা ঘটনার তদন্ত করে ওই দু’জনকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি।” সিমলাপালের বিডিও সৌগত মাইতি অবশ্য বলেন, “সরকারি নিয়ম মেনেই ব্লকের প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের গাছের চারা দেওয়া হয়েছে। খোলাবাজারে কোনও চারা বিক্রি করা হয়নি। বিলি নিয়ে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে তৃণমূল নেতৃত্ব আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সমস্ত নথি তাঁদের দেখানো হবে।” পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম সভাপতি সুবীর পাত্রের দাবি, “কোনও অস্ত্র না পেয়ে রাজনৈতিক কারণে তৃণমূলের কিছু নেতা আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর জন্য এ সব করছেন। এলাকার মানুষ গাছের চারা পেয়েছেন। তাঁরা সবই জানেন।”
|
আগের দিন ব্লক অফিসের দরজায় তালা ঝুলিয়ে ছিলেন শ্রমিকেরা। পরের দিন সেই ব্লক অফিসের দরজায় তালা ঝোলালেন ঠিকাদারেরা। বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের অভিযোগ ছিল, ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করেও মজুরি পাওয়া যায় নি। শুক্রবার ঠিকাদারেরাও অভিযোগ, ওই প্রকল্পে কাজের টাকা বকেয়া রয়েছে। ঘটনাটি পুঞ্চা ব্লক অফিসের। ঠিকাদারদের পক্ষে নীলমনি মুখোপাধ্যায়, রনজিৎ সাহানাদের অভিযোগ, “২৫ জন ঠিকাদারের ১ কোটি ১২ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে। অনেকেই আমরা চড়া সুদে টাকা ধার নিয়ে কাজ করেছিলাম। বিডিও’কে অনেকবার জানানোর পরেও টাকা পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে ব্লক অফিসের দরজায় তালা ঝুলিয়েছি।” পুঞ্চার বিডিও বিল্বদল রায় বলেন, “১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা জেলা থেকে ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ওই ১ কোটি ১২ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়ে গিয়েছে। তালা দেওয়ায় অনেকেই অফিসে ঢুকতে পারেননি। সমস্ত বিষয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”
|
রাস্তার গর্তে পড়ে একটি গাড়ি বেসামাল হয়ে উল্টে পড়ল। সেই দুর্ঘটনায় গাড়ির যাত্রী এক মহিলা-সহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে পাড়া থানার পাড়া গ্রামের কাছে, সাঁওতালডিহি-ঝাপড়া রাস্তায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত রাধা মুদি (২৩) ঝাড়খণ্ডের সুদামডি থানার নাগিনাবাজারের ও হারাধন স্বর্ণকার (৬০) পাড়া থানার দুবড়ার বাসিন্দা। গাড়িটি আটক করা গেলেও চালক পালিয়েছে।
|
‘সভ্যতার ভবিষ্যত ও শক্তির গবেষণার সাম্প্রতিক ধারা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় যোগ দিল বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার কলেজগুলির শিক্ষক ও পড়ুয়ারা। বৃহস্পতি ও শুক্রবার এই সভা হয় রঘুনাথপুর কলেজে। আলোচনাসভায় বিশিষ্টজনেরা বক্তব্য রাখেন। |