বন্ধ কলেজ, পরিদর্শনে এসে ক্ষুব্ধ প্রতিনিধিদল |
প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের ‘বি সি রায় ডেন্টাল কলেজ’ পরিদর্শনে শুক্রবার ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল এল হলদিয়ায়। কলেজে পুজোর ছুটি পড়ে যাওয়ায় ভবন ছাড়া আর কিছুই অবশ্য দেখতে পাননি প্রতিনিধিরা। আগাম ফ্যাক্সবার্তা দিয়ে এসেও কিছু দেখতে না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। অভিযোগ, কলেজের কয়েকজন কর্মচারী পরিদর্শনে বাধাও দেন এ দিন। রাজ্যের স্বাস্থ্য (শিক্ষা) দফতরের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের তরফে হরিদাস অধিকারী ও উৎপল ভদ্র বলেন, “একই সঙ্গে ডেন্টাল কলেজ ও মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামো রয়েছে কিনা দেখতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এখানে এসেছিলাম আমরা। কিন্তু কলেজ বন্ধ থাকায় কার্যত কিছুই দেখতে পাইনি।” প্রসঙ্গত, বি সি রায় ডেন্টাল কলেজের সঙ্গেই মেডিক্যাল কলেজ খোলার ব্যাপারে সম্প্রতি উদ্যোগী হয়েছেন লক্ষ্মণ শেঠ। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার প্রয়োজনীয় অনুমতি রয়েছে তাঁদের কাছে। এই মর্মে কলেজে ভর্তির জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনও দেন তাঁরা। পাল্টা রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, ওই কলেজের প্রয়োজনীয় অনুমোদন নেই। এই নিয়ে আন্দোলনে নামেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারাও। বিতর্ক সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পড়ায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই শুক্রবার কলেজ পরিদর্শনে এসেছিল প্রতিনিধিদল। এ দিকে, মেডিক্যাল কলেজের নামে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে বৃহস্পতি ও শুক্রবার কলেজের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। সংবর্ধনা। পুজোর মণ্ডপশিল্পী ও ঢাকিদের পোশাক দিয়ে সম্মান জানাল কোলাঘাটের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সঙ্কেত। শুক্রবার কোলাঘাটের নতুন বাজারে ৩৬০ জনকে পোশাক গোলাপ ফুল ও মিষ্টি দিয়ে সংবর্ধনা জানায় তারা।
|
পিটিটিআই পাশ সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে নিয়োগের দাবিতে জেলাশাসক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করল প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষণ ছাত্র সমিতির সমর্থকেরা। শুক্রবার তমলুকে জেলাশাসকের দফতরের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভের পরে মিছিল করে সংসদ অফিসে যান চাকরিপ্রার্থীরা। সংসদের চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি দিতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সভাপতি ছিলেন না। জেলাশাসককে স্মারকিলিপি দেন তাঁরা। সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক নীলম রায়ের দাবি, “পিটিটিআই পাশ করা সমস্ত ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে সংসদকেই।” জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান গোপাল সাহু অবশ্য বলেন, “পিটিটিআই উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের একাংশের ডিগ্রি এখনও সরকারি বৈধতা পায়নি। সব দিক বিবেচনা করেই শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে।”
|
অস্ত্র-সহ যুবক ধৃত সাঁকরাইলে |
বেআইনি অস্ত্র মজুতের অভিযোগে সাঁকরাইলের ধানঘোরি থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত অমিত মাহাতোর বাড়ি বাঁধগোড়ার খড়িকাশুলি গ্রামে। পুলিশের দাবি, শুক্রবার ভোরে ধানঘোরি এলাকায় টহলরত যৌথ বাহিনী মোটরবাইক সমেত অমিতকে আটক করে। তার কাছে মেলে গুলি-ভর্তি দিশি পিস্তল। ধৃতকে এ দিন ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তের আইনজীবী তপনকুমার চৌধুরীর অবশ্য অভিযোগ, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অমিত মোটরবাইকে সাঁকরাইলের মুড়াকাটিতে পিসির বাড়ি যাচ্ছিলেন। তখন একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের মদতপুষ্ট লোকেরা তাঁকে ‘মাওবাদী’ সন্দেহে ধরে প্রচণ্ড মেরে পুলিশে দেয়। পরে তাঁকে অস্ত্র রাখার মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।” বিচারক অভিযুক্তকে ৩ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
|
পুরস্কারের সিদ্ধান্ত পূর্বে |
জেলার সেরা পুজোগুলিকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। শুক্রবার জেলা পরিষদের সভাকক্ষে পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তারা। বৈঠকে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, আইন মেনে যে সব পুজোকমিটি মণ্ডপ-প্রতিমায় বিশেষ নৈপুণ্য ও পরিবেশ রক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখবে, তাদেরই পুরস্কৃত করা হবে। থানা, মহকুমা ও জেলাস্তরে পুরস্কৃত করা হবে। বৈঠকে উপস্থিত জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন, “পুজোকমিটিগুলি যাতে সরকারি নিয়ম মেনে চলে ও শব্দবিধি মেনে মাইক বাজায়, সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।”
|
হোসিয়ারি শ্রমিকদের পুজোয় বোনাস স্থির |
হোসিয়ারি শ্রমিকদের পুজোর বোনাস নির্ধারণ হল ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে। শুক্রবার তমলুকে সহ-শ্রম কমিশনারের দফতরে জেলার হোসিয়ারি মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক হয়। ঠিক হয় বড় মেশিনের হোসিয়ারি শ্রমিকেরা ৩৩০০ টাকা ও ছোট মেশিনের শ্রমিকেরা ২৭৬০ টাকা বোনাস পাবেন। আগামী ১ ও ২ অক্টোবরের মধ্যে বোনাস পেয়ে যাবেন শ্রমিকেরা। উল্লেখ্য, চলতি বছরে হোসিয়ারি শ্রমিকদের ৮.৩৩ শতাংশ হারে পুজো বোনাস দেওয়ার দাবি করে আন্দোলনে নেমেছিল ওয়েস্টবেঙ্গল হোসিয়ারি মজদুর ইউনিয়নের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটি।
|
আগুনে ভস্মীভূত হল এগরার খেজুরদা এলাকার রিকশার ইঞ্জিন তৈরি ও মেরামতির একটি কারখানা। এগরা-কাঁথি রাস্তার ধারে ওই দোকানটিতে অক্সিজেন সিলিন্ডার, এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার, ডিজেল ও মোবিলের ড্রাম ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে বিস্ফোরণ সহকারে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। স্থানীয় বারানিধি গ্রামের বাসিন্দা সনাতন তেলা কারখানাটির মালিক। তিনি দোকানে না থাকলেও এক কর্মচারী ছিলেন। প্রথমে তাঁরই নজরে আসে। তাঁর চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। প্রায় এক ঘণ্টা পরে দমকল এসে আগুন নেভায়। |