ক্রিকেট বল নয়, রাহুল শর্মার হাতে বই-খাতা দেখতে চেয়েছিলেন তাঁর বাবা। হরভজন সিংহের শহর জলন্ধরে খুব সাধারণ পরিবেশে বড় হয়েছেন তরুণ লেগস্পিনার। তাঁর বাবা, পঞ্জাব পুলিশের সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর প্রদীপ শর্মা চেয়েছিলেন, আরও বেশি উচ্চশিক্ষার মধ্যে থাকুক ছেলে রাহুল। স্নাতক হওয়ার পর বাবার কথা মতো এমএ পড়তে ভর্তি হলেও স্বয়ং রাহুলের স্বপ্ন ছিল ভারতের নীল জার্সি পরে মাঠে নামা। শেষ পর্যন্ত ছেলের স্বপ্নই পূর্ণ হতে চলেছে! ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের এক দিনের দলে নির্বাচিত হওয়ায় রাহুল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের দোড়গোড়ায়। তা-ও আবার ডান চোখটা প্রায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর। |
এ হেন রূপকথার নায়ক রাহুল জানাচ্ছেন, কঠিন সময়ে তাঁর পরিবারের সমর্থনের কথা। জানাচ্ছেন সেই ভয়াবহ রাতের কথা, যখন ডান চোখের দৃষ্টি প্রায় হারাতে বসেছিলেন। “মুখের ডান দিকের প্রচণ্ড ব্যথায় হঠাৎ ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। পরে ডাক্তার বললেন যে, আমার মুখের নার্ভ ফেটে গিয়েছিল।” সেই দুর্ঘটনার পর এক বছর প্রচুর খেটেছেন ২৪ বছরের রাহুল। ক্রিকেটে তাঁর হাতেখড়ি সেই দেবেন্দ্র অরোরা-র কাছে, যিনি এক সময় হরভজনেরও কোচ ছিলেন।
আইপিএল ফোর-এ পুণে ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলার সময়ই নজর কেড়েছিলেন রাহুল। এমনকী সচিন তেন্ডুলকরও তাঁর প্রশংসা করেছিলেন। “আইপিএল খেলার সময় সচিন বলেছিল যে আমি নিজের সেরা ফর্মে বল করছি। যে কোনও ক্রিকেটারের কাছে এর চেয়ে বড় প্রশংসা আর কিছু হতে পারে না,” বলছেন জাতীয় দলের নতুন লেগস্পিনার রাহুল। শনিবারই রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন রাজস্থানের বিরুদ্ধে শুরু পাঁচ দিনের ইরানি ট্রফিতে অবশিষ্ট ভারতের হয়ে খেলতে রাহুল এখন জয়পুরে। |