পুজোর পর কোনও ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে বসে নতুন কোনও আইন দেখে চোখ কপালে তোলার কিছু নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আইনে যুগান্তকারী কিছু রদবদল ঘটেছে। টেস্ট, ওয়ান ডে, টি টোয়েন্টি--- পয়লা অক্টোবর থেকে আইসিসি অনুমোদিত যে কোনও ম্যাচেই এই নতুন আইনগুলো চালু হবে। সেগুলো সহজ করে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা যাক:
১) রান আউট না হয়েও ব্যাটসম্যান কিন্তু এ বার থেকে রান আউট ঘোষিত হতে পারেন। ‘রানিং বিটুইন দ্য উইকেটস’-এর সময় যদি ব্যাটসম্যান ইচ্ছে করে দৌড়ের গতিপথ বদলে উইকেটে ফিল্ডারের সরাসরি থ্রো আটকানোর চেষ্টা করেন এবং আম্পায়ার যদি মনে করেন ব্যাপারটা ব্যাটসম্যানের ইচ্ছাকৃত, সেক্ষেত্রে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’-এর নিয়মে উইকেটে বল না লাগলেও ব্যাটসম্যান রান আউট ঘোষিত হতে পারেন। এখন সন্দেহ হলে তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্যও চাওয়া যেতে পারে। তবে অবশ্যই এ জন্য ফিল্ডিং সাইডকে আউটের অ্যাপিল করতে হবে। আগে ক্রিকেটের ৩৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী ‘রানিং বিটউইন দ্য উইকেটস’-এর সময় ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’-এর নিয়মটা পরিষ্কার ছিল না। |
২) আগে বোলার বল করার মুহূর্তে নন স্ট্রাইকার ব্যাটসম্যান ক্রিজ ছাড়লেও তাঁকে রান আউট করতে পারতেন না। কিন্তু এখন বল ছাড়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত বোলার নন-স্ট্রাইকারকে রান আউট করতে পারবেন। শর্ত শুধু ‘ডেলিভারি সুইং’ পুরো হয়ে গেলে রান আউট করা যাবে না।
৩) এতদিন টেস্টের তৃতীয় বা চতুর্থ দিনে ব্যাটসম্যান রান নেওয়ার সময় প্রায়ই উইকেটের বিপজ্জনক অংশ দিয়ে দৌড়তেন। উদ্দেশ্য উইকেটের ক্ষতি করা যাতে চতুর্থ ইনিংসে উইকেটের ক্ষত কাজে লাগাতে পারেন স্পিনাররা। কিন্তু এখন তা করলে আম্পায়ার ব্যাটসম্যানকে প্রথমে সতর্ক করবেন। কাজ না হলে পরের বার ও ভাবে দৌড়ে যে ক’টা রান হবে, সেটা কেটে নেবেন। তাতেও যদি কিছু না হয়, পেনাল্টি পাঁচ রান পাবে বিপক্ষ।
৪) অবস্থা বুঝে লাঞ্চের সময় আধ ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া যাবে। সাধারণত লাঞ্চ হয় দুপুর বারোটা থেকে বারোটা চল্লিশ পর্যন্ত। এখন থেকে যদি দেখা যায় যে, ঠিক লাঞ্চের সময় কোনও টিমের ন’উইকেট পড়ে গিয়েছে, তা হলে খেলা চলবে আরও আধ ঘণ্টা। তার মধ্যে যদি ব্যাটিং টিম অলআউট হয়ে যায়, তা হলে সেই মুহূর্ত থেকে লাঞ্চের মেয়াদ শুরু হবে।
৫) ব্যাটসম্যানরা এখন থেকে আর রানার নিতে পারবেন না।
এ বার শুধু ওয়ান ডে ম্যাচে বদলগুলোয় আসি।
১) ফিল্ডিং সাইড দু’টো নতুন বল পাবে। দু’প্রান্ত থেকে সেটা ব্যবহার করা হবে। আগে ৩৫ ওভারের আগে বল বদল করা যেত না।
২) প্রতি ইনিংসে তিনটি পাওয়ার প্লে হবে মোট ২০ ওভারের, তার মধ্যে প্রথম ১০ ওভার বাধ্যতামূলক। বাকি দুটো পাঁচ ওভারের পাওয়ার প্লে-র একটি নেবেন ফিল্ডিং অধিনায়ক, বাকিটা ব্যাটিং অধিনায়ক। দুটো পাওয়ার প্লে-ই নিতে হবে ১৬ থেকে ৪০ ওভারের মধ্যে। |