করিম বেঞ্চারিফাকে জাতীয় কোচ করার জন্য ছাড়বে না সালগাওকর।
সালগাওকর প্রধান শিবানন্দ সালগাওকর এই কথা স্পষ্ট করে দেওয়ার পরে ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ নিয়োগ নিয়ে আবার তীব্র ডামাডোল।
এই ডামাডোলের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ইন্দর সিংহ, হাবিব, প্রদীপ চৌধুরী, ব্রক্ষানন্দ, কৃষ্ণাজি রাওদের মতো টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যদের উপেক্ষা করে কর্তারা কোচ ঠিক করতে বসায়। অনেকেই ক্ষুব্ধ। অনেক প্রাক্তন তারকার প্রশ্ন, এক বিদেশি কোচকে দায়িত্ব দেওয়ার আগে কেন ক্লাবের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া হল না? তিনি প্রত্যাখ্যান করায় জাতীয় কোচের পদের অসম্মান হচ্ছে। করিম নিজে অবশ্য হাল ছাড়েননি। ভারত চ্যাম্পিয়ন কোচ ফোনে ভাস্কো থেকে বললেন, “পরিস্থিতিটা একটু অদ্ভূত। জানি, সালগাওকরের আমায় ছাড়া কঠিন। কিন্তু ভারতীয় দলের দায়িত্ব পাওয়া বিশাল সম্মানের। আজ ভিড়ের মধ্যে চেয়ারম্যানকে বলতে পারিনি। আমি আবার কাল পরশু অনুরোধ করব, যদি আমায় ছাড়েন।”
এআইএফএফ কর্তারা বৃহস্পতিবার ফেড কাপ ফাইনালের পরেই দীর্ঘ বৈঠক করেন কোচ নিয়ে। করিম, ডেরিক পেরিরা এবং ডেভিড বুথের মধ্যে করিমকেই বাছা হয়। কিন্তু এ দিন সালগাওকর কোচ যখন ভারত সেরা দল নিয়ে ভাস্কোতে পা রাখছেন, তখনই শিবানন্দ সালগাওকর সাংবাদিকদের বলে দেন, “করিমকে সামনে রেখেই আমাদের দল গড়া হয়েছে। ও যা চেয়েছে, তাই দিয়েছি। চুক্তি রয়েছে পুরো মরসুম। তবে চুক্তি নয়, ওকে মানবিক দিক দিয়েই ছাড়া হবে না। সামনে আই লিগ, এএফসি কাপ।” |
এ বার এআইএফএফ কী করবে? ফেডারেশন সচিব কুশল দাস বললেন, “শিবানন্দ যা বলেছেন, তার যুক্তি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু বলার নেই।” জাতীয় ফুটবলমহলে খবর, করিম নিজে ভারতের কোচ হতে আগ্রহী বলে সালগাওকর কর্তাদের চাপ দেবেন। ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল আবার সালগাওকরদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। চাপ সেখান থেকেও আসতে পারে। কুশল অবশ্য বলে দিলেন, “শিবানন্দ ‘না’ করে দিলে আমরা আর কিছু বলব না।”
এআইএফএফ বারবার ক্লাবের প্রতিষ্ঠিত কোচদের চেয়ে ক্লাবকে বিরক্ত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর্মান্দো, করিম, ডেরিকএই নামগুলো তার প্রমাণ। এআইএফএফ সচিব অবশ্য বললেন, “আমরা ক্লাবগুলোকে সমস্যায় ফেলতে চাই না। ডেম্পো ছেড়ে দেওয়ার পরেই আর্মান্দোকে নিয়েছি। করিমের ক্ষেত্রেও এক ব্যাপার। ক্লাব না ছাড়লে ওকে নেওয়ার প্রশ্ন নেই।” হাবিব, ইন্দর, প্রদীপদের উপেক্ষা করে কেন কোচ নির্বাচন হচ্ছে? ফেডারেশন সচিবের যুক্তি, ‘‘এআইএফএফের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কার্যকরী কমিটি মনে করলেই টেকনিক্যাল কমিটি কাজ করতে পারে। নইলে নয়। কার্যকরী কমিটি মনে করলে টেকনিক্যাল কমিটিকে কোচ নির্বাচন করার পরেও ডাকা হতে পারে ।”
করিমকে ছাড়তে সালগাওকর রাজি না হওয়ায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে তাড়াহুড়ো করতে রাজি নন ফেডারেশন সচিব। বললেন, “তেমন হলে সুখবিন্দর সিংহকে ডেপুটেশনে ভাবা যেতে পারে। উনি পৈলান অ্যারোজের পাশাপাশি জাতীয় দলেও কাজ করতে পারেন দুটো জায়গায়। তবে এ নিয়ে আমরা কোনও তাড়াহুড়ো করতে চাই না।” নভেম্বরে তিনটি ফিফা ফ্রেন্ডলি রয়েছে। ডিসেম্বরে সাফ কাপ। তার আগেই জাতীয় দলের জন্য কোচ নির্বাচন করতে হবে। |