আর্ন্তজাতিক হকি সংস্থা (এফআইএইচ) প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার হকি ইন্ডিয়া-কেই ভারতে হকির জাতীয় সংস্থা হিসাবে স্বীকৃতি না দিলে ভারতীয় হকি দলকে লন্ডন অলিম্পিকে নাও খেলতে দিতে পারে।
ক্রীড়ামন্ত্রকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই বর্তমানে হকি ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান হকি ফেডারেশন কর্তারা যুগ্ম ভাবে মিলে ভারতীয় হকির নিয়ন্ত্রণ করছেন। এফআইএইচের বক্তব্য, আর্ন্তজাতিক অলিম্পিক কমিটির নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনও অলিম্পিক ইভেন্টে যোগ্যতা পেতে হলে সেই দেশের ফেডারেশনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে একটিই সংস্থা। কিন্তু সেটা লঙ্ঘন করেছে ভারত সরকার। ফলে লন্ডন অলিম্পিকে ভারতীয় হকি দলের খেলার অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।”
এফআইএইচের এই চিঠি পেয়ে নড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক ও দুই হকি সংস্থা। তবে এর মধ্যে আবার এফআইএইচের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা (আইওএ)। তাদের কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট ভি কে মলহোত্র বলেন “হকির দুই সংস্থা যে দিন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের নির্দেশে যুগ্ম ভাবে ভারতে হকির কাজকর্ম দেখার অনুমতি পেল, সে দিনই আমরা কিন্তু এই ব্যবস্থার প্রতিবাদ করে সরকারকে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে, আইওসি এটা মেনে নেবে না। এবং এটা চললে ভারতকে অলিম্পিক এবং অন্য আর্ন্তজাতিক টুর্নামেন্টেও খেলতে দেওয়া হবে না। ওরা সেই কথা কানে না তোলায় আজ এই সমস্যার মুখে পড়ল ভারতীয় হকি। তবে আমরা মঙ্গলবার হকি ইন্ডিয়া ও আইএইচএফয়ের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছি এই জট খুলতে।”
অন্য দিকে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অজয় মাকেন আর একটি বৈঠকের কথা বললেন। “গোটা ব্যাপারটা নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি আমরা আইওএ, হকি ইন্ডিয়া এবং আইএইচএফের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছি। আশা করছি সেখানেই এই সমস্যার সমাধান খুঁজে পাব আমরা।”
বিবদমান দুই হকি সংস্থার কর্তাদের মধ্যে আইএফএইচ সচিব অশোক মাথুর বললেন “আসলে এটা এফআইএইচের চাপ দেওয়ার কৌশল আর কিছু নয়।” রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ওদের বিশ্বকাপের পাওনা টাকা আটকে রাখায় গোসা হয়েছে ওদের কর্তারা।” ও দিকে হকি ইন্ডিয়া-র সচিব বললেন “ওই চিঠি আমি এখনও দেখিনি। চিঠি না দেখে কোনও মন্তব্য করব না।” |