আবার মুখ খুললেন কপিল দেব! তুলোধোনা করলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে। বাদ গেলেন না ভারতীয় পেসাররাও। ক্লাব বনাম দেশ বিতর্ক যখন ভারতীয় ক্রিকেটমহলে দানা বাঁধতে শুরু করেছে, তখন কপিল সাফ জানিয়ে দিলেন, বোর্ডকেই সমস্যাটা মেটাতে হবে। “ক্লাব এবং দেশদুই ধরনের ক্রিকেটই তো এক সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। ভারতীয় বোর্ড। তা হলে কেন ক্লাবের হয়ে খেলে এক জন ক্রিকেটার বেশি টাকা পাবে? দেশের হয়ে কম?” প্রশ্ন কপিলের। তা হলে সমাধান? “ভারতের হয়ে যারা খেলছে তাদের বোর্ড বেশি টাকা দিক। তা হলেই দেখা যাবে কত জন আন্তর্জাতিক সিরিজ থেকে সরে দাঁড়ায়,” সপাট উত্তর তাঁর। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে বল করেছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিসে দৃশ্য এখনও ভুলতে পারছেন না কপিল। যার জন্য পরোক্ষ ভাবে তিনি সমালোচনা করেছেন প্রবীণ কুমার, ইশান্ত শর্মাদের। “পেসার হয়ে তুমি কী ভাবে তোমার ক্যাপ্টেনকে কিপিং গ্লাভস খুলে বল করতে দিতে পার? আমি হলে তো টানা পঁচিশ ওভার বল করে যেতাম। কাউকে বুঝতে দিতাম না আমাদের দুর্বলতা কোথায়। আসলে এখনকার পেসারদের মধ্যে সঠিক মনোভাবটাই নেই,” বলেছেন কপিল। ইংল্যান্ডের অভিশপ্ত সফরের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কপিল বলেছেন, “ধোনিরা বিশ্বকাপ জয়টা উপভোগ করার সময়ই পেল না। তিন বছর যে ট্রফিটার জন্য খাটল, সেটা উপভোগ করার সময় দিতে হবে তো! তার চার দিন পরেই আইপিএল খেলতে নেমে পড়তে হল। বিশ্রাম করার সুযোগ না দিলে ক্রিকেটের প্রতি প্যাশনটা টিকে থাকবে কী করে? ইংল্যান্ডে ঠিক সেটাই হয়েছে।
|
আর ধারাভাষ্যের বক্স নয়, পুজোর মুখে ফের বাইশ গজে নেমে পড়লেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এক দিকে বাংলার প্র্যাক্টিসে নেমেই যেমন জানিয়ে দিলেন, হরভজন সিংহকে বাদ দিয়ে জাতীয় নির্বাচকরা কোনও ভুল করেননি। তেমনই অন্য দিকে,আজ শনিবার সিএবি-র ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেও হাজির থাকছেন। সেখানে আসন্ন রঞ্জি মরসুমে বাংলার প্রস্তুতি কেমন হওয়া উচিত, তা সৌরভের কছে জানতে চওয়া হবে। শুক্রবার থেকে ইডেনে রঞ্জি অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন সৌরভ। সঙ্গে কোচ রামনের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক। তারই ফাঁকে বলছিলেন, “হরভজনকে বাদ দেওয়াটা সঠিক সিদ্ধান্ত। পারফর্ম না করতে পারলে যে কোনও প্লেয়ারেরই জায়গাটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।” তবে সর্দারের ফিরে আসা নিয়ে সংশয় নেই। বললেন, “হরভজন যে মাপের বোলার ঠিক ফিরে আসবে।” আসন্ন ভারত-ইংল্যান্ড ওয়ান ডে সিরিজ নিয়ে পাল্টা হোয়াইটওয়াশের আশা দিচ্ছেন না। বলছেন, “সচিন, সহবাগরা থাকলে বলতাম ইংল্যান্ড ৫-০ হোয়াইটওয়াশ হয়ে ফিরবে। এখন মনে হয় সমানে-সমানে লড়াই হবে।” এ দিকে, নির্বাচক বাছাইয়ের আগে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে দিলেন উৎপল চট্টোপাধ্যায়। সিএবি-র বক্তব্য ছিল, উৎপল নির্বাচক হতে আগ্রহ দেখাননি। কিন্তু উৎপল এ দিন পাল্টা বললেন, “আমার কাছে সিএবি-র প্রস্তাবই আসেনি। আমাকে জুনিয়র নির্বাচক কমিটির প্রধান হতে বলা হয়েছিল। আমি ওই পদ কেন নেব?” |