|
|
|
|
মেদিনীপুরে গৌতম দেব |
‘মাওবাদী’ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রীকে তোপ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মাওবাদীদের বিরুদ্ধে সিপিএম যখন লড়াই করছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশে দাঁড়াননি। কিন্তু তৃণমূল সরকার মাওবাদীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চাইলে, সিপিএম পাশেই থাকবে। শুক্রবার মেদিনীপুরে এক সভায় এই ঘোষণাই করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব। তাঁর বক্তব্য, “ওরা (মাওবাদী) যে ভাষা বোঝে সেই ভাষাতেই কথা বলতে হবে। ওদের অস্ত্র কেড়ে ওদেরই গুলি করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যত তাড়াতাড়ি বোধোদয় হয় ততই ভাল।” সুশান্ত ঘোষের গ্রেফতার প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “সুশান্ত মাওবাদীদের বিরুদ্ধে প্রতি ইঞ্চিতে লড়েছে। তেমন হলে বামফ্রন্ট ফিরে এসেই না হয় ওঁকে জেল থেকে ছাড়াবে।”
|
|
দলের প্রয়াত নেতা সুকুমার সেনগুপ্তের স্মরণে বিশেষ বক্তৃতাসভা উপলক্ষে এ দিন মেদিনীপুরে আসেন গৌতমবাবু। জঙ্গলমহলে ফের মাওবাদীদের বাড়বাড়ন্তের জন্য সরাসরি তৃণমূল নেত্রীর সমালোচনা করে তাঁর বক্তব্য, “সিপিএম যখন লড়াই চালাচ্ছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওদের সমর্থন করে গেলেন। আমি তখনও বলেছি, মমতা ক্ষমতায় এলেও কিষেণজি একে-৪৭ ছেড়ে হারমোনিয়াম নিয়ে বেরোবে না! পরিস্থিতি যা তাতে এখন মমতাকেই দলীয় কর্মীদের লাশ পোড়াতে হবে।” গৌতমবাবুর কথায়, “মাওবাদীদের সঙ্গে যখন আমাদের লড়াই চলছে, তখন মমতা সাহায্য করলেন না। উল্টে ওদের সমর্থন করে গেলেন। তাতে জঙ্গলমহলের ১৪টি বিধানসভা আসনের অর্ধেকই হয়তো দখল করলেন। কিন্তু সমস্যা থেকে পরিত্রাণ মিলল কী!”
কিন্তু শুধু যে পুলিশ দিয়ে মাওবাদীদের দমন করা যাবে না, সে কথাও মনে করিয়ে দেন এই সিপিএম নেতা। তাঁর কথায়, “শুধু পুলিশকে ছাড়লে ওরা মাওবাদী মারতে গিয়ে যে কাউকে মারবে। রাজনৈতিক মোকাবিলারও দরকার।” সভায় দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক দীপক সরকার বলেন, “বিপর্যয় কাটিয়ে দল আগের অবস্থায় ফিরে আসতে পারবে, এই বিশ্বাস রয়েছে আমাদের।” |
|
|
|
|
|