টুকরো খবর
ছিনতাই ট্রাক-সহ গ্রেফতার ৫
নৈশপ্রহরীকে মারধর করে আস্ত একটি ট্রাক ছিনতাই করে পালানোর সময়ে ধরা পড়ে গেল ৫ ছিনতাইবাজ। উদ্ধার হল ট্রাকটিও। ধৃতেরা উত্তর চব্বিশ পরগনার বনগাঁর বাসিন্দা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। পুলিশ সূত্রেরই খবর, বৃহস্পতিবার রাতে চন্দ্রকোনা রোডে স্থানীয় এক পরিবহণ ব্যবসায়ী তপন পানের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিল ট্রাকটি। পাশের একটি ঘরেই ছিলেন নৈশপ্রহরী। ছিনতাইকারীরা একটি গাড়িতে তপনবাবুর বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়। গাড়ির শব্দে নৈশপ্রহরী কিঙ্কর ঘোষও রাস্তায় আসেন। ছিনতাইকারীরা তাঁকে মারধর করে ট্রাকটি নিয়ে মেদিনীপুরের রাস্তা ধরে। সঙ্গে সঙ্গেই মোবাইলে চন্দ্রকোনা রোড পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন কিঙ্করবাবু। ফাঁড়ির পুলিশ ধাওয়া করে ট্রাকটিকে। অন্য সব থানাতেও খবর দেওয়া হয়। ঘণ্টা দু’য়েক পরে ডেবরার কাছে এক টোল-প্লাজায় লরিটিকে আটকানো হয়। পিছনেই ছিল ছিনতাইবাজদের গাড়িটিও। পুলিশ সেটিকেও আটকায়। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, এর আগে এই চক্রটি রাজ্যের একাধিক জেলায় বেশ কয়েকটি ট্রাক ছিনতাই করেছে। সম্প্রতি বর্ধমানেও একটি ট্রাক ছিনতাই করেছিল।

চাঁদার জুলুম, ফের নালিশ রামবাবুর নামে
ফের ‘তোলাবাজি’র অভিযোগ উঠল খড়্গপুরের এক সময়ের ত্রাস বাসব রামবাবুর বিরুদ্ধে। দু-দু’টি খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এই মাফিয়া গত বছর পুজোর আগে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে ছাড়া পায়। তার পরেই রেলশহরের মথুরাকাটিতে ফের ঘটা করে দুর্গাপুজো করে রামবাবু ও তার সঙ্গীরা। এ বারও সেখানে বড় বাজেটের পুজোই হচ্ছে। আর সেই পুজোর জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ‘চাঁদা’ দাবি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ব্যবসায়ী জিএসএন মূর্তি শুক্রবার খড়্গপুর টাউন থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, কয়েক দিন ধরেই ৪-৫ জন লোক এসে রামবাবুর পুজোর জন্য চাঁদা চাইছিল। কিন্তু তিনি তা দেননি। বৃহস্পতিবার দু’টি মোবাইল নম্বর থেকে তাঁকে ফোন করা হয়। রামবাবু পরিচয় দিয়ে ফোনে চাঁদা দিতে বলে। যদিও ওই ব্যবসায়ী চাঁদা দিতে অস্বীকার করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর মেদিনীপুর থেকে খড়্গপুরের পথে রামবাবুর কনভয়ে গুলি চলে। সেই ঘটনায় রামবাবুর এক সঙ্গী ও এক পথচারী জখম হন। নতুন করে রেলশহরে ‘মাফিয়া-ত্রাস’ পেয়ে বসে। রেলের ‘স্ক্র্যাপ’ বিক্রি-সহ নানা দুষ্কর্মে জড়ানো মাফিয়া গোষ্ঠীগুলির অন্তর্বিরোধের ফলেই ওই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের দাবি। তদন্ত শুরু করে রেলশহরের অন্যতম মাফিয়া শ্রীনু নায়ডুকে গত সপ্তাহেই অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ধরে এনেছে পুলিশ। ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ শ্রীনু গ্রেফতার হয়ে যাওয়ায় রামবাবুর প্রতিপত্তি ফের বাড়তে চলেছে বলে অনুমান প্রশাসনিক মহলের।

বিদ্যাসাগর স্মরণে
বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিদ্যাসাগরের মূর্তি প্রতিষ্ঠা হল শুক্রবার। এই উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, সুখেন্দুশেখর রায়, বিধায়ক মৃগেন মাইতি প্রমুখ। বিদ্যাসাগার-মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন শুভেন্দু। এ দিনই বিদ্যালয়ের বার্ষিক মেধা ও সাংস্কৃতিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানও হয়। শুক্রবার দাঁতন ভাগবতচরণ হাইস্কুলেও বিদ্যাসাগর স্মরণে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। স্কুলের প্রধানশিক্ষক অরবিন্দ দাস জানান, বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদানের পরে গান, আবৃত্তি, রচনা পাঠের আয়োজন হয়। এ দিন শালবনির কণর্র্গড়ে আবার এক আলোচনাসভা ও রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুবাবু।

স্মারকলিপি
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকারা বিভাগীয় মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রকে স্মারকলিপি দিলেন শুক্রবার। এ দিন মন্ত্রী একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মেদিনীপুর এসেছিলেন। কর্মী ও সহায়িকাদের স্থায়ীকরণ, কেন্দ্রে খাবারের মান উন্নয়ন, প্রতিটি কেন্দ্রে শিশুর সংখ্যা সমান রাখা, কর্মরত অবস্থায় মৃত কর্মীদের পরিবারের এক জনের চাকরির দাবি জানানো হয়। কর্মীদের নিয়ে স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন একটি সংগঠনও তৈরি করেছে। ফেডারেশনের জেলা সম্পাদক সুব্রত সরকার বলেন, “এই কর্মীদেরও যাতে চাকরির নিরাপত্তা থাকে, মন্ত্রীর কাছে সেই দাবিই জানানো হয়েছে।”

ছাত্র সংসদ দখল করল এসএফআই-ই
জল্পনা শেষ। খড়্গপুর কলেজের ছাত্র সংসদ দখল করল এসএফআই-ই। বুধবার সব মিলিয়ে ৩০ জন সদস্য এসএফআইয়ের পক্ষে দাঁড়ান। এখানে অবশ্য একক ভাবে এসএফআই-ই সর্বোচ্চ আসন পেয়েছিল। তবে ছাত্র সংসদ কে দখল করবে, নিয়ে জল্পনার শেষ ছিল না। কারণ, ভোটের ফল হয়েছিল ত্রিশঙ্কু। ৬৫টি আসনের মধ্যে এসএফআই পায় ৩১টি। টিএমসিপি ১৮, সিপি ১৪ ও ডিএসও ২টি আসনে জয়ী হয়। শুক্রবারই ছাত্র সংসদ গঠন হয়। ভোটাভুটি হয়। এসএফআইয়ের পক্ষে ৩০টি ভোট পড়ে। সংগঠনের এক সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। ছাত্র পরিষদের সদস্যরা এ দিন ভোটাভুটিতে অংশই নেননি। সংসদ গঠনের পর এ দিনই বিজয় মিছিল বের করে এসএফআই। চলে আবির খেলা। সংগঠনের জেলা সম্পাদক সৌগত পণ্ডা বলেন, “সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সমর্থন আমাদেরই সঙ্গে রয়েছে।”

স্কুলের অনুষ্ঠান
রবীন্দ্রজন্ম-সার্ধশতবর্ষ ও স্বাধীনতা আন্দোলন স্মরণে বৃহস্পতিবার সাউথসাইড হাইস্কুলে অনুষ্ঠান করল খড়্গপুর মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। হিজলি বন্দি শিবিরে ব্রিটিশ পুলিশের গুলি চালনার ৮০ বছর পূর্তি নিয়ে বক্তব্য রাখেন খড়্গপুর কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক তথা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শ্যামাপদ ভৌমিক।

সাউথসাইডে অনুষ্ঠান
বৃহস্পতিবার খড়্গপুর শহরের সাউথসাইড হাইস্কুলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল খড়্গপুর মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। হিজলি বন্দিশিবিরে ব্রিটিশ পুলিশের গুলিচালনার ৮০ বছর পূর্তি নিয়ে বক্তব্য রাখেন খড়্গপুর কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক শ্যামাপদ ভৌমিক। এই বিষয় নিয়ে লেখা শ্যামাপদবাবুর একটি বইও প্রকাশিত হয় সভায়। রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন জয়া সানগিরি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অনুরাধা সেন। সভাপতিত্ব করেন সাউথসাইড বালক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক সুধাপদ বসু।

পুরস্কার বিতরণী
ভাদুতলা হাইস্কুলের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল শুক্রবার। সাঁওতালি নৃত্য, রবীন্দ্র-নাটক, নৃত্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’ পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো, জেলা স্কুল পরিদর্শক সংঘমিত্র মাকুড়। প্রধান শিক্ষক অমিতেশ চৌধুরী স্কুলের নানা সমস্যার দিকও তুলে ধরেন। উপস্থিত জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে সাহায্যেরও আবেদন জানান।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.