|
|
|
|
নারী পাচার রুখতে প্রচারাভিযানে রাজ্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
নারী-পাচারে শীর্ষস্থানে রয়েছে এই রাজ্য। এই কলঙ্ক দূর করতে সচেতনতা বাড়াতেই জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকারের নারী ও সমাজকল্যাণ দফতর। পঞ্চায়েত, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও প্রশাসনসবাই মিলে নারী পাচারের বিরুদ্ধে যেমন লাগাতর প্রচার চালানো হবে, তেমনই বিভিন্ন জায়গায় সরকারি উদ্যোগে হবে আলোচনাসভা, তথ্যচিত্রের প্রদর্শন। শুক্রবার এমনই এক সচেতনতা শিবির হল মেদিনীপুরে।
মেদিনীপুর কলেজের বিবেকানন্দ হলের এই শিবিরে প্রদর্শিত হয় একটি তথ্যচিত্রও। উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র স্বয়ং। তাঁর কথায়, “শিক্ষার অভাব ও দারিদ্রনারী পাচারের মূলে রয়েছে এই দু’টি কারণ। এর বিরুদ্ধে আমাদের যেমন লাগাতার প্রচার চালাতে হবে, শিক্ষার প্রসার ও দারিদ্র দূরীকরণেও পদক্ষেপ করতে হবে।” |
|
মেদিনীপুর কলেজের অনুষ্ঠানে সাবিত্রী মিত্র। নিজস্ব চিত্র। |
নারী পাচারে ‘চক্র’ সক্রিয়। যারা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে, কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মেয়েদের নিয়ে যায়। বাড়িতে মোটা টাকাও দেয়। পরিবারের কেউও তেমন আপত্তি করেন না। কিন্তু পরে যখন আর মেয়েটির খোঁজ পাওয়া যায় না, বা ‘আড়কাঠি’দেরও যখন আর দেখা মেলে না--তখনই সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে। শেষে জানা যায়, মেয়েটিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। হয় সেই মেয়েটিকে দিয়ে কোনও বাড়ির কাজ করানো হচ্ছে, যথেচ্ছ অত্যাচার চালানো হচ্ছে। না হলে মেয়েটির দিন কাটছে কোনও পতিতালয়ে। সমীক্ষা বলছে, অল্পবয়সী মেয়েদের পাচারের জন্য এক-এক জন ‘দালাল’ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকে। পাচার হওয়া মেয়েদের কেউ কেউ উদ্ধার হন। বেশির ভাগই আর ফেরেন না।
উদ্ধার হওয়া মেয়েদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ পাচার-চক্র সম্পর্কে কিছু তথ্য পায়। কিন্তু পাচার বন্ধ হয়নি।
রাজ্যের এই কলঙ্ক-মোচনে সরকার পদক্ষেপ করছে দাবি করে মন্ত্রী জানান, পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় শিবির করা হবে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গ্রামের বহু মহিলা যান, সেখানেও আলোচনা হবে। মন্ত্রীর কথায়, “এই ধরনের ঘৃণ্য কাজ বন্ধ করতেই হবে। সে জন্য সবাইকেই সচেষ্ট হতে হবে।” মা ও শিশুর পুষ্টি, তাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, সে বিষয়েও সচেতনতা বাড়ানোর উপরে জোর দেন মন্ত্রী। |
|
|
|
|
|