টিম অণ্ণা, আমির খান ও বিজেপির পরে এ বার নকশাল নেতাদেরও পূর্ণ সমর্থন পেলেন ইরম শর্মিলা চানু। তবে বাকিদের মতো কথায় নয়, চানুর সমর্থনে রীতিমতো কাজে নামছে সিপিআই (এমএল)। দলের জাতীয় সম্পাদক কে এন রামচন্দ্রণ শর্মিলা কানবা লুপের ডাকে মণিপুরে এসেছেন। সাংবাদিক সম্মেলন করে রামচন্দ্রণ জানান, চানুর বিরুদ্ধে সরকারি মনোভাব ও আফস্পার মতো আইন অত্যন্ত অমানবিক। আফস্পা হঠানো ও চানুর আন্দোলন নিয়ে দেশজোড়া অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি হাতে নিচ্ছেন তাঁরা।
দিল্লির রামলীলা ময়দানে দুর্নীতি বিরোধী মঞ্চে চানুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন অণ্ণা হাজারে। গুয়াহাটি এসেও অণ্ণা, কিরণ বেদীরা চানুর আন্দোলনকে সমর্থন করে গিয়েছেন। তবে চানুর কাছে যাননি তাঁরা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অণ্ণার লড়াইকে সমর্থন জানালেও, বন্দি থাকায় চানুও দিল্লি যেতে পারেননি। অবশ্য অণ্ণার অনশনের প্রতি সরকারের ‘সহানুভূতি’ ও ‘গুরুত্ব’কে মানতে পারেননি চানুর সমর্থকরা। অণ্ণার ১৫ দিনের অনশনের কাছে কেন্দ্র মাথা নোয়ালেও চানুর ১১ বছর ধরে চলা অনশনের প্রতি কেন্দ্রীয় নেতাদের অবহেলায় ক্ষুব্ধ মণিপুরবাসী।
অবশ্য সম্প্রতি অণ্ণা জানিয়েছেন, তিনি নিজে মণিপুরে এসে চানুর সঙ্গে দেখা করতে চান। আফস্পা বিরোধী চানুর আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে ‘টুইট’ করেন বিজেপি নেতা বরুণ গাঁধী। তিনি লেখেন, চানুর দশক ব্যাপী অনশনের প্রতি কেন্দ্রের অবহেলা নিন্দনীয়। আফস্পার বিরুদ্ধেও লেখেন তিনি। তবে, বিজেপি নেতারাও মণিপুরে এসে চানুর পাশে দাঁড়াননি। অণ্ণা মঞ্চেই, আমির খান চানুর আন্দোলনকে সম্মান জানিয়ে মণিপুর আসবেন বলে জানিয়েছেন।
আজ সিপিআই (এমএল) নেতারা জানিয়েছেন, চানুর সমর্থনে আগামী কাল থেকে ২ নভেম্বর, মাসভর ভারতজোড়া আন্দোলন চালাবেন তাঁরা। কর্মসূচির মধ্যে থাকছে: দেশের সব বড় শহরে ধর্না, অনশন, মিছিল। সিপিআই (এমএল) ও ‘অল ইন্ডিয়া রেভেলিউশনারি উওমেন অরগানাইজেশন’ সম্প্রতি ওড়িশায় একটি গণ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, শর্মিলার সমর্থনে দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলন চালানো হবে। সেই সঙ্গে মণিপুর থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরানো ও আফস্পা প্রত্যাহারের জন্যও চলবে আন্দোলন। রামচন্দ্রণ বলেন, “বছরের পর বছর, আফস্পার বর্ম পরে মণিপুরবাসীর উপরে বর্বরতা চালিয়ে গিয়েছে পুলিশ ও জওয়ানরা। মনোরমার মৃত্যুই তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এমনটা আর চলতে দেওয়া যায় না।” |