কলকাতা-সহ দেশের অন্য রাজ্যের আরও ৬ শহরে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসিউটিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ’ (এনআইপিইআর বা ‘নাইপার’) গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৬৩৩.১৫ কোটি টাকা। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অম্বিকা সোনি আজ এ কথা জানিয়েছেন। কলকাতা ছাড়া বাকি যে শহরগুলিতে ওই প্রতিষ্ঠান গড়া হবে, সেগুলি হল গাঁধীনগর, হায়দরাবাদ, হাজিপুর, গুয়াহাটি এবং রায়বরেলী। এই প্রতিষ্ঠানে ফার্মাসি নিয়ে উচ্চতর পড়াশোনা এবং নির্দিষ্ট প্রকল্প ভিত্তিক গবেষণার সুযোগ থাকবে বলে সোনি জানিয়েছেন। ‘নাইপার’গুলিকে ‘জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ ও ‘সেন্টার ফর এক্সেলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
কলকাতার ‘নাইপার’ ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে যাদবপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজির ক্যাম্পাসে। ২০০৭ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও যাদবপুরের সেই সময়ের সাংসদ সুজন চট্টোপাধ্যায়ের আগ্রহে ওই কেন্দ্রটির উদ্বোধন করে গিয়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। তবে কেন্দ্রের সহায়তায় ‘নাইপার’-এর নতুন পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাসটি তৈরি হবে বারুইপুরে দক্ষিণ ২৪-পরগণা জেলা প্রশাসনের নতুন সদর দফতরের পাশের জমিতে। সেখানে জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির কথা মাথায় রেখে ১৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করে রেখেছিল আগের রাজ্য সরকার। ওই জমিতে ‘নাইপার’-এর ক্যাম্পাস ছাড়াও ডিআরডিও, সিএসআইআর, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ম্যানগ্রোভ-সহ সাতটি প্রতিষ্ঠান তৈরি হওয়ার কথা। সেখান থেকেই ৩৫ একর নেওয়া হবে ‘নাইপার’-এর জন্য। ‘নাইপার’-এর একেকটি ক্যাম্পাস তৈরিতে আনুমানিক ৪০০ কোটি টাকা খরচ হবে। আপাতত গড়ে ১০০ কোটি টাকা দিয়েই কাজ শুরু হয়ে যাবে প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য। কেন্দ্রীয় সরকার বাকি টাকা কাজ এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে পর্যায়ক্রমে দেবে বলে জানিয়েছে। |