লালবাজারের কাছেই অফিসপাড়ায় শুক্রবার রাতে একটি বাণিজ্যিক ভবনের ন’তলার অফিসে আগুন লাগে। দমকল দ্রুত চলে এলেও কাজে নামতে তাদের দেরি হয় বলে এলাকার লোকজনের অভিযোগ। আর এন মুখার্জি রোডে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন হাজির। কিন্তু তাদের যান্ত্রিক মই লাগানোই
যাচ্ছে না। দমকলের এমনই বেহাল অবস্থা যে, আগুন পর্যন্ত পৌঁছতে নাস্তানাবুদ হয়ে যায় তারা। |
স্থানীয় লোকজন জানান, রাত ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ ‘নীলহাট হাউস’ নামে ওই ভবনের ন’তলায় একটি অফিসের বাতানুকূল যন্ত্রে প্রথমে আগুন দেখা যায়। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। দমকলের ব্যর্থতার মধ্যেই পাশের বিড়লা বিল্ডিং থেকে তাদের নিজস্ব অগ্নি নির্বাপণ সরঞ্জামের সাহায্যে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলে। কিন্তু ওই বাড়ি থেকে আগুন পর্যন্ত জল পৌঁছে দিতে অসুবিধা হচ্ছিল। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ঘটনাস্থল থেকেই পুলিশ কমিশনারকে তাঁদের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখতে বলেন। জোড়াবাগান ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করার জন্য পুরসভাকেও নির্দেশ দিন তিনি। গভীর রাত পর্যন্ত আগুনের সঙ্গে লড়াই চালায় দমকল। জানলার কাচ ভেঙে নীলহাট হাউসে ঢুকে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে তারা। তবে তাদের নিজেদের যান্ত্রিক মই কোনও কাজেই লাগেনি। ঠিক কী ভাবে আগুন লাগল, দমকল তা জানাতে পারেনি। জানা যায়নি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও। রাত ২টো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরে মেয়র ওই ভবনের ন’তলায় উঠে পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন।
যে-বাণিজ্যিক ভবনে আগুন লাগে, তার থেকে কার্যত দু’পা দূরত্বে লালবাজার। দু’মিনিট লাগে মহাকরণে পৌঁছতে। এ-হেন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ওই বহুতলে আগুন মোকাবিলার সব ব্যবস্থাই যে বিকল, সে-দিকে এত দিন কারও নজরই পড়েনি। ওই ভবন-কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান দমকলের অধিকর্তা গোপাল ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “যে-বাড়িতে আগুন লেগেছিল, সেখানে আগুনের মোকাবিলা করার সব ব্যবস্থাই ছিল বিকল। পাশের বাড়িটির অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা কাজ করায় আমাদের কাজের সুবিধা হয়েছে।” দমকলের ব্যর্থতার বিষয়টি অবশ্য স্বীকার করতে চাননি তিনি। |