টুকরো খবর |
টেকনিশিয়ান্স সংস্কারে রাজ্যের উদ্যোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা |
|
অনেক দিনের মনের মানুষ: এলে: নিজের জন্মদিনে স্ত্রী অর্পিতাকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
কাছে প্রসেনজিৎ। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন বই হিসেবে প্রকাশিত ‘মনের মানুষ’-এর
চিত্রনাট্য। শুক্রবার, মহাকরণে। ছবি: অশোক মজুমদার |
আঠেরো কোটি টাকা ব্যয়ে টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ান্স স্টুডিও সংষ্কার করছে রাজ্য। শুক্রবার মহাকরণে ‘মনের মানুষ’ সিনেমাটির স্ক্রিপ্ট বই আকারে প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জীর্ণ হয়ে পড়া টেকনিশিয়ান্স স্টুডিওর ভোলবদল করে পুজোর পরেই শুটিং শুরু করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বাংলা চলচ্চিত্র শিল্প আরও উন্নত হোক। বলিউডের সঙ্গে টলিউডের ভাবনার, কারিগরি আদানপ্রদান বাড়ুক।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপের মাধ্যমে স্টুডিও সংষ্কারের কাজ হবে। কিন্তু তাতে অনেক সময় লাগবে। তাই সরকারই এই কাজ করবে বলে ঠিক করে।” সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ইনস্টিটিউটকেও নতুন করে সাজাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় তথ্য-সংস্কৃতি মন্ত্রী অম্বিকা সোনি দিন কয়েক আগে মহাকরণে আসেন। তখন তাঁর সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে। উত্তরপাড়ায় ফিল্ম সিটির কাজও যাতে দ্রুত শেষ হয় সে বিষয়েও সরকার উদ্যোগী হয়েছে। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘মনের মানুষ’-এর প্রধান অভিনেতা প্রজেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তাঁর স্ত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপ ভুতোরিয়া প্রমুখ। ওই ছবি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২০ বছর পর কোনও বাংলা ছবি সিনেমাহলে গিয়ে দেখলাম। ক্যামেরার কাজ ভাল। আজ স্ক্রিপ্ট প্রকাশিত হল। পরে যাঁরা ফিল্ম বানাবেন তাঁদের কাজে লাগবে।”
|
মহোৎসবে পথ হারানো শিশুরা ঠাঁই পাবে হোমে |
জনারণ্যে হাতছুট হয়ে পড়া বাচ্চাদের দ্রুত অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে দিতে এ বার আরও তৎপর হচ্ছে পুজোর শহর। ষষ্ঠী থেকে নবমী চার দিনই সন্ধ্যা থেকে রাতে ভিড়ে ঠাসা পথে কিংবা মণ্ডপে হারিয়ে যাওয়া যে-সব বাচ্চার অভিভাবকের খোঁজ মিলবে না, তাদের দ্রুত কোনও হোমে রাখার বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি বা শিশু কল্যাণ কমিটি। দ্রুত শিশুটির খাওয়াদাওয়া ও প্রয়োজনে শুশ্রূষার বন্দোবস্তও করতে বলা হয়েছে হোমগুলিকে। এর আগে পুজোর ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া শিশুদের রাখতে হোমগুলি রাজি হত না বলে পুলিশকর্তাদের অভিযোগ। তাই এ বার এই ধরনের শিশুদের আরও যত্ন নিয়ে উদ্ধার করা এবং তাদের দেখভালের জন্য একসঙ্গে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ ও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) দময়ন্তী সেন বলেন, “পুজোর সময় উদ্ধার হওয়া বাচ্চাদের নিতে অনেক হোমই টালবাহানা করত। এ ব্যাপারে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সাহায্য চাওয়া হয়েছে। ওরা কিছু ব্যবস্থা করেছে।”তবে হোমে পাঠানো তো পরের ব্যাপার। নিখোঁজ শিশুকে উদ্ধারের পরে প্রথমে সংশ্লিষ্ট মণ্ডপেই যাতে তার দেখভালের প্রাথমিক ব্যবস্থা হয়, সেই জন্য পুজোর উদ্যোক্তাদের উদ্যোগী হতে অনুরোধ করেছেন শিশু কল্যাণ কমিটির কর্তারা। কমিটির চেয়ারপার্সন অমিতা সেন বলেন, “যে-সব বাচ্চার অভিভাবকের খোঁজ মিলবে না, তাদের দ্রুত কাছাকাছি যে-কোনও হোমে রাখা হবে। পরে অভিভাবকেরা এলে আমাদের কমিটির মাধ্যমে ফয়সালা হবে। ন্যায্য মনে করলে বাচ্চাটিকে তুলে দেওয়া হবে সেই অভিভাবকের হাতে।”
|
র্যাগিং রোধ কমিটির সদস্য-ছাত্র সাসপেন্ড |
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাগিং প্রতিরোধ কমিটির সদস্য এক ছাত্রের বিরুদ্ধেই র্যাগিং করার অভিযোগ উঠেছে। তাই তদন্ত শেষ না-হওয়া পর্যন্ত ওই কমিটি থেকে অভিযুক্ত ছাত্রকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে মেন হস্টেলের আবাসিক ফার্মাসি বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে র্যাগিং করা হয় বলে অভিযোগ। মূল অভিযুক্ত, চতুর্থ বর্ষের ছাত্রটি ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার ছাত্র সংসদ ফেটসু-র নেতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্জিকিউটিভ কাউন্সিল বা ইসি-র সদস্য পার্থপ্রতিম বিশ্বাস শুক্রবার বলেন, “তদন্তের জন্য দুই সদস্যের কমিটি গড়া হয়েছে।”
|
বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি ছিনিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা |
ফের দুষ্কৃতী-হামলা বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে। বৃহস্পতিবার রাতে চার দুষ্কৃতী একটি সুমো গাড়ির চালকের মাথায় পাইপগান ঠেকিয়ে তাঁকে লাথি মেরে ফেলে দেয় গাড়ি থেকে। পরে গাড়ি নিয়ে পালায় তারা। খবর পেয়ে গাড়িটির খোঁজ শুরু করে পুলিশ॥ এক্সপ্রেসওয়েতে টহলরত পুলিশকে সব জানান পিন্টু। পাশের থানাগুলিতে গাড়ি ছিনতাইয়ের খবর দেওয়া হয়। রাতে দমদমের মাঠকলে এক্সপ্রেসওয়ের উপরে পরিত্যক্ত গাড়িটি মেলে। যদিও ছিনতাই বা গাড়িটি ফেলে যাওয়ার কারণ জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।
|
কলেজে গোলমাল |
বলা চলে, ছাত্রদের দেখানো পথে হাঁটলেন শিক্ষকেরা। শিক্ষক সংসদের নির্বাচন গড়াল শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায় আনন্দমোহন কলেজে।ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে অহরহ। কিন্তু শিক্ষকদের নির্বাচনে তেমনটা শোনা যায় না। সে দিক থেকে নজির গড়ল আনন্দমোহন কলেজ। এ দিন ছিল কলেজের শিক্ষক সংসদের সম্পাদক নির্বাচনের দিন। অধ্যক্ষ দেবব্রত ভট্টাচার্য বলেন, “ইংরেজির এক প্রবীণ শিক্ষক ওই পদের অন্যতম প্রার্থী। কিন্তু উনি যাতে সম্পাদক না হন, সে জন্য বেশ কিছুদিন ধরে ওঁকে হুমকি দিচ্ছিলেন গৌতম দাস নামে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এক শিক্ষক। এ দিন কলেজে ওই শিক্ষক ইংরেজির প্রবীণ শিক্ষককে চড়-ঘুষি মারেন, ধাক্কা দেন।” গৌতমবাবু তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তা মিটে গিয়েছে।”
|
খুনের অভিযোগ, ধৃত |
এক লরিচালককে খুনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হয় খালাসি ও তার সঙ্গী। ধৃতদের নাম ভোলা গুপ্ত ও দীনেশ যাদব। পুলিশ জানায়, ব্রিজকুমার পাণ্ডে নামে ওই লরিচালক ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ২৩ সেপ্টেম্বর উল্টোডাঙার ডালপট্টিতে একটি পরিত্যক্ত লরি মেলে। লরির মালিক সঞ্জয় পাণ্ডে পুলিশকে জানান, দুর্গাপুর থেকে সিমেন্ট বোঝাই লরিটি নৈহাটি যাচ্ছিল। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) দময়ন্তী সেন শুক্রবার জানান, তদন্তে জানা যায়, ২৩ সেপ্টেম্বর ভোলা লরি নিয়ে ডালপট্টিতে আসে। বৃহস্পতিবার বড়বাজারে ভোলার ডেরায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ জেরা করে। পুলিশের দাবি, জেরায় সে স্বীকার করে খড়দহে সে ও দীনেশ মিলে খুন করে ব্রিজকুমারের দেহ খালে ফেলে। শুক্রবারই নৈহাটিতে গঙ্গা থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ মেলে। পুলিশ জানায়, ব্রিজকুমারের সঙ্গে মৃতদেহের মিল আছে। দেহটি তাঁর স্ত্রীকে দিয়ে শনাক্ত করার চেষ্টা হবে।
|
ঘুষ নিতে গিয়ে ধৃত |
কলেজ স্ট্রিটে ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়লেন কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের এক করণিক। ধৃতের নাম কান্তু মজুমদার। শুক্রবার তিনি এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। তখনই সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারেরা তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতারের পরে কান্তুবাবুর নিউ ব্যারাকপুরের বাড়িতেও তল্লাশি চলে। |
|