এ বার ভুটানে আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী বছর এপ্রিল বা মে মাসে ভুটান যাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ও রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জিগমে ওয়াই থিনলে। প্রাথমিক ভাবে তাঁরা ভুটান সফরে ‘সম্মতি’ও জানিয়েছেন। কলকাতা সফরে এসে থিনলে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। সরকারি সূত্রের খবর, রাজভবনে ওই ‘সৌজন্য’ সাক্ষাতের সময়েই মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে তাঁদের দেশে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। মমতা ও নারায়ণন তাঁর আমন্ত্রণ ‘গ্রহণ’ করেছেন।
মধ্য কলকাতার একটি অভিজাত হোটেলে উঠেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। হোটেলেই এ দিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছিল। |
কিন্তু প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজভবনেই ‘সৌজন্য সাক্ষাতে’ আগ্রহী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শেষ পর্যন্ত রাজভবনেই রাজ্যপালের
উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থিনলের আলোচনা হয়। ভুটানের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সম্পর্ক ‘সুদৃঢ়’ করার লক্ষ্যে তিনটি বিষয়ে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার ব্যাপারে ‘সহমত’ হয়েছে ওই আলোচনায়। প্রথমত, পশ্চিমবঙ্গ-ভুটানের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান, দ্বিতীয়ত, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের কাজ এবং তৃতীয়ত, পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা। এ ছাড়াও, ক্রীড়াক্ষেত্রে তিরন্দাজি এবং ফুটবলের উন্নতিতে পশ্চিমবঙ্গ ও ভুটানের মধ্যে সহযোগিতা করার বিষয়েও তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বিশেষত, মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন
রেলের যে তিরন্দাজি অ্যাকাডেমি খুলেছিলেন, সেখানে ভুটানের তিরন্দাজদের এসে প্রশিক্ষণ নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
কলকাতায় এ দিনই মহাবোধি সোসাইটির ১১৪ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী থিনলে বলেন, “ভুটানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এখন দৃষ্টান্তমূলক। দু’দেশই এখন পারস্পরিক বোঝাপড়ায় চলছে।” ভুটানের আরও আর্থ-সামজিক উন্নতি দরকার বলে জানিয়ে থিনলে বলেন, “ভুটানে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প করছে ভারত। সেখানে আমাদের দেশের লোকেদের কর্মসংস্থান হবে। আর ভারতের বিদ্যুতের চাহিদা মিটবে।” |