আদালত চত্বরের অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা যে সম্পূর্ণ বেহাল, তা বুঝিয়ে দিল শুক্রবার বিকেলের অগ্নিকাণ্ড।
পুজোর আগে শেষ কাজের দিনে আদালত তখন বন্ধ হওয়ার মুখে। তারই মধ্যে বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ সিটি সিভিল কোর্টের ছ’তলায় ‘স্মল কজেস কোর্ট’-এর রেজিস্ট্রার বেঞ্চের ঘরে আগুন লাগে। দমকল সূত্রের খবর, আটটি ইঞ্জিন ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। আজ, শনিবার অগ্নিদগ্ধ জায়গাটি পরীক্ষা করবেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা।
আদালতের কর্মীরা জানান, রেজিস্ট্রার বেঞ্চের ওই ঘরটিতে দেওয়ানি মামলার নিষ্পত্তি হয়। দুপুর দু’টো পর্যন্ত কাজ হয়েছে সেখানে। তবে অগ্নিকাণ্ডের সময়ে ঘরটি বন্ধ ছিল। দমকলকর্তারা জানান, দরজা ভেঙে আগুন নেভাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। ফলে ঘরের সব নথিপত্রই পুড়ে গিয়েছে বলে দমকলের অনুমান। দমকলের ডিভিশনাল অফিসার তপন ঘোষ বলেন, “ঘরটিতে এত ধোঁয়া ছিল যে, ঢুকতেই অনেক সময় লাগে। সেখানে আগুন নেভানোর ব্যবস্থাও চোখে পড়ল না। আদালত চত্বরে ভূগর্ভস্থ জলাধার থাকলেও সেটির মুখ খোলা যায়নি।” দমকলের গাড়িগুলির জল দিয়েই আগুন নেভানো হয়। আদালতে অগ্নি-নির্বাপণের এই অব্যবস্থার কথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে তপনবাবু জানান।
অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা না-থাকার কথা স্বীকার করে ‘স্মল কজেস কোর্ট’-এর বার অ্যাসোসিয়েশনের সচিব মধুমিতা কুণ্ডু বলেন, “বহু বার সংশ্লিষ্ট মহলে লিখিত ভাবে এ কথা জানানো হয়েছে। আর জলাধারটি তো অর্ধেক তৈরি। দমকল জল পাবে কী করে?”
কিন্তু সিটি সিভিল কোর্টের মতো ব্যস্ত ভবনে ভূগর্ভস্থ জলাধার তৈরির কাজ শেষ হয়নি কেন? এ প্রসঙ্গে পূর্ত দফতরের সচিব অজিতরঞ্জন বর্ধনের বক্তব্য , “কেন জলাধারটি তৈরি হয়নি, তা খোঁজ না নিয়ে বলতে পারব না।”
এ দিনই বিকেলে সল্টলেকে পশ্চিমবঙ্গ কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ল্যাবে এসি থেকে আগুন লাগে। দমকল ইঞ্জিন ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণে আনে। শট সার্কিট থেকেই এই ঘটনা বলে দমকলের অনুমান। |